গভীর কিছু শেখার আছে ....
আজ সকালে ছোট বোনকে সাথে নিয়ে জগন্নাথ ইউনিভার্সিটি গিয়েছিলাম। উদ্দেশ্য, অনার্স প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ফরম সংগ্রহ ও পূরণ করে জমা দেয়া। ভর্তি ফরম সংগ্রহ ও জমা দেবার জন্য স্টুডেন্ট ও তাদের গার্জিয়ানদের প্রচুর ভিড় ছিলো ইউনিভার্সিটিতে। তবে একটি বিষয় আদৌ ভালো ছিলো না। আর তা হলো, যার যার ভর্তি ফরম তাকেই জমা দিতে হবে।
উদ্দেশ্য ফরমের ছবি সনাক্তকরণ।
এক্ষেত্রে মেয়েরাই বেশি সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন। জগন্নাথ ইউনিভার্সিটির অবস্থান রাজধানীর একেবারে প্রান্তিক স্থানে হওয়ায় সেখানে যাতায়াত বেশ ঝামেলাজনক। পুরো ফরমে তিনটি স্থানে ছবি লাগানোর ব্যবস্থা ছিলো। তারপর প্রবেশপত্রের ছবিটি আলাদা টেপ দিয়ে কর্তৃপক্ষ লাগিয়ে দিচ্ছিলেন।
এরপর পরীক্ষা হলে হল পর্যবেক্ষক তো অবশ্যই তার কাছে সংরক্ষিত কপির ছবির সঙ্গে মিলিয়ে দেখবেন পরীক্ষার্থীকে। তাহলে তাও কেন ফরম জমা দেবার সময় পরীক্ষার্থীকে নিজে যেতে হবে?
যাদের ঢাকার বাইরে অবস্থান তারা কেবল ফরম জমা দিতেই ছুটে আসছেন জগন্নাথ ইউনিভার্সিটিতে। যাতায়াতের হাজারো ঝক্কি ঝামেলা তো কর্তৃপক্ষকে পোহাতে হয় না, তারা খালি নিয়ম করেই খালাস!
আবার নিয়ম করলেই তো হয় না, নিয়মের প্রয়োগও তো দরকার। কিন্তু ফরম জমা যারা নিচ্ছেন, তারা এতই তাড়াহুড়া করছেন যে, সামনে তাকানোর ফুরসত তাদের নেই। কাগজ পত্র কে কি জমা দিচ্ছেন তা দেখবারও সময় তাদের নেই।
ধর, মার, কাট অবস্থার মতন এক হাতে ফরম নিচ্ছেন আর অন্য হাতে সিল মেরে প্রবেশ পত্র ফেরত দিচ্ছেন। তাহলে এরকম অবস্থা যে হবে তা কি কর্তৃপক্ষ আগেই বুঝতে পারেন নি?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।