সুশীলের ভেকধারী এক মহা ভন্ড!
এলোমেলো কথন। কোন লাইনের সাথে পরের লাইনের মিল নেই।
আমি তখন ক্লাস ফোরে পড়ি। স্কুল থেকে আসার পথে পড়ে পাবলিক লাইব্রেরি। মাঝে মাঝে সেখানে যেতাম।
ঐ সময়েই প্রথম লাইব্রেরিতে যাওয়া শুরু করি। কার্টুন (মনে হয় চাইনিজ) বেশ কিছু সিরিজ ছিলো। মজা করে পড়তাম। ঐগুলো দোকানে পেতাম না। তো ক্লাস সিক্সে যখন পড়ি, তখন পাবলিক লাইব্রেরিতে যাওয়াটা নেশা হয়ে গেছিলো কয়েক মাসের জন্য।
প্রচুর বই পড়ে ফেলেছিলাম সেই সময়ে। মাঝে মাঝে আমার এক বন্ধু যেত আমার সাথে। লাইব্রেরি থেকে বের হয়ে পাশের মার্কেটে ভিডিও গেইমস খেলতাম (পিস্তলের একটা খেলতাম মনে আছে, মোস্তফা মনে হয় খেলি নাই ঐ সময়ে, নাইন টেনে খেলছিলাম মনে আছে। )। তো যেই কথা বলার জন্য এতো বকবক, সিক্সে থাকতে লাইব্রেরি থেকে দুইটা বা তিনটা বই মেরে দিছিলাম জ্যাকেটের ভিতরে করে।
পরে অবশ্য খারাপ লাগছিলো, কিন্তু ফেরত কেমনে দেই ভেবে দেয়া হয় নাই।
ক্লাস সিক্স বা সেভেনে স্কাউটে যোগ দেয়ার শখ হয়। তো বছরের মাঝামাঝি বা লাস্টের দিকে যোগ দিলাম। কিছুদিন পরে বিজয় দিবস উপলক্ষে স্টেডিয়ামে নিয়ে রোদের মাঝে অনেকক্ষন দাঁড়িয়ে থেকে সেই শখও মিটে গেলো। আর ভুলেও যাই নাই।
ঐ সময়ে বাপের আগ্রহে দিলাম ক্যাডেট কলেজে পরীক্ষা। আমার মাথায় ছিলো খালি সাধারন জ্ঞানের পড়ার নেশা। খাইলাম ডাব্বা! বাপে চেইতা ফায়ার!
ক্লাস নাইনে এসে স্কুল চেঞ্জের জন্য প্রথম ভর্তি পরীক্ষা দেই মতিঝিল আইডিয়ালে। ঐটাতেও খাই ডাব্বা!
ক্লাস ফোরে পড়ার সময়ে এক বন্ধুর ঘুড়ির মাঞ্জার টাকা বাপের পকেট থেকে চুরি করি। পরে ছোট ভাইটা ঝাড়ি খায় বাপের কাছে।
আমি সাধু মানুষের মত চুপচাপ থাকি। এখন অবশ্য এইসব মনে পড়লে খারাপও লাগে মাঝে মাঝে।
৯১ এর ঘুর্নিঝড় দেখছিলাম। ভয়াভয় জিনিস। সিড়িঘরে বসে রাত কাটাইছিলাম।
শেষের দিকে অবশ্য ঘুমিয়ে গেছিলাম মনে হয়। বাসার বেশ কিছু জানালা ভেঙ্গে গেছিলো। তখনো বুঝি নাই কি হইছে আসলে। সকাল হবার পরে টের পাই কি লংকা কান্ড ঘটে গেছে।
ক্লাস ফোর ফাইভের দিকে এক মোয়াজ্জেম সাহেব এসে ভোরবেলাতে আমাকে আর আমার ছোট ভাইকে কোরান পড়াতেন।
তো বেশিরভাগ সময়ে ৬ টা বা ৬.৩০ এর দিকে উনি আসতেন। ওনার ডাক শুনে আমি বা ছোট ভাই যেয়ে মেইনগেট খুলে দিতাম। মাঝে মাঝে ইচ্ছে করে খুলতাম না, উনি অনেকক্ষণ ডাকাডাকি করে চলে যেতেন। হি হি! কলিং বেইল বাজাতেন না, বাবা মা ঘুমাচ্ছে দেখে।
তখন মনে হয় সেভেনে পড়ি।
বিটিভি সিএনএন আর বিবিসি এর কিছু কিছু অংশ বিকাল বেলা আর সকাল বেলা দেখাতো। ঐ সময়ে একটা স্টাইল শো হতো। ঐটা খুব আগ্রহ নিয়ে দেখতাম।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।