আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমি দূর্নীতি করতে চাই

বাংলাদেশ ব্লগারস এসোসিয়েশন সদস্য নং: ১০ । facebook.com/milton3d

আমি দূর্নীতি করতে চাই। অনেকদিন ধরেই ভাবছিলাম। কিন্তু খাত খুঁজে পাচ্ছিলাম না। যাই হোক, এবার পেয়ে গেছি।

সেটা হলো আমার টয়েলেট। আমার বাসার টয়েলেটের প্যানটির বেহাল দশা। হঠাৎ লক্ষ্য করলাম দীর্ঘদিন ব্যাবহারের ফলে সেখানে জন্ম নিয়েছে বিভিন্ন দাগ এবং একদিকে ফাটল ধরেছে। এর সংস্কার অতীব প্রয়োজন। কিন্তু এখন বুঝতে পারছি না কোনটা লাভবান হবে, এটাকে ঘষে মেজে পরিষ্কার করা, না নতুন একটু প্যান প্রতিস্থাপন করা? ধরে নিলাম, নতুন একটি প্যান লাগাবো।

তাতে খুব বেশী হলে ২/১ জন শ্রমিকের প্রয়োজন। কর্মদিবস মোটে একদিন। একজন মিস্ত্রী আর একজন লেবার। মিস্ত্রীর ২৫০ টাকা আর লেবারের ১৫০ টাকা হাবে মজুরী। নতুন একটু প্যানের দাম ধরলাম, ২৫০০ টাকা।

আর আনুসঙ্গিক আরো ৫০০ টাকা। তাহলে মোট প্রয়োজন ৩৪০০ টাকা। ভালোই। এখন বাসার খরচের টাকাটা যদি কোন ভাবে আমার অফিসের কোন খাতের মধ্যে ঢুকিয়ে দিতে পারি তবে তো কেল্লা ফতে। চামে বিলটাও পেলাম আবার টয়েলেট টাও নতুন হয়ে গেলো! এটা একধরনের দূর্নীতিই হবে বৈকি তবে যদি কেউ ধরতে না পারে।

আর কেউ যাতে ধরতে না পারে সেটার জন্য আরো একটা দূর্নীতির আশ্রয় নিতে হবে। তাহলে একটা মিথ্যাকে ঢাকতে আরেকটা মিথ্যার জন্ম হয়। তেমনি দূর্নীতিই দূর্নীতির জন্ম দেয়। আমার এই ধরনের কু-বুদ্ধিটা মাথায় আসতো না যদি না কিনা নীচের লিখাটুকু না জানতে পারতাম: একটি বিভাগীয় অঞ্চলের বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানী লিমিটেডের টয়েলেটে একটি প্যান বসাতে ১২২ জন শ্রমিককে নিয়োগ দেয়া হয়েছিল অর্থাৎ ১২২ মিলে ধরাধরি করে একটি প্যান বসিয়েছে- এই তথ্যটি প্রকাশ পেয়ে সম্প্রতি দুদকের মহাপরিচালক বিবৃতিতে। অর্থাৎ ছোট একটি কাজ দেখিয়ে ১২২ জন শ্রমিকের মজুরি ও অন্যান্য খরচ তুলে নিয়ে দুর্নীতি করা হয়েছে।

মূলতঃ এক শ্রেণী দূর্নীতিবাজ লোকদের নজর থাকে কোন দিক দিয়ে কাজ তৈরী করা যায়। তাহলেই তো সেখানে সোনার খনি। শুধু কোন মতে একটা ইস্যু তৈরী করা। ব্যাস, খেল খতম। শুধু টাকা আর টাকা।

কোম্পানীকা মাল দরিয়া মে ঢাল। কেউ তো হিসাব নেওয়ার নাই। আর যার হিসাব নেওয়ার কথা, সে তো গড্ডালিকার প্রবাহে গা ভাসিয়ে দিয়ে বসে থাকে। তাহলে তো এমন হবেই।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.