অতি সাধারণ একজন, স্বপ্ন দেখি সোনালী দিনের।
বর্তমান সরকার ক্ষমতায় এসেছেন, দূর্নীতি মূলোৎপাটন করে ব্যাপক সংস্কারের মাধ্যমে দেশে রাজনীতি ও প্রশাসনিক ব্যবস্থার গুনগত পরিবর্তন করার স্লোগান নিয়ে। যদিও এদের বরাবর বোকা জনগণ তাদের এই কথা বিশ্বাস করে ব্যাপক সমর্থন দিয়েছিলো। সময়ের আবর্তনে সব আবার ফানুসের মত উড়ে গেছে। এখন, আবারও সেই অপ রাজনীতিবিদদের উত্থানের লক্ষণ স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
সরকারের উদ্দেশ্য সৎ বা অসৎ, সরকার দেশ পরিচালনায় সফল বা ব্যর্থ - এটা মূল্যায়ন করলে হতাশাজনক ফলাফল বেরিয়ে আসে। আমরা যে যাই বলিনা কেন, এটা সত্য যে দেশের সর্বত্র দূর্নীতির যে ক্যান্সার ছড়িয়ে পড়েছে, এটা অতি শীঘ্রই সারানোর ব্যবস্থা করা জরুরী। বর্তমান সরকার নির্বাচন দিয়ে বিদায় নেয়ার সময় এসে গেছে। আবার, যদি আমরা গতানুগাতিক ভাবে দূর্নীতিবাজদের ক্ষমতায় পাঠাই, তাহলে এবার তারা আরো অনেক বেশি দূর্নীতি ও সন্ত্রাসের মচ্ছব শুরু করবে। এই সরকারের আমলে যত মামলা হয়েছে, তাতে এটা প্রমাণিত যে জামায়াতের দুজন মন্ত্রী নিজ মন্ত্রনালয়ের কোন দূর্নীতিতে জড়িত ছিলেন না।
কারণ, তাদের বিরুদ্ধে এরকম কোন অভিযোগ পেলে সরকার অবশ্যই মামলা দায়ের করত। অনেকে হয়ত এই বাম ও সুশীল সরকারকেও এজন্য মৌলবাদী বলে গালি দিতে পারেন। কিন্তু সরকারের হাতে প্রমাণ থাকলে তারা বসে থাকার লোক নয়। কোন অভিযোগ না পাওয়াতে শুধু মাত্র মিডিয়া, কুশীল ও আলীগের চাপে এই দুইজনকে ক্রয় ও নীতি নির্ধারক কমিটির সদস্য হিসাবে গ্যাটকো ও কয়লা খনি মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছে, যা তাদের সততাকে জনগণের কাছে আরো সুষ্পষ্ট ভাবে তুলে ধরেছে।
তাই, আমরা সবাই মাথা গরম না করে যদি দেশকে বাচাতে চাই দূর্নীতির ক্যান্ষার থেকে, তাহলে জামাতকে ভোট দেয়া ছাড়া উপায় নাই।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।