বাস্তবতা ফেরী করে বেড়াচ্ছে আমার সহজ শর্তের সময়গুলোকে
শূণ্যতা নিয়ে নতুন নতুন ভাবনা অহর্নিশি সঙ্গী হয়ে বেড়াচ্ছে আমার সাথে। যখন সকালে ধাক্কাধাক্কি করে পাবলিক বাসে উঠি তখনো সেই ভাবনা, আবার অভিজাত এলাকায় অভিজাত মানুষদের যখন হেটে যেতে দেখি তখনো সেই একই ভাবনা। বেশিরভাগ মানুষ নিজের অজান্তেই নিজেদের চারপাশে শূণ্যতা তৈরি করে ফেলে!! এই ধ্রুব সত্যটা কি মানুষ সচেতন মনে খেয়াল করে!
কিংবা বিকল্প ভাবনাও হয়তো আছে। সুখের চেয়ে দুঃখটাই বেশি প্রবাহী। দুঃখের কম্পন প্রবাহিত হয় অনেক বেশি এবং অনেক তাড়াতাড়ি।
তাই হয়তো মানুষ দুঃখটাকে অনুভব করে বেশি। হয়তো এই অনুভবের বিষয়টাই কাউকে কাউকে অবচেতন মনে বিষন্নতাবিলাসী করে ফেলে। জনারঙ্গে তারাই নিসঙ্গতা খুঁজে পায়। চারপাশের গন্ডিটাকে ঢেকে দেয় শূণ্যতায়।
নিজেও চারপাশে একটা শূণ্যতার জগৎ তৈরি ফেলছি।
অনেক চেষ্টা করেও বের হতে পারছি না তার ভিতর থেকে। দেয়ালের এ পিঠ থেকে ও পিঠে যাচ্ছি। একটা সীমারেখা টেনে ধরেই রাখছে।
অনেকদিন পর আজকে পুরানো এক বন্ধুর মেইল পেলাম। সে আমাকে একটি স্যোসাল নেটওয়ার্কিং সাইট থেকে খুঁজে পেয়েছে।
খুঁজে পেয়ে কি যে আনন্দ তার! ভার্চুয়াল জগৎটাই এখন খোঁজাখুঁজির জায়গা হয়ে গেছে। এমনকি বন্ধু না থাকলেও কোন একটা স্যোশাল নেটওয়াকিং সাইটে যাও, রিকোয়েস্ট পাঠাও, কনফার্ম করো, তোমার অনেক বন্ধু!!
আহারে, বাস্তবিক জগতেই মানুষগুলো কতো শূণ্যতা তৈরি করে বসে আছে। এখন হঠাৎ করেই রাস্তায় পুরানো বন্ধুদের সাথে দেখা হয় না, বন্ধুদের দেখা হয় ভার্চুয়াল জগতে..।
মনের ভিতরে তবুও ঘুরে-
হঠাৎ রাস্তায়, অফিস অঞ্চলে
হারিয়ে যাওয়া মুখ, চমকে দিয়ে বলে
বন্ধু কি খবর বল?
কতোদিন দেখা হয় নি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।