পরিবর্তনের জন্য লেখালেখি
কেউ বসে গান করে , কেউ আঁকে ছবি
কেউ ভাবে বড় হয়ে হবে মহাকবি
কেউ নাচে নাট্যমে , কেউ কত্থকে
কেউ দেবে অটোগ্রাফ শত ভক্তকে
আমি অত বড় নই , করি লেখা পড়া
মাঝে মাঝে ভুল করে লিখে থাকি ছড়া
এ আমার সুখ নয় , রক্তের ব্যামো
শব্দেরা গোল করে , লেগে যায় জ্যাম ও
সেই জ্যাম জেলী করে করেছিনু শুরু
সেই থেকে লুৎফর রিটনদা গুরু !
শব্দেরা করে ডাকাডাকি অনিবন্ধিত ছন্দে
ঠিক কোন সময় থেকে শব্দ নিয়ে খেলা শুরু করেছিলাম মনে পড়ে না ভালো করে । তবে এইটা মনে আছে , ঝুল বারান্দার কোনে বসে উদাস হয়ে তাকিয়ে থাকতাম বাহিরে । সবুজ গাছ , নীল আকাশ আর কোন কোন দিন কমলা রঙের সূর্যটার দিকে তাকিয়ে আমি নাকি জমে যেতাম । বৃষ্টির শব্দ পেলে সব অ-বুড়োরাই নাকি নৃত্যশিল্পী হয়ে ওঠে । জলের ফোটা ধরার জন্য পাগল্পানা খুব একটা দুর্লভ নয় মোটেই ।
মাতৃগর্ভের জলের সংসার তখনও হয়ত মনে থাকে , থাকে স্মৃতি স্পর্শে ও স্বাদে । আমার বেলায় ব্যত্যায় হয়নি , যেটা হয়েছে সেটা হয়ত ব্যাতিক্রম । গুড়ি গুড়ি কিংবা টাপুর টুপুর ছন্দ আমি উৎকর্ণ হয়ে শুনতাম । সেই ছন্দ কিংবা বাড়ির অতিথিদের কু ঝিক ঝিক ছন্দে আগমন -প্রত্যাগমনকে আমি কোন ভাবে আমার তখনকার নেহায়েত ক্ষুদ্র শব্দ -ব্যাকরনে বন্দী করেছিলাম এই ভাবে -
" আন্না মানি কুল্লাবাদি হ্যত্যা করে যায়
হ্যান্নামানি কুল্লাবাদি হ্যত্যা করে যায় । "
এর অর্থ আজ আর আমি ব্যাখ্যা করতে পারি না , শুধু এইটুকু মনে পড়ে যে আমার আবৃত্তির প্রথম পাঠও এই স্বরচিত কবিতা -- কাগজ ও কলমের , ক্যানভাস ও তুলির , স্লেট ও চকের হাতে খড়ি হবার বহু আগে ।
শব্দে শব্দে বন্দী বাক্স , শব্দে শব্দে বন্দী বাসা
জেগে ওঠা কিংবা ঘুমঘোরে বেঁচে ওঠার প্রহর নিশ্চিত ভাবেই বলতে পারি আমার ছিলো গানে গানে ভরা । মামণি অসম্ভব ভালো গান গাইতে পারেন। শান্তি নিকেতনের স্কলারশীপ পাওয়া ছায়ানটের ছাত্রী । বাবা বাজাতেন পাগল করা কৃষ্ণ বাঁশি । সুতরাং , ভূমিষ্ঠ হওয়ার অনতিকাল পরেই সুরের আগ্রাসন ঘটে থাকবে চেতনে।
তবে , সুরের কোমল উচাটনের ভিতরেও আমি ছন্দের জাদুকরী টানটুকু ঠিকই আলাদা করতে পারতাম। অনেকটা শ্বাস নেওয়ার মত । চেতন ও অবচেতনের মাঝামাঝি কোথাও উপঘটনার মত ঘটে যাওয়া ।
"ঘুম পাড়ানি মাসি পিসি মোদের বাড়ি এসো"
কিংবা
"ঐ দেখা যায় তাল গাছ , ঐ আমাদের গাঁ " দিয়ে রাত নেমেছে চোখে । নিজের অজান্তেই অনুভব করতে শিখেছি ছন্দ ।
হাত পা নেড়ে আউড়ে গেছি , "বাবুদের তাল পুকুরে ... ... ... দেখি এক ভিট্রে শেয়াল" ; অন্তমিলের এই জাদু আমায় গ্রাস করেছে বিনা বাধায় ।
তেটে কাতা গাদে গিনে ধানে ধানে ধা
তাত্তা ক্রিড়ে ধা তাক্কা থুঙ্গা , তা টি কেতা কা, তা আ ধা , তেটে কাতা গাদে গিনে ধানে ধানে ধা - ধা ধিন ধিন ধা , ধা ধিন ধিন ধা , না তিন তিন তা , তেটে ধিন ধিন ধা ! তখন আমি ইশকুলে পড়ি । বড় বোন আর আমার গানের প্রথম পাঠ যদিও বাড়িতে , মায়ের ইচ্ছায় ভর্তি হলাম সুরঙ্গমায় । প্রতি শুক্রবার নতুন করে তাল ঠুকে চিনলাম তাল, সোম , ফাঁক । যা অনুভব করতে পারতাম নিজে থেকেই , তার নাম ও শ্রেনী শেখা হলো ।
ছায়া ছায়া অনুভবেরা চেহারা পেলো একে একে ।
তখন প্রাতিষ্ঠানিক মলাটে শব্দেরা হানা দিয়েছে মনের ঘরে । সারাদিন মাথার ভিতর গুন গুন টুন টুন । খুব মজায় আছি , লিখলাম-
" আজ জানো ইশকুলে !
বই খাতা ব্যাগ খুলে
দেখি ওরে বাবা একি
ইয়া বড় টিকটিকি
সেও নাকি ছাত্তর
গোটা দুই মাত্তর
এক দুই গুনবে
মন দিয়ে শুনবে
কয়ে কলা খয়ে খাট
এই নিয়ে মোট মাট
লেগে গেলো গোল মাল ,
স্যার বলে, "এসো কাল!"
উহু, এটা এখন লিখেছি। তবে এই রকমই আবোল তাবোল কি কি সব লেখা হয়ে যেতো ।
ক্লাসে রাজন বড় জ্বালায়। সুতরাং তাকে নিয়ে লেখা হলো,
"ছিপছিপে কাল মুখ চুপচুপে তেলে
রাজনটা ক্লাসে চক খেয়েছিলো গিলে"। এই রকম ছড়া লিখে কাব্যিক প্রতিশোধ কম নেইনি। বন্ধুদের ঈদে, জন্মদিনে , পয়লা বৈশাখে নিজের আঁকা কার্ড দেওয়ার চল ছিলো খুব। দিন রাত বসে সবাই নিজের নিজের কার্ড বানাতাম ।
আমার কার্ডে নিজের লেখা ছড়া থাকতো বাড়তি উপহার ।
আসমানীদের বাড়ি
ইস্কুলে পড়ার আগেই নজরুল কিংবা লোকজ ছড়া আর ইস্কুলে গিয়ে পরিচয় হলো ছন্দের জাদুকর সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের সাথে । বড়বোন তিন ক্লাস আর ছোট মামা আরেকটু ওপরে পড়ে। নিজের বই তো বটেই , বছর শুরু হতে না হতেই আমার সবার বই এর গল্প , কবিতা পড়া শেষ । তখন পড়ার জন্য বাঁচি, পড়বো বলে বাঁচি , পড়তে পারি বলে বাঁচি ।
যদিও সব রকম গল্পের পোকা , তবু কোথাও ছন্দবদ্ধ শব্দেরা একটু উঁচু আসন গেড়েছে ।
"নুরু, পুশি আয়শা সফি সবাই এসেছে
আম বাগিচার তলায় যেন তারা হেসেছে
বাপ মা তাদের ঘুমিয়ে আছে এই সুবিধা পেয়ে
বন ভোজনে মিলেছে আজ দুষ্টু কটি মেয়ে"
কিংবা ,
"ভিজে বেড়াল সাধু আমি এক্কেবারে ভিজে
রান্না ঘরই টানে আমায় , যাই কি আমি নিজে?
মাছের মুড়ো , দুধের হাড়ি
দু' চোখ বুজে গিলতে পারি
জানতে পারি কি রেখেছে মিটসেফে আর ফ্রিজে
ভিজে বেড়াল সাধু আমি এক্কেবারে ভিজে। "
একই বইতে,
"ফেকু বাড়িওয়ালা , খেয়ে কাচা ছোলা
গড়েছে টাকার পর্বত
ভাড়াটের ঘরে জল যদি পড়ে জবাব সে করে
তবে কি পড়িবে শরবত?"
ছন্দের সাথে সাথে , কাব্য বোধের সাথে সাথে সেই আমার পরিচয় দারিদ্র, বঞ্চনা, চৌর্যবৃত্তির সাথে। রাজনৈতিক কোন কবিতা অবশ্য তখনো পড়িনি। সফদার ডাক্তার নিয়েই দিন কাটাই ।
বিচারপতি তোমার বিচার করবে যারা আজ জেগেছে এই জনতা
প্রথম রোম হর্ষক অভিজ্ঞতা দিলেন রিটনদা । হো মো এরশাদের বিরুদ্ধে লেখা তার ছড়া হাতে হাতে লিখে নকল করে নিলাম । এখনো সেই হস্তলিখিত খাতার পাতা কেটে সেলাই করে বানানো ছড়ার বইটা আমার শ্রেষ্ঠ সম্পদ। বেস্ট অফ কালেকশন । ছন্দের জন্য বহু চেনা , অচেনা , পরিচিত , পরিচিত কবিদের কবিতা আমাকে মুগ্ধ করে রেখেছে তখন ।
কিন্তু রিটন মন কাড়লেন, আমি প্রেমে পড়লাম । তার শব্দের খেলা আমাকে প্রথম শেখালো নিয়ম না মেনে কি করে শব্দ নিয়ে খেলা যায়। আরো শিখলাম কি করে ক্ষুধাকে, দারিদ্রকে, রাস্তার টোকাইদেরকে ছড়ার উপজীব্য করে তোলা যায় । সেই যে রিটনকে গুরু মেনেছি , আজও তিনি আমার গুরু । আমি তার চরম ভক্তও বটে ।
আমার নিজের লেখা তখন ও কেবল দেহ পেতে শুরু করেছে । আর আমার উপলব্ধিতে একটা নতুন রোমাঞ্চ আকার পেতে শুরু করেছে । মাথায় আমার ছন্দ ঘোরে । পড়তে বসলে বড়ই জ্বালায় । না লিখলে মাথার ভিতর খালি কুট কুট করে ।
"আমি যদি হাটতে থাকি , পদ্য হাটে সাথে
বসলে খেতে হায় রে দেখি পদ্য আছে পাতে
পদ্য আমার সকাল বিকাল , পদ্য দিনে রাতে
পায়ের থেকে ফেললে ঝেড়ে আসবে উঠে হাতে
পদ্য যেন আমার ছায়া চাবকে দিলে পরে
বুঝতে পারি নিজের পিঠেই পদ্য ব্যথা করে
পদ্য যদি এমন করে চালায় মাথায় থাবা
কেমন করে পড়বো আমি বলতে পারো বাবা?"
এই ছিলো আমার প্রতিদিনের খুশি ও ক্ষোভ। লিখতে পারি বলে ভালো লাগে । না লিখে থাকতে পারি না বলে রাগে দাঁত কিড়মিড় !
যে কবি সুকান্তের , নজরুলের
বাড়িতে পাঠাগার থাকার অসুবিধা হলো পাগলের মত যখন তখন গোগ্রাসে কবিতা খাওয়া যায় । আমি ও আমরা তখন আসলেই বই খেতাম । চেতনার মূল পর্যন্ত নাড়িয়ে দিলেন সুকান্ত ।
বড় বোন সুকান্তকে নিজের সবচেয়ে প্রিয় দাবী করলে আমিও তাকে বেমালুম গিলে ফেলাটা জরুরী মনে করি । আমার লেখার নেশা দেখে মাত্র ক্লাস সেভেনে বাংলা ম্যাডাম কিনে দিলেন পৃথিবী বিখ্যাত দুই কবির অনুবাদ । আজ স্বীকার করছি, একটু পরেই ফেলে দিয়েছি । মাথাতে ঢুকেনি । বিমূর্ত কবিতা তেতো লাগে , নেহায়েত জ্বর না হলে আজও খাই না ।
(জানিয়ে রাখি, তাদের একজন ছিলেন হুইট্ম্যান) । অনুবাদটা তেতো লেগেছিলো । কিন্তু আজও সেই পুরস্কার এবং সেই বাংলা ম্যাডাম আমার অত্যন্ত প্রিয় , এর আগে কেউ নিজের হাতে একজন মাত্র ছাত্রের বার্ষিক পুরস্কার কিনতে বাজারে গিয়েছিলেন কিনা জানি না । হুইট্ম্যান সইলো না , কিন্তু আমি তখন এ পার বাংলা ও পার বাংলা মিলিয়ে কবিতা খেতে ব্যস্ত আছি । সেই থেকে রাত জাগা শুরু ।
ঐ একই সময়ে , হয়ত সুকান্তের প্রভাবেই গদ্য কবিতা লিখতে শুরু করি । অকল্পনীয় রকমের আশ্চর্যটা হলো , সে কবিতার বিষয় ছিলো আমি নারী না মানুষ ! ( আঁতেল ছিলাম , আমার দোষ না , বই পড়ার দোষ)
থাকবো না আর বদ্ধ ঘরে
কলেজে উঠে পরিচয় হলো অন্য ভাষার কবিদের সাথে । বিশ্বসেরা কবিদের ইংরেজি কবিতা পড়ি আর চিন্তা করি , ওহ হো , এ কি আশ্চর্য খনি ! ইশ , কবি হওয়াটা না জানি কত মর্যাদার ! কিন্তু বিধি বাম । ছন্দ আমার পিছু ছাড়ে না । যতই আমি কবিতা লিখি , ততই উহা ছড়ায় রুপ নেয় ।
যুদ্ধ করেও আমি গদ্য কবিতা লিখতে পারি না । নিজের অজান্তেই দশম চরনে গিয়ে আবিষ্কার করি আমি অন্ত্যমিল দিতে শুরু করেছি । ছড়া আমার রক্তে মিশে গেছে । আর বুঝি কোন দিনই আমার কবি হওয়া হবে না ।
কেউ কখনো খুঁজে কি পায় স্বপ্ন লোকের চাবি , বসে তাই তো ভাবি !
লেখা লেখি নিয়ে স্বপ্নটা দপ করে কফিনবন্দী করতে হলো ডাক্তারী পড়তে গিয়ে ।
পড়ার নেশা , লেখার নেশা --কাটাতে গিয়ে ভয়ে বইয়ের ধারে কাছে ঘেষি না । কবিতা লেখা কমে গেলো । ধীরে ধীরে আমার বাংলা জ্ঞান ও মরচে ধরতে শুরু করলো । সারাদিন ইংরেজি কপচাই , ভালো লাগে না । তবু কিছু করার নেই ।
ধীরে ধীরে মরে গেলো সেই মানুষটা যে কিনা প্রশ্ন করেছিলো ,
" কবিতাদের হাত ধরে চলো একটু আগাই
জীবনের পথ , বড় বন্ধুর দিশা ও না পাই
কঠিন যখন সফর তখন শব্দ ধরে
অর্থবিহীন জীবনটাকে সহজ বানাই?"
আজকে , প্রায় এক দশক পরে নিজেকে প্রশ্ন করি , কি হলাম তাহলে ? না কবি না ছড়াকার ! ছন্দ আমাকে এখনো পোড়ায় , নাচায় , হাসায় , কাঁদায় - কিন্তু উত্তীর্ণ কোন ছড়া কি লিখতে পেরেছি "আসমানী" এর মত ? কিংবা "বাবুদের তাল পুকুরের মত" ? একটাও কবিতা কি "কুমড়ো ফুলে ফুলে নুয়ে পড়েছে "? অথবা হেসে উঠেছে "সৃষ্টি সুখের উল্লাসে"?
না । অবশ্যই না । জীবনের খেরো খাতায় হিসেব কষে দেখলে স্বীকার করতেই হবে , কোন উত্তীর্ণ কবিতা বা ছড়া , কোনটাই আমার দ্বারা এখনো লেখা হয়নি । আমি এখনো কিছুই লিখতে পারিনি । কবিতা আমায় ছেড়ে যায়নি , বরং আমিই চোরের মত পালিয়ে গেছি উপার্জনের কাছে , প্রাণ ছেড়ে পিন্ডির যোগাড়ে !
তবে কেন? তবে কেন মিছে এ দুরাশা!
ভালোবেসে যদি সুখ নাহি - তার পরেও আমরা ভালোবাসি ।
এতটা কালের ব্যর্থতার পরেও আমি তাই এখনো বিনে পয়সার ব্লগ পেলে নিজেকে কবি কিংবা নিদেন পক্ষে ছড়াকার ভাবতে ভালোবাসি । ভালোবাসা? না , সে তো স্রোতস্বিনীর মতঅ মাটির গভীরেও বহমান হতে পারে । তাহলে প্রকাশের এই উন্মাদনা কেন? বার বার নিজেকে শোনাই ,
"শব্দ তোমরা ক্লান্ত করেছো খুব, আর তোমাদের দেহলিতে যাব না "।
তারপরেও কিসের টানে , কিসের নেশায় বার বার নিজেকে ক্ষত বিক্ষত করে শব্দ ক্ষরণ ? কোন ব্যাখ্যায় যাব না , স্রেফ একটা ছবি দেখতে বলবো ।
কুইলস (২০০০)
মারকুই কে নানান ভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে ইতিহাসে, আমি সত্য মিথ্যায় যাচ্ছি না ।
ছবিতে আমার মনযোগ কেড়েছে একজন লেখকের লেখার নেশা। বিষয় কিংবা উদ্দেশ্য নয় , তার নেশা এবং স্বাধীনতার বোধের যে পর্যায় "বিকার" হিসেবে উঠে এসেছে ছবিতে , আমি তাকে বুঝতে পারি । এই লেখা মনস্কতা, এই নেশাগ্রস্ততা, এই সৃষ্টিশীল বিকারকে "আমি বুঝতে পারি"। লেখার সাথে চরমতম যুক্ততা কখন লেখককে বিযুক্ত , বিচ্ছিন্ন করে ফেলে জীবন নামক কাগজ থেকে , বুঝতে পারি !
কি ভয়ংকর এই একাত্মতা!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।