বাংলার মাটি বাংলার জল, বাংলার বায়ু, বাংলার ফল, পুন্য হউক, পুন্য হউক, পুন্য হউক, হে ভগবান। বাংলার ঘর, বাংলার হাট, বাংলার বন, বাংলার মাঠ, পুর্ন হউক, পূর্ন হউক, পূর্ন হ্উক, হে ভগবান। রবীন্দ্রনাথ
সম্প্রতি আমার ছোট ভাই সাব্বির বান্দরবান ঘুরে এল।
এটা হচ্ছে অভ্যন্তরীণ পর্যটনের উদাহরণ।
কিছুদিন হল আমি অন্য রকম অভ্যন্তরীণ পর্যটনের কথা ভাবছি।
বেঁচে থাকতে থাকতে নানা কারণে আমাদের মনে বাস্প জমে। আমাদের তখন এ শহরটা ছেড়ে অন্য কোথাও যেতে ইচ্ছে করে। এমন হয় না? হয়, জানি। প্রত্যেকেরই হয়। মনে মেঘ ঘনালে আমরা দিন কয়েকের জন্য শহর ছাড়ার কথা ভাবি।
সব সময় কক্সবাজার বা টেকনাফ যেতে হবে কেন?
তা হলে?
ধরুন একটা মোবাইল নাম্বার। খবরের কাগজে কিংবা অন্য কোনও উৎস থেকে পেলেন। তারপর আপনি বাসে কি ট্রেনে উঠলেন। নামলেন অজানা কোনও স্টপেজে কি স্টেশনে। সেই স্টপজে কি স্টেশনের হদিশ আপনাকে মোবাইলের মাধ্যমে দিয়ে দেওয়া হবে।
তারপর একটা গ্রাম্য পথ। নির্মল বাতাস। কলাঝোপ। পুকুর। একটা উঠান।
ভিতরে ঢোকার মুখে আপনাকে অভ্যর্থনা জানাল একটা পরিবারের সদস্যরা। ওদের সঙ্গেই দিন কয়েক থাকবেন। বাজারসদাই করার পয়সা দেবেন। ওরা যা খায় তাই খাবেন। বোরহানি কিংবা কাসটাডের অর্ডার না-দিলেই হল।
গ্রামের লোকেরা ওসব খায় না। ও বাড়িতেই দিন কয়েক থাকবেন। পরিবারের লোকদের সঙ্গে ঘনিষ্ট হবেন। গ্রামের লোকের সঙ্গে গল্প করবেন। পাড়া ঘুরবেন।
পুকুর পাড়ে বসে থাকবেন। হাঁস দেখবেন। ছাগলছানা কোলে নিয়ে আদর করবেন। দেখবেন কখন আপনার মনের মেঘ কেটে গেছে।
এই হল অভ্যন্তরীণ পর্যটনের ধারণা।
এর সরাসরি কয়েকটি লাভ।
১) মনের বাস্প কাটল।
২) যে বাড়িতে থাকলেন তারা দুটো পয়সা পেল। দেশের পয়সা বাইরে চলে যায়। এখন শহরের পয়সা গ্রামে নিতে হবে।
৩) একটা পরিবারের সঙ্গে পরিচয় হল।
এই আমার প্রস্তাব। বন্ধুরা, আপনারা মেধাবী। এই থিউরিটাকে আরও নিখুঁত ও কার্যকরী করার জন্য প্লিজ ভাবুন।
এই তত্ত্বে প্রধান সমালোচনা হয়তো অচেনা পরিবেশ।
অচেনা গ্রাম। অচেনা লোক। গ্রামীন সমাজের রক্ষণশীলতা। ইত্যাদি।
ক্রমশ
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।