মানুষকে ভালোবাসি।
“গুন্ডে” ছবিতে বাংলাদেশের ইতিহাস বিকৃতি করা হয়েছে। রাগে মাথা খারাপ হয়ে গেলো আনুর। রাত ভর মাথা গরম করে রইলো। প্রবল দেশ প্রেমে তার চোখে জল আসলো বারবার।
কানে কানে বাজছে দেশপ্রেমের গান “ আইসি দেশ মেরা হে আইসি দেশ হে মেরা......”
আনুর ছোট বোন চেচিয়ে উঠলো “ভাইয়া দেখো ওদের ছবিগুলোতে কেমন আমাদের নিয়ে যা ইচ্ছে তাই করে ...সীরিয়াল গুলোতে কিন্তু তেমন নয়...”। টিভিতে চলছিলো হিন্দী সীরিয়াল “এক ঘর কা কাহানি”।
আনুর বাবা শুক্রবারের ম্যাটিনি শো চলছিলো। অমিটাভ বচ্চনের “ডন”। সে ডন সুলভ চ্যাঞ্চল্য দেখিয়ে চেচিয়ে উঠলো “আনু এসবের প্রতিবাদ কিন্তু তোমাদেরই করতে হবে”।
"গুন্ডে ছবির বিরুদ্ধে নানা রকম পদক্ষেপ নিয়েছে আনু আর তার বন্ধুরা । তারা পাড়ায় প্রতিবাদের একটা ইভেন্ট খুলেছে । ইভেন্টের নাম “চাক দে বাংলাদেশ”
অবশেষে ছবির পরিচালক ক্ষমা প্রার্থনা করেছে। প্রচন্ড আনন্দে আনুরা সারা রাত ধরে উৎসব করবে বলে ঠিক করেছে। রাত ভরে নাচ গান হবে।
আনুরা গান বাজিয়ে নাচানাচি করলো। সিডি প্লেয়ারে উচ্চস্বরে বাজছিলো “জয় হো...জয় হো...”
( এই গল্পটা হয়তো অবাস্তব। তবে কাছাকাছি রকমের বাস্তবতা অবশ্যই আছে। আমি তরুনদের এই প্রতিবাদ কে গভীর ভাবে স্বাগতম জানাই। সাধুবাদ জানাই যারা এই স্বস্তি ফিরিয়ে এনেছে যে এখনো পুরো অন্ধ আমরা হইনি।
পৃথিবীর সবচেয়ে বড় প্রতিবাদ গুলোতেই আছে সংযমের প্রদর্শন, আত্বত্যাগের মহিমা। “হিন্দী দেখবোনা, শিখবোনা, কিনবোনা “ এই ধরনের সংযমী আর আত্বত্যাগী প্রতিবাদ আমরা কেনো করতে পারবোনা? )
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।