বাংলাদেশ ব্লগারস এসোসিয়েশন সদস্য নং: ১০ । facebook.com/milton3d
আজ এই বছরের জন্য শেষ রোজা ছিল। ৩০টি রোজা পূর্ণ হলো। হয়ত সেইজন্য আজ বাসায় একটু অন্যরকম আয়োজন ছিল ইফতারের। অনেক গুলো আইটেম ছিল।
অন্যান্য দিন যা থাকে তার চেয়ে আজ কয়েকটি আইটেম বেশী।
ছোলা, পিঁয়াজু, বেগুনী, শসা, খেজুর, শরবত, আপেল, কলা, মুড়ি, সিদ্ধ ডিম, পুডিং, সেমাই, হালুয়া, হোমমেইড হালিম আর চিকেন ও ভেজিটেবল স্যুপ। আমার স্ত্রী মনে হয় আমার উপর একটু প্রতিশোধ তোলার জন্য এতকিছু তৈরী করেছিলেন। পুরোটা রোজা আমি খাই খাই করেছি। রোজা থাকা অবস্থায় বলতাম, "আজ ইফতারে এটা খাবো ওটা খাবো।
" ভাবটা এমন যেন সব কিছু খেয়ে হজম করে ফেলবো। তিনি যে আমার উপর প্রতিশোধ তুলছেন এটা আমার কাছে ক্লিয়ার হলো তখনই যখন বাটির পর বাটি হালিম আর স্যুপ তুলে দিচ্ছিলেন আমার বাটিতে। আমি তো আগে বুঝতে পারিনি। আমি শুধু খেয়েই গিয়েছি। আমি একটু খাওয়ারের দিকে লোভী।
শেষে আমি তার কাছে হার মানলাম। মনে করলাম হয়ত এবার উনি আমাকে ছাড় দেবেন। কিন্তু কোথায় কি? যেই না এক গ্লাস ঠান্ডা পানি খেয়ে টেবিল থেকে উঠতে গিয়েছি ওমনি দেখলাম উনি ফ্রিজ থেকে দুই বোতল "ফ্রুটিকা" বের করে আনলেন। ওটাও নাকি খেতে হবে। আমার তো অবস্থা খারাপ।
আর ফ্রুটিকা দেখে আমি তো ভয় পেয়ে গেলাম। যদি ওটা খেয়ে আমার সব গোপন কথা গুলো বলে ফেলি! তাহলে তো বিপদ!!
আমি আমার স্ত্রীকে রিকোয়েষ্ট করলাম, যে পরে ওটা খাবো। আসলে তো আমার ভিতরে ভয় কাজ করছিল, খেয়ে যদি কোন বিপদ ঘটে যায়! উনিও নাছোড়বান্দা, আমাকে জোড় করে খাইয়ে দিলেন, পুরো একবোতল শেষ করলাম। ওখানেই খাওয়া দাওয়া ইতি টানলাম। আর না, মাফ চাই, দোয়াও চাই।
এরপর থেকে আমি কারো সাথে কোন কথা বলছি না। মুখই খুলছি না। মোবাইলে বেশ কয়েকটি রিং এসেছে কিন্তু ভয়ে রিসিভ করছি না। মুখ একদম বন্ধ।
কিন্তু একটা ব্যাপার লক্ষ্য করলাম, এই ফ্রুটিকা পান করার পর থেকে আমার কেন যেন শুধু কথা বলতে ইচ্ছা করছে।
মুখ ফসকে কখন কি গোপন সত্য কথা বেরিয়ে পড়ে এই ভয়ে আছি।
না জানি কি হয়..........
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।