আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নটরডেম কলেজের মুখতার স্যার(সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণঃ১৮ এর নীচে পড়া একেবারেই নিষেধ)

জীবনকে খুব কাছ থেকে দেখতে চাই। গতানুগতিকতার গন্ডি থেকে মুক্তি চাই। এতে হয়তো শুনতে হবে অনেক অপমানের বাণী। ভয় করি না।

যারা নটরডেম কলেজে পড়েছেন তারা মুখতার স্যারকে চেনেন না এ কথা প্রায় অবিশ্বাস্য।

তবু যারা নটরডেমিয়ান না তাদের জ্ঞাতার্থে বলছি মুখতার স্যার আমাদের বাংলা পড়াতেন। স্যারের বয়স হবে ৬০ এর মত। চিরকুমার এই স্যার আমাদের ক্লাসে যেভাবে পড়াতেন তাই বলছি ১ তোমরা বাংলা বানান ভুল করে থাক। ইদানিং দেখলাম ঢাকার একটি নামীদামী কলেজের এক ছাত্রী খাতায় মাইকেল মধুসূদন দত্তের নাম লিখেছে মাইকেল মধূছোদন। ভাগ্য ভাল সে মধূছোদন লিখেছে।

যদি সে "ছো" এর মাথা টা না কাট তো এবং সেটা যদি চ হত তাহলে কি কেলেঙ্কারি হয়ে যেত তোমরা বল তো। ২ স্যার একদিন সিরাজউদ্দৌলা পড়াছিলেন। ঘষেটি বেগম পড়াচ্ছিলেন। বল্লেন এই মহিলার নাম কেন ঘষেটি বেগম হল তোমরা কেউ বলতে পার? জবাবের অপেক্ষায় না থেকে স্যার বললেন সে অতিরিক্ত ঘষাঘষি করত তাই। ৩ আরেকদিন স্যার পদ্মানদীর মাঝি পড়াচ্ছিলেন।

সেখানে কুবের ও কপিলার চরিত্র আলোকপাত করছিলেন। স্যার বললেন কুবের ও কপিলা একটি ছই ওয়ালা নৌকার নীচে আছে। ছইয়ের চার পাশ বন্ধ। হঠাৎ দেখা গেল নৌকা দুলছে। নৌকা দুলে ,নৌকা দুলে।

একবার ডানে একবার বামে। ব্যাপার কি তোমরা বলতে পার? ৪ পদ্মা নদীর মাঝি উপন্যাসে স্যার পড়াচ্ছেন। কুবের কেন কপিলাকে পছন্দ করে বলতে পারবে? কারণ কপিলা ছিল প্রাণবন্ত। তার ছিল দুর্বার তারুণ্য। সে কুবের কে মাতিয়ে রাখত।

সে কুবেরকে যৌবনের আহবান করত। অপরপক্ষে মালা হাটতে পারত না । সে ছিল পঙ্গু । সে কুবের কে আনন্দ দিতে পারত না। মালা কিছু করতে পারত না,না পার তো হাটতে ,না পারতো রান্না করতে,না পার তো ঠিক মতো বসতে।

তবে মালা কেবল শুতে পার তো। বুজলে? ৫ তখন খুব হৈ চৈ হচ্ছে। চীফ নির্বাচন কমিশনার আজীয ক্ষমতা ছাড়ছেন না। একের পর এক জ্বালাও পোড়াও করছে আওয়ামী লীগ। তখন ক্লাসে স্যার বললেন লোকটি যে কি বুজতে পারি না।

কেন যে সে পদত্যাগ করছেনা। সে যে কোন ধাতু দিয়ে গড়া। হঠাৎ এক ছেলে বল্ল সে আযীজের বাসার কাছে দিয়ে এসেছে। স্যার তখন তাকে বললেন কেন তুমি ও'দিকে গিয়েছিলে? তার ধাতু পরীক্ষা করতে? ৫ আগে হরতালের সময় দেখা যেত যুবলীগের মেয়েরা বাসে যানবাহনে ঢিল ছুঁড়ছে। স্যার তাদের খুঁটিয়ে খুটিয়ে দেখতেন ক্লাসে এসে বলতেন দেখ ওদের ভাল লাগে না ।

ওদের বডিও ভাল না ,ফিগারও ভাল না। ওদের দেখে মন ভরে না। একেবারেই বাজে লাগে। ৬ এবার আসা যাক স্যারের চোখে কেন আমাদের রাজনৈতিক নেত্রীবৃন্দ উত্তেজিত ভাবে ভাষণ দেয়? স্যার বলতেন তারা জনগণ কে উত্তেজিত করার জন্য ভাষণ প্রদান করে। তা না হলে কেউ তাদের ভাষণ প্রদান করা শুনবে না।

এই হল আমাদের মুখতার স্যার।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.