চিটাগাং কলেজের প্যারেড মাঠের কোনার মদিনা হোটেল চেনেনা এমন লোক চট্টগ্রামে মনে হয় খুঁজে পাওয়া মুশকিল। বিশেষ করে চট্টগ্রাম কলেজ ও গভর্মেন্ট স্কুলের ছেলেরা ছিল মদিনা হোটেলের চা এর একনিষ্ঠ ভক্ত। নানা কৌতুহল উদ্দিপক উপকরণ মেশানো হতো এতে। এর ভেতরে ছিল-
১। মহিষের দুধ
২।
ওভালটিন
৩। গ্লুকোজ বিস্কিট
৪। ডিম
৫। দুই চার রকমের মশলা।
আমরা প্রায় সবাই ছিলাম নিয়মিত চা খোড়! দুপুরে ক্লাশের এক ফাঁকে এসে চা টা না খেয়ে গেলে কেমন যেন নাই নাই অনুভুতি হতো।
দুই বেলা খাওয়া চাই ই চাই। কলেজ পর্ব শেষ করে ঢাকা চলে আসলাম। হঠাৎ একদিন খুব চাঞ্চল্য!! কি ব্যাপার?!! সবাই হতবাক হয়ে গেলো শুনে... মদিনা হোটেলের চা এর একটা গোপন উপাদান নাকি ছিল আফিম?!! এটা নিয়ে অবশ্য একটু দ্বিমতও ছিল, কেউ বললো ওটা আফিম না, ওরা চা এ ফেন্সিডিল মেশাতো!! তাই এই চা কেউ একবার খেলে একটা হালকা এডিকশনের মতো হয়ে যেতো। বার বার না খেলে মন ভরতো না! (বার বার খাবার ব্যাপারটা যে সত্যি সেটা আমরা নিজেরাও বুঝেছিলাম)
এর পর কিছুদিন মনে হয় হোটেলটা বন্ধ ছিল। পরে আবার চালু হতে দেখেছি।
আজকে ব্লগে 'এই আমি' র লেখা Click This Link অন্যরকম সব আইডিয়া........... পড়তে গিয়ে চা সংক্রান্ত এই ঘটনা মনে পড়লো।
আরো মনে পরলো বুয়েটে থাকতে একবার গুজব রটলো- আমাদের ক্যান্টিন গুলিতে- আজিমপুর কবরস্থানের লাশ সংরক্ষণের চা পাতা' ব্যবহার করা হয়!! এই খবরে প্রায় অনেক দিন পর্যন্ত কেউ টি ব্যাগ ছাড়া চা খেতো না। পরে গুজব ধামাচাপা পরে গেলে খোলা পাতা চা ফিরে আসে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।