আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বন্ধু হতে পারলাম না, শুধু বলা যায় সহপাঠী

"চে তুমি বেঁচে ওঠো মোর প্রানে...হৃদপিন্ডে সঞ্চার করো এক ফোঁটা বিপ্লবী রক্ত"

মৃত্যু, একটি কষ্টকর বিষয়। অন্তত কোন পরিচিত ব্যক্তির মৃত্যু হলে তো অবশ্যই। আমার এরকম সময় কেটেছে কয়েকবার। প্রথম, আমার মেজ জেঠী মারা যায় ১৯৯৭ সালে। আমায় অনেক আদর করতো বলেই আজও কষ্ট পাই মনে করে।

দ্বিতীয়, আমার বাবার এক ঘনিষ্ট বন্ধু, নয়ন কাকু মারা যায় সড়ক দুর্ঘটনায়। কষ্ট পেয়েছিলাম বাবার চোখের দিকে তাকিয়ে। শেষে এসে এই বছর মারা যায় বড় জেঠু। ভারতে থাকত বলে শেষ দেখা অনেক আগে। বাবার মন খারাপ ছিল, আমিও পাই সেও আমাকে অনেক আদর করতো বলে।

তবে. . . আমার আরও দুই জনের মৃত্যু মন ভেঙে দেয়। ১. লালমাটিয়া বয়েজ স্কুল...মাত্র নাইন থেকে টেন-এ উঠেছি। শাহরিয়ার নামে এক সহপাঠী ছিল আমার। পড়াশোনার বাইরে সব কিছুতে আগ্রহ হিমালয় ছোয়া। তবে পরীক্ষার আগে হঠাৎ ওর পড়াশোনায় আগ্রহ দেখা যায়।

প্রায়ই আমার কাছে এসে হিসাববিজ্ঞান আর ইংরেজী বুঝতো। আমি ভাবতাম হয়তো ও আমার ভাল বন্ধু হতে পারে। এভাবে দিন যেতে যেতে একদিন জানতে পারি ওর সন্ত্রাসী চক্রে জড়িত থাকা। আর আসল দুঃখ পাই আগের দিন অংক বুঝিয়ে দিয়ে, পরবর্তী দিন তারই মৃত্যু সংবাদ শুনে। ২. ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি...প্রথম সেমিস্টার শেষ করে বন্ধুরা বিক্রমপুর বেড়াতে যাই।

অন্যদিকে আমাদেরই এক সহপাঠী, আশিক যায় কক্সবাজার। আশিককে প্রথম দেখি শাওনদের গ্রুপ-এ। কথা হয় অনেক পরে। প্রথমেই সেরকম বন্ধু হয়নি। ভেবেছিলাম হয়তো পরের সেমিস্টার-এ আড্ডায় আড্ডায় হয়ে যাবে।

তার সময় কই? ২৮/০৮/২০০৮ তারিখ সমুদ্র সৈকতে স্রোতে ভেসে মারা যায় আশিক। পরের দিন বিক্রমপুর থেকে ফিরে জানতে পারি আশিক আর নেই... তাই তাদের বন্ধু হতে পারলাম না, শুধু বলি যাদের সহপাঠী. . .

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.