আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সাম্প্রতিক বাঙলা সাহিত্য

আমার চিন্তাভাবনা

বাঙলা সাহিত্যের এখনকার লেখালেখির কথা বলছি। বিশেষ করে তরুণদের লেখা নিয়েই আজকের এ অবতারণা। এখনকার লেখালেখি পড়তে গেলেই আমার কেমন যেন হোঁচট খেতে হয়। আমার মনে হয়, লেখকদের মধ্যে একধরণের ধোঁয়াটে লেখালেখির প্রতি অতিরিক্ত আসক্তি দেখা যাচ্ছে। কবিতার ক্ষেত্রে মনে হয় এটা ঠিক আছে।

কবিতা মানেই তো অনুভূতির নানা বহি:প্রকাশ- তা সরল,বক্র,ব্যতিক্রমী, ধোঁয়াটে,ব্যক্তিগত,বৈচিত্রপূর্ণ হতে পারে। কিন্তু গদ্যের ক্ষেত্রে কবিতা আক্রান্ত হবার কি কোন দরকার আছে? যারা কাফকা,দেরিদা,পোস্ট মডার্নিজিম,ইন্ডিভিজ্যুয়ালিটি ইত্যাদি নানা বুলি কপচিয়ে দুর্বোধ্যতাই সৌন্দর্য্য হিসেবে দেখাতে চান, তাদের সাথেই আমার কথা-বার্তা, নিদেনপক্ষে তাদের বক্তব্যটুকু শুনতে চাওয়া। জীবনের নানা অনুভূতি নানাভাবে প্রকাশিত হবে, তার মাঝে নানারকম ঘটনার নির্যাস থাকবে, গল্পের প্লটে হোঁচট থাকবে,মোড় থাকবে, হাসি,কান্না,যৌনতা,খাদ্য,ভালবাসার সব মিশ্রণ থাকবে- এটা তো মানতেই হবে। কিন্তু গল্পের বর্ণনাই যদি আমাদের কষ্ট দেয়, গল্পটা পড়তে গিয়েই যদি আমাদের হাই উঠে,একটা ক্ল্যাসিক নামধারী গল্প সবাই পড়তে বলে পড়তে বসে এক সপ্তাহ লাগে, সেই গল্প লেখার কি কোন দরকার আছে? কষ্টদায়ক কোনকিছুকে ভালো লাগতেই হবে এমন কোন কথা আছে নাকি? গল্পই যদি আমাদের টেনে নিয়ে যেতে পারে অজানা কোন প্রান্তরে, দাঁড় করায় অনুভূতির সামনা সামনি- তার সহজ সরল, আকর্ষনীয়, আটপৌরে, গল্পের প্রয়োজনীয় বর্ণনায় কি আমাদের কাম্য হওয়া উচিত নয়? অযথা সব জায়গায়,সবসময় দুর্বোধ্য লেখালেখিকে একটা ট্রেন্ড এ পরিণত করে পাঠকদের কষ্ট দেয়াটা কি এক ধরণের অপরাধ নয়? গল্পের প্লটের জন্য যদি বর্ণনাকে যথেষ্ট পরিমান প‌্যাঁচালো,বাক্যগঠনে পরীক্ষামূলক বিন্যাস থাকার দরকার পড়ে তাহলে ঠিক আছে। কিন্তু অযথা,অপ্রয়োজনীয়,অতিরিক্ত দুর্বোধ্যতা সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করে, নাকি অসহ্য করে তোলে তা নিয়ে কথাবার্তা, মত-অমত বিনিময় দরকার আছে বলেই আমার মনে হয়।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.