এত কিসের ভয়, দ্বিধা - সত্যকে স্বীকার করতে? আমার অতীত নিয়ে আমার মধ্যে যদি কোনও সংশয় না থাকে তাহলে তো এই মিথ্যার আশ্রয় নেয়ার দরকার হয়না যে নির্বাচন গ্রহনযোগ্য হয়নি। এই মিথ্যার আশ্রয় নেয়ার অর্থ এই দাঁড়ায় যে আমি আমার অতীতে যা অন্যায়, কুকর্ম করেছি তা আমি আবার করতে চাই, সবার সামনে সত্যকে তাই স্বীকার করতে চাইনা। স্বীকার যদি করেই ফেলি তাহলে তো আগামীতে সুযোগ পেলে একই অন্যায়, দুর্নীতি, পুত্র-প্রীতি করা যাবেনা, মৌলবাদের সাথে গাঁট-ছড়া বাঁধা যাবেনা। আমি কিন্তু আবার বলে বেড়াই - "ব্যক্তির চেয়ে দল বড়, দলের চেয়ে দেশ বড়"। পক্ষপাতদুষ্ট নির্বাচন এর দোহাই কি নিজের অন্যায়, দুরাচারকে ঢাকতেই ব্যবহার করা হচ্ছে না? সবাইতো স্বপ্ন দেখেছিল নতুন এক সংস্কৃতির - নির্বাচনে বিজিত দলের নেতা স্বতঃস্ফুর্ত ভাবে ছুটে গেছেন বিজয়ীকে অভিনন্দন জানাতে।
দু'জনে হাতে হাতে রেখে সহাস্যে দেশ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন জাতির সামনে। পাঁচ বছর কি অসীম মহাকাল সম যে ফুরাবে না? পাঁচ বছর প্রথমবারের মত একটা দায়িত্বশীল বিরোধীদলের ভুমিকা পালন করার নজির স্থাপন করলেই তো আগামীবার দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নেয়ার পথ অর্ধেক মসৃন হয়ে যায়। বাকিটুকু হয় জামাতের মত পরজীবিকে ছূঁড়ে ফেলে দিলে আর দল থেকে গুন্ডা-পান্ডাদের বের করে দিলে। এইটুকু কাজ করতে এত কষ্ট? ও আরও একটা কাজ করা দরকার - বর্তমান অথর্ব মহাসচিবকে প্রতিস্থাপন করতে হবে একজন প্রেজেন্টেবল এবং ক্রেডিবল ভদ্রলোককে দিয়ে। মাতাল দিয়ে দল চলে না।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।