একট হাসি, অলস দুপুর, এক ফোঁটায় জলের পুকুর।
আমি নিজে রাঁধলে কখনও খেতে পারি না, কখনোই। তাই ওবাড়িতে যখন আমার কাঁধে যখন বাড়ির বউয়ের গুরুদ্বায়িত্ব এসে পড়ে, সব কিছুর চাপেই আমি বেশ হিমশিম খাচ্ছিলাম।
রোজ সকালে উঠে নাস্তা বানানো, ঘরের সব সামাল দিয়ে ৯টার ক্লাশ ধরা, সারাদিন ক্লাশ শেষে ষ্টুডিওতে বসে কাজ করা, বাড়ি ফিরতে ফিরতে রাত ৮টা। ফ্রেশ হয়ে আবার রাতের খাবার, শ্বাশুড়িসেবা, ঘরের বাকি কাজ।
রোববার আমার কোন ক্লাশ ছিলো না, কাজ থাকলে যেতে হত। আমি প্রতি রোববার তাই রোজকার নিয়মে বের হয়ে মার কাছে চলে আসতাম, আবার নিয়ম মতই বাসায় ফিরতাম।
এরকম একদিন আমি বাসায় ঢুকে দেখি মা আচার-মাংস নিয়ে বসে আছে আমার জন্য, আমার অতি প্রিয়। সেদিন অনেকদিন পর আমি খুব শান্তি করে খেয়েছিলাম, সখ করে। মা খুব আদ্ভুতভাবে আমার দিকে তাকিয়েছিল।
ছোটবেলা থেকেই আমার মা খুব সৌখিন, আমিও। বেঁচে থাকার প্রতিটা জিনিস আমি উপভোগ করতে শিখেছি, সবসময় হাসতে শিখেছি। বড় হওয়ার পর কোনোদিন কাঁদিনি, মা কেও কখনো দেখিনি কাঁদতে। এমনকি আমাকে বিদায় দেবার সময়ও না।
আমি মাকে প্রশ্ন করেছিলাম কি দেখছ? মা বলেছিলো আমি নাকি খুব সুন্দর করে খাচ্ছিলাম।
সেদিনের পর যতই সখ করে প্রিয় জিনিস খাই না কেন, প্রয়েজনের থেকে একদানা বেশি আমি নামাতে পারিনি গলা দিয়ে।
আমি জানি, আমার মা সে রাতে কেঁদেছিল।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।