প্রতিবছর দেশে জ্বালানী আমদানীতে সরকার বিপুল পরিমান ভর্তুকি দিচ্ছে। ভর্তুকীর কারণে যেখানে জ্বালানীর দাম বাড়ানোর ফলে সকল ক্ষেত্রে নাভিশ্বাস। সেখানে ভাবতে অবাক লাগে কোটি টাকা ব্যয়ে আমদানীকৃত কোটিপতির গাড়ীর জ্বালানীতে কেন ভর্তুকী দেওয়া হয়? একটি প্রাইভেট গাড়ী আমদানীর প্রথম পর্যায় থেকে ভর্তুকীর ধারাবাহিকতা চলতে থাকে। গাড়ীটি আমদানী করতে প্রথম পর্যায়ে প্রচুর পরিমান বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় হয়। তারপর প্রতিমুহূর্তে গাড়িটি চলে বৈদেশিক মুদ্রায় কেনা জ্বালানীতে (সিএনজি গ্যাসেও ভর্তুকী দেওয়া হয় এবং তা বিদেশী কোম্পানীর থেকে বৈদেশিক মুদ্রায় কেনা হয়)। একজন ব্যক্তি বা একটি পরিবারের বিলাসিতার জন্য ব্যবহৃত বিলাসবহুল কোটি টাকার গাড়ির জ্বালানীতে ভর্তূকী প্রদান করে, অন্যদিকে জ্বালানীর দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে কৃষকের জ্বালানীর দাম বৃদ্ধি করা কোন সঠিক পরিকল্পনার অংশ হতে পারে না। এটা যেন ধনীর বিলাসিতায় গবিবের ভর্তুকী প্রদান। তাই প্রাইভেট গাড়ির ব্যবহারের জ্বালানীতে ভর্তুকী প্রদান বন্ধ করা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
দৈনিক ভোরের কাগজ থেকে নেওয়া লিখেছেন লুবনা, লালমাটিয়া
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।