আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

গণতন্ত্র ও দেশের স্বার্থ



গণতন্ত্র ও দেশের স্বার্থ আলাস্কার গভর্নর সারাহ পলিনকে রানিং মেট ঘোষণা করে সত্যি সত্যিই চমকে দিয়েছেন জন ম্যাককেইন। এতে আমেরিকার 'কালো নক্ষত্র' বারাক ওবামার বিস্ময়কর আলোকছটায় প্রায় নিষ্প্রভ হয়ে পড়া রিপাবলিকান শিবির যেন নতুন করে প্রাণ ফিরে পেয়েছে। রাতারাতি রেকর্ড পরিমাণ অর্থ জমা হয়েছে তাদের নির্বাচনী তহবিলে। প্রবল 'আত্মবিশ্বাসী' ওবামাকেও নড়েচড়ে বসতে হয়েছে। খুঁজতে হচ্ছে নতুন এই চমকটিকে অকার্যকর করার কৌশল।

চমকে ওঠারই কথা। রিপাবলিকান দলের ইতিহাসে নারী হিসেবে পলিনই সম্ভবত প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী, তাও আবার সুদূর আলাস্কা থেকে! আমেরিকার সর্বউত্তরের দুর্গম এই অঙ্গরাজ্যটি আয়তনের দিক থেকে সর্ববৃহৎ (বাদবাকি আমেরিকার এক-পঞ্চমাংশ) হলেও জনসংখ্যার দিক থেকে বোধ করি সর্বনিম্নে এর অবস্থান। লোকসংখ্যা মাত্র সাড়ে ৭ লাখ। রাজনৈতিক দিক থেকেও তেমন উল্লেখযোগ্য বলা যাবে না। আলাস্কার অর্থনীতি মূলত প্রাকৃতিক সম্পদনির্ভর।

অর্থনীতির ৮৫ শতাংশই আসে জ্বালানি তেল থেকে, যদিও কয়লার বিশাল মজুদ আছে এখানে। আছে স্বর্ণখনিও। অর্থনীতির তৃতীয় বৃহত্তম খাত হচ্ছে মৎস্যশিকার। কৃষিতে আমেরিকার ৫০টি অঙ্গরাজ্যের মধ্যে আলাস্কার অবস্থান সবার শেষে। সম্ভাব্য ভাইস প্রেসিডেন্ট সারাহ পলিনকে নিয়ে বাদবাকি আমেরিকার প্রতিক্রিয়া যাই হোক আলাস্কাবাসী তার প্রশংসায় পঞ্চমুখ।

তারা তাকে নিজেদের লোক বলেই মনে করে। সেটা শুধু আঞ্চলিকতার কারণে নয়, পলিনকে তারা বিশেষভাবে পছন্দও করেন। তাকে তারা 'সৎ এবং কঠোর পরিশ্রমী' মানুষ বলেই জানেন। 'আমি একজন ডেমোক্রেট। আমি তাকে ভোট দিই নি।

কিন্তু আমি জানি রিপাবলিকানদের কাছে যে ক'টি বিকল্প ছিল তার মধ্যে তিনিই সেরা। ' বলছিলেন ডেমোক্রেট সমর্থক জন উইদিন। নেতা হিসেবে পলিন যে ভুঁইফোড় নন, এটা তার অন্যতম প্রমাণও বটে। আলাস্কা থেকে ওয়াশিংটনের পথে দীর্ঘ যাত্রার আগে তিনি কাউন্সিলর ও মেয়র থেকে শুরু করে গভর্নর পর্যন্ত নির্বাচিত হয়েছেন স্থানীয় জনগণের ভোটে। সেখানে তার নেতৃত্বের ও যোগ্যতার স্বাক্ষরও রেখেছেন।

পলিনের মধ্যে যোগ্যতা ও আত্মবিশ্বাস কোনোটারই যে কমতি নেই সেটা তিনি রিপাবলিকানদের সম্মেলনে প্রদত্ত ভাষণেও ভালোভাবেই জানিয়ে দিয়েছেন আমেরিকাবাসীকে। ডেমোক্রেট শিবিরেও লেগেছে তার দোলা। তারা ইতোমধ্যে হিলারি ক্লিনটনসহ একাধিক শক্তিশালী নারী ক্যাম্পেইনারকে মাঠে নামানোর সিদ্ধান্তও নিয়ে ফেলেছেন। তার কন্যাকে ঘিরে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার মুখেও অকম্পিত কণ্ঠে পলিন বলেছেন, আমেরিকার আর দশটি পরিবারের মতো আমার পরিবারেও উত্থানপতন আছে। রিপাবলিকানদের অতি গুরুত্বপূর্ণ এই কনভেনশনে বক্তৃতা করা তার জন্য মোটেও সহজ ছিল না।

কারণ এর আগেই তাকে নিয়ে দ্বিতীয় বিস্ফোরক ঘটনাটি ঘটে গেছে। আমেরিকার মানুষ জেনে গেছেন যে সারাহ পলিনের স্কুলপড়ুয়া কিশোরী কন্যা ব্রিস্টল ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। এ নিয়ে বয়ে যাচ্ছিল আলোচনা-সমালোচনা ও গুজবের ঝড়। নানা কারণে রক্ষণশীল রিপাবলিকান শিবিরের জন্য খবরটি মোটেও স্বস্তিকর ছিল না। পরে যাই বলা হোক - শুরুতে খবরটি গোপন করা হয়েছিল বলেও অনেকে মনে করেন।

নেতৃত্বের পর্যায়ে তথ্য গোপন বা অসত্য ভাষণের ব্যাপারে আমেরিকান সমাজ বরাবরই ক্ষমাহীন। নৈতিকতার ব্যাপারেও একই কথা প্রযোজ্য। আমেরিকায় এ ধরনের ঘটনা হরহামেশা ঘটলেও একজন ভাইস প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীর অবিবাহিত অপ্রাপ্তবয়সী কন্যার অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার বিষয়টিকে কারোই ভালোভাবে গ্রহণ করার কথা নয়। রিপাবলিকানদের তো নয়ই। তাছাড়া নির্বাচন তো এক ধরনের যুদ্ধও বটে।

সেই যুদ্ধে প্রতিপক্ষকে সহজে ঘায়েল করার জন্য এর চেয়ে মোক্ষম অস্ত্র আর কী হতে পারে! কিন্তু বারাক ওবামা যা করেছেন তা এককথায় অভাবনীয়। রয়টার্সের সাংবাদিক এ নিয়ে তাকে প্রশ্ন করতে চেয়েছিলেন। বিরক্তির সঙ্গে তাকে থামিয়ে দিয়ে ওবামা বলেছেন, এটা একান্তই পারিবারিক বিষয়। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনো সম্পর্ক নেই। শিশুদের বিষয় তো একেবারেই আলাদা।

তাদেরকে রাজনীতির বলি করা উচিত নয়। দ্ব্যর্থহীন ভাষায় তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, এ বিষয়টিকে তারা নির্বাচনী পুঁজি করতে চান না। ডেমোক্রেট শিবিরের কেউ সেটা করলে তাকে দল থেকে বের করে দেয়া হবে। বারাক ওবামার এ প্রতিক্রিয়া ছিল তাৎক্ষণিক ও স্বতঃস্ফূর্ত। সস্তা হাততালি পাওয়ার জন্য অনেক ভেবেচিন্তে দলের সঙ্গে শলাপরামর্শ করে তিনি এটা করেন নি।

করেছেন অন্তর্গত তাগিদ, রাজনৈতিক শিক্ষা ও রম্নচিবোধ থেকে। গণতন্ত্রের জন্য এটা যে কতোটা গুরুত্বপূর্ণ তা আমাদের চেয়ে বেশি আর কে জানে! এ ঘটনা থেকে এটা স্পষ্ট যে আমেরিকায় গণতন্ত্রের দীর্ঘ পথপরিক্রমায় নবীন বারাক ওবামাও জুড়ে দিলেন আরেকটি অনবদ্য মাইলফলক। প্রমাণ করলেন কালজয়ী পূর্বসূরিরা গণতন্ত্রের যে অনির্বাণ মশাল প্রজ্জ্বলিত করে গেছেন তা বহন করার শক্তি তার আছে। 'তোমার পতাকা যারে দাও/তারে বহিবারে দিও শক্তি' - কবিগুরুর প্রার্থনা অন্তত এ-ক্ষেত্রে বিফলে যায়নি। আমেরিকার সংবিধান প্রণীত ও গৃহীত হয়েছিল ১৭৮৭ সালে।

এটি বিশ্বের আদিতম সংবিধানই শুধু নয়, সংক্ষিপ্ততম সংবিধানও বটে। লক্ষণীয় যে, দু'শতাধিক বছর আগে প্রণীত সেই সংবিধানে কেন্দ্র ও অঙ্গরাজ্যগুলির মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্যের বিষয়টিই শুধু নিশ্চিত করা হয় নি, একই সঙ্গে নিশ্চিত করা হয়েছিল রাষ্ট্রের প্রধান তিনটি অঙ্গের মধ্যে যথাযথ ভারসাম্যও -যা আমরা এখনও পারি নি। শুধু তাই নয়, মাত্র ৪ বছরের ব্যবধানে সেই সংবিধানের অন্তর্গত হয়েছিল ঐতিহাসিক 'বিলস অব রাইটস্‌' -যেখানে বাক স্বাধীনতা, সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা, সভাসমাবেশের স্বাধীনতা এবং ধর্মপালনের স্বাধীনতাসহ সর্বপ্রকার মৌলিক অধিকার ও ব্যক্তি স্বাধীনতার নিশ্চয়তা দেয়া হয়েছিল। এতো চমৎকার একটি শুরুর পরও আমেরিকার জনগণকে অনেক রক্ত ও ঘাম ঝরাতে হয়েছিল সেই অধিকারসমূহ অর্জনের জন্য। এখানে যে-কথাটি না বললেই নয় তা হলো কাজটি অনেক সহজ করে দিয়েছিলেন আমেরিকার দূরদর্শী ও দেশপ্রেমিক নেতারা।

দৃষ্টান্ত হিসেবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিঙ্কনের সেই ঐতিহাসিক গেটিসবার্গ ভাষণটিকে এখানে উপস্থাপন করা যায়। পেনসিলভেনিয়ার গেটিসবার্গের নিকটবর্তী যুদ্ধক্ষেত্রে তিনি সংক্ষিপ্ত এ-ভাষণটি দেন ১৮৬৩ সালের ১৯ নভেম্বর। সেই ভাষণে তিনি বলেন - 'মুক্তির চেতনায় উজ্জীবিত এবং সৃষ্টিগতভাবে সকল মানুষই সমান -এই বিশ্বাসের প্রতি নিবেদিত থেকে চার কুড়ি সাত বছর পূর্বে আমাদের পূর্বপুরুষগণ এই মহাদেশে এক নতুন জাতি প্রতিষ্ঠা করেন। এখন আমরা একটি বিরাট গৃহযুদ্ধে লিপ্ত রয়েছিঃ পরীক্ষিত হচ্ছে এই জাতি অথবা এই ধারণায় প্রতিষ্ঠিত এবং উৎসর্গীকৃত কোন জাতিঃ দীর্ঘ সময় টিকে থাকতে পারে কি না। আমরা যারা বেঁচে রয়েছি, বরং আমাদেরই এখানে তাদের অসমাপ্ত কাজের প্রতি নিজেদের উৎসর্গ করতে হবে যার জন্য তারা মহত্ত্বের সাথে এ পর্যন্ত অগ্রসর হয়েছেন।

আমাদেরকেই নিজেদের উৎসর্গ করতে হবে যে কাজ আমাদের সামনে রয়ে গেছেঃ যে, এই সম্মানিত মৃতদের কাছ থেকে অধিকতর আত্মোৎসর্গের প্রেরণা গ্রহণ করি সেই মহৎ কারণের প্রতি যার জন্য তারা তাদের সর্বশেষ ও পূর্ণ আত্মোৎসর্গ করে গেছেনঃ যে, আমরা অত্যন্ত দৃঢ়ভাবে সংকল্পবদ্ধ যে এই মৃতগণ বৃথাই মৃত্যুবরণ করেননিঃ যে, এই জাতি, ইশ্বরের অধীনে, স্বাধীনতার এক নবজন্ম লাভ করবেঃ এবং জনগণের সরকারঃ জনগণের দ্বারা সরকারঃ জনগণের জন্য সরকারঃ দুনিয়া থেকে লোপ পাবে না। ' আমেরিকার দীর্ঘস্থায়ী গৃহযুদ্ধের এক বিশেষ পর্যায়ে গেটিসবার্গের যুদ্ধে প্রাণ হারান প্রায় সাড়ে ৭ হাজার সৈন্য। আত্মোৎসর্গকারী এই সৈনিকদের সম্মানে আয়োজিত সভায় মাত্র ২ মিনিটে দেয়া ২৬৯ শব্দের এ বক্তৃতাটি অন্যতম মহৎ বক্তৃতা হিসেবে স্থান করে নিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে। আজ থেকে প্রায় দেড়শ' বছর আগে স্বাধীনতার নবজন্ম বা নতুন ধারণা, সকল নাগরিকের সমান অধিকার, বহু জাতির সমন্বয়ে যুক্তরাষ্ট্র গঠন এবং গণতন্ত্রকে তিনি যেভাবে ব্যাখ্যা করেছেন তার তুলনা এখনও বিরল। সেই সমৃদ্ধ ঐতিহ্যের পতাকাই বহন করে চলেছেন বারাক ওবামা।

শুধু তাই নয়, আব্রাহাম লিঙ্কন কিংবা মার্টিন লুথার কিংসহ তার পূর্বসূরিরা সকলের সমঅধিকারভিত্তিক যে-আমেরিকার স্বপ্ন দেখতেন একই সঙ্গে তিনি সেই স্বপ্নের অনবদ্য প্রতীকও বটে। আলাস্কার একটি ক্ষুদ্র জনপদ থেকে আসা সারাহ পলিনের ক্ষেত্রেও একই কথা বলা চলে। কে জিতবে আমেরিকার নির্বাচনে -জন ম্যাককেইন না বারাক ওবামা? আমেরিকার বাইরে যে-পৃথিবী সেখানে ভোটাভুটি হলে কে জিতবে সেটা এখনই বলে দেয়া যেতো। কিন্তু নির্বাচনটি যেহেতু আমেরিকার ভেতরেই হবে সে জন্য নিশ্চিত করে কিছু বলা কঠিন। তবে যে-বিষয়টি এখনই নিশ্চিতভাবে বলে দেয়া যায় তা হলো -নির্বাচনের ফলাফল যাই হোক, সেখানে অবশ্যই গণতন্ত্র জয়ী হবে।

জয়ী হবে আমেরিকার স্বার্থ। কারণ বংশপরম্পরায় এমন একটি নিশ্চিদ্র সিস্টেম বা ব্যবস্থা তারা তৈরি করে ফেলেছে যে গণতন্ত্র এবং আমেরিকার স্বার্থের বাইরে গিয়ে সেখানে কারো পক্ষেই নির্বাচনে জয়ী হওয়া সম্ভব নয়। অবশ্য সেই গণতন্ত্র কখনও কখনও ইরাক ও ফিলিস্তিনসহ আমেরিকার বাইরের পৃথিবীর জন্য তিক্ত মনে হতে পারে কিংবা আমেরিকার স্বার্থ অনেকের সর্বনাশের কারণও হতে পারে। কিন্তু সেটা ভিন্ন বিষয়। আমরাও গণতন্ত্রের কথা বলি।

বলি দেশের স্বার্থের কথাও। কিন্তু সেটা ক্ষমতায় যাওয়া পর্যন্ত। তারপরের অবস্থা একেবারেই ভিন্নরকম। অপ্রিয় হলেও সত্য যে এখানে দল বলি, গণতন্ত্র বলি, সংবিধান বলি আর দেশের স্বার্থই বলি -সবার উপরে হলো নেতার অবস্থান। তারপরের অবস্থানটি হলো নেতার পরিবারের সদস্যদের।

সে জন্যই আমাদের এখানে যতো ভালো নির্বাচনই হোক, কখনই গণতন্ত্র বা দেশের স্বার্থ জয়ী হয় না, এমনকী কোনো দলও জয়ী হয় না, জয়ী হন একজন নেতা। সব কৃতিত্ব তার। ফলে দলের তো বটেই, এমনকি দেশেরও সব ক্ষমতাও চলে যায় তার হাতে। সবকিছুর উর্ধ্বে চলে যান তিনি। ফলে যাচ্ছে তাই করতে পারেন।

দলের নেতা-কর্মী-শুভানুধ্যায়ীদেরও সেভাবেই গড়ে তোলা হয়েছে। ওয়ান-ইলেভেনের পর বিস্তর জল গড়িয়ে গেছে সুরমা-কুশিয়ারা-মনু-ধলাই-খোয়াই-পদ্মা-যমুনা-মেঘনা-কর্ণফুলী-গোমতী-বুড়িগঙ্গায়। কিন্তু পাল্টায় নি শোষণ-লুণ্ঠনমূলক ব্যবস্থার কিছুই। এখনও কালো টাকার মালিক ও দুবৃত্তরাই নেতা। এখনও আমলা আর ব্যবসায়ীরাই সব।

লক্ষণ দেখে মনে হচ্ছে, শোষণ-লুণ্ঠন-দুর্বৃত্তায়ন ও অশুভ অগণতান্ত্রিক শক্তির তাণ্ডবে আবারও দেশছাড়া হতে চলেছে যুক্তি ও সহনশীলতা। এগুলো গণতন্ত্রের জন্য মোটেও শুভ লক্ষণ নয়। অবশ্য এও সত্য যে আমেরিকায় গণতন্ত্রের যে চেহারা আমরা দেখছি সেটা একদিনে তৈরি হয় নি। এর পেছনে আছে বহু বছরের বহু আত্মত্যাগ, অনুশীলন ও নিষ্ঠা। তবে বিস্তর বাধাবিপত্তি সত্ত্বেও রাজনীতিই সেখানে গণতন্ত্রের পথকে অবারিত করেছে।

আর আমাদের দুর্ভাগ্য হলো, উপর্যুপরি সুযোগ পাওয়া সত্ত্বেও লুটেরা শ্রেণীর রাজনীতি এখানে গণতন্ত্রের পথরোধ করে দাঁড়িয়েছে। গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে হবে। সবার উপরে স্থান দিতে হবে গণতন্ত্র ও দেশের স্বার্থকে। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে কাজটি অন্তত শুরু হোক। লন্ডন, যুক্তরাজ্য থেকে


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.