আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সিএসবি নিউজ' বন্ধের এক বছর আজ

!!!

আজ থেকে এক বছর আগে এই দিনে (৬ সেপ্টেম্বর ২০০৭, বৃহঃপ্রতিবার) সন্ধ্যা ৬.৩৪ মিনিটে, পাওয়ারফুল চেতনানাশক ট্যাবলেট খাইয়ে অচেতন করে দেওয়া হয় দেশের প্রথম ২৪ ঘন্টার নিউজ চ্যানেল ‘সিএসবি নিউজ’কে। ঐ দিন সরকারি হুকুম কায়েম করতে বিটিআরসি ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার কিছু ডোমেস্টিক প্রাণী এসে প্রথমে খুঁজে বের করে সিএসবি নিউজের অক্সিজেন রুম (ট্রান্সমিশন রুম)। তারপর সবাই মিলে সিএসবি’র গলাটা টিপে ধরে। ডোমেস্টিক প্রাণীদের কেউ একজন মোবাইলে ফোন করে কাকে যেন কনফার্ম করলো “দেখুনতো এখন নিঃশ্বাস বন্ধ হয়েছে কি না ?! ” মোবাইলের অপর প্রান্তে থাকা বিশেষ ব্যক্তিটি কে- (ডাবল-'এম’ এর কোন- ‘এম’!!! ???) সেটা হয়তো আমাদের অজানা। তখন স্পোর্টস লাইন নামক একটি প্রোগ্রাম চলছিল।

ক্রিকেট খেলার একটি দৃশ্যে এসে স্থির হয়ে যায় চলমান ভিডিও চিত্র। বুঝতে বাকি থাকে না দর্শকদের, কয়েক মাসের জল্পনা-কল্পনার অবসান হয়তো এটাই, এটাই হয়তো টিভির পর্দায় সিএসবি নিউজের শেষ দৃশ্য। দর্শকরা নিশ্চিত হয় বিভিন্ন চ্যানেলের খবর থেকে। শুধু সিএসবি নিউজই নয়, গত এক বছরে বন্ধ হয়েছে দেশের একাধিক মিডিয়া। মিডিয়াই তখন মিডিয়ার পাতায় লিড নিউজ হয়েছে।

বন্ধ হয়েছে ১৬ বছর ধরে প্রকাশিত হওয়া ‘দৈনিক আজকের কাগজ’। যদিও আর্থিক সংকট দেখিয়ে পুরনো এই মিডিয়াটি বন্ধ হওয়ার কারণ দেখানো হয়। কিন্তু কাজী শাহেদ আহমেদের যে টাকার অভাব থাকতে পারে তা অনেকেরই বোধগোম্য নয়। এর পেছনেও যে রুহানি জগতের হুকুম ছিল তাও হয়তো কারো বুঝতে বাকি নেই! তারপর নেক্সট টার্গেট ছিল, ‘দৈনিক প্রথম আলো’। খুঁটির জোর থাকায় বেঁচে যায় প্রথম আলো।

তারপর টার্গেটে পরে যায় ‘একুশে টিভি’। কয়েকবার মৃত্যুকুপ থেকে ফিরে আসে একুশে টিভি। সে সময়কার চলমান সব মিডিয়াগুলোতেই আমরা দেখতে পেয়েছি বিটিভির চিরাচরিত রূপ। “দেশে উন্নয়নের জোয়ার বয়ে যাচ্ছে... বাজার দর স্থিতিশিল..., এমন আরও কত্ত কি!। যাহোক গাড়িতে চড়লে ড্রাইভারের সাথে খারাপ ব্যবহার করতে নেই (নইলে পরকালের ভিসা)! সবাই তাই করেছে! সবাই হাত পা গুটিয়ে বসেছিল, কারণ দেশে তখন চলছিল ‘অপারেশন মিডিয়া নিধন’! দেশের কয়েক হাজার মিডিয়াকর্মী তখন বেকার হয়ে পড়ে।

আবার সিএসবি’র কথায় আসি, প্রায় ৪শত কর্মীর রঙীন স্বপ্ন নিয়ে শুরু হয়েছিল সিএসবি নিউজের যাত্রা। কিন্তু সেটা যে দুঃস্বপ্ন ছিল তা স্বপ্ন দেখার আগে কেউ বুঝতে পারেনি। তাই মাঝপথে এসে যখন সবার স্বপ্নগুলো দুমরে-মুচরে যায় তখন অনেকের জীবনেই সৃষ্টি হয় মারাতœাক ক্ষত। সেই ক্ষত কারও শুকিয়ে গেছে, কেউ কেউ নতুন কোথাও দাঁড়াবার জায়গা খুঁজে পেয়েছে, আবার কেউ কেউ এখনও সেই ক্ষত বহন করেই বেরাচ্ছে। যাহোক, কেউ কেউ ইচ্ছাকৃত ঘুমায়, কাউকে জোড় করে ঘুম পাড়ানো হয় আবার সময় হলে কেউ কেউ এমনিতেই ঘুমায়।

সিএসবি’র ঘুম পাড়ানো ছিল জোড় করে ঘুম পাড়ানোর মতোই। এর পরিচালনা পরিষদে যারাই থাকুক না কেন, এর সাথে কাজ করতো যে ৪শতাধিক সৈনিক, তাদের কোন দোষ ছিল না। তাই সিএসবি নিউজ বন্ধ না হলেও পারতো। আজ হোক কাল হোক সিএসবি নিউজ চেতনা ফিরে পাক, সিএসবি আবার জেগে উঠুক... শুভ কামনা.... @ সুধারাম সাধু

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।