জীবনে সুখের মূল কথা হল - এই পৃথিবীর কেউ বা কোন কিছুই তোমার জন্য নয়।
আজ হঠাৎ করে বিকাল থেকে বন্ধ হয়ে গেল বাংলাদেশের প্রথম ২৪- ঘন্টার নিউজ চ্যানেল সিএসবি। মনে করিয়ে দিল একুশে টিভি'র বন্ধ হয়ে যাওয়ার সময়টিকে।
যে কারন দেখানো হয়েছে সেই সম্বন্ধে কিছু কথা বলতে চাচ্ছি। যেভাবেই হোক অথবা যে কারনেই হোক সিএসবি বন্ধ করার কারন যে দুটো চিঠি তা দেখার সুযোগ আমার হয়েছে।
চিঠি দুটির ভাষা হুবহু একই রকম, শুধো তারিখ দুটি ভিন্ন। সিএসবি'র ভাষ্যমতে, দুটি চিঠিই তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো হয়েছে ফ্রিকোয়েন্সি বরাদ্দের অনুমতি দিয়ে। আর তথ্য মন্ত্রণালয় বলছে, একটি চিঠি ঠিক, অন্যটি নয়। চিঠি দুটো পাঠানোর সময়ের ব্যবধান মাত্র ২ দিন। একটি ১৭/১০/০৬, অন্যটি ১৯/১০/০৬।
১টি চিঠি যদি আসল নাও হয়ে থাকে তা-ও কিন্তু সমস্যা ছিল না। কারন, সরকারের অনুমতি ছিল তা তো ২য় চিঠিই প্রমান করে। মূল ব্যাপার হল সিএসবি নিজেই দুটি চিঠিই সরকারের কাছে উপস্থাপন করেছে। সিএসবি'র যদি অসৎ উদ্দেশ্য থাকত, তাহলে এটা করত না।
আরো একটি ব্যাপার হচ্ছে - সিএসবি কে বন্ধের সব কার্যক্রম সরকার শুরু করেছে ২২ আগষ্টের পর।
তার মানে হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনার পর তড়িঘড়ি করে বন্ধ করার জন্য এই কাজটি করা হয়েছে। সরকারের আসল উদ্দেশ্য তাই ভাল মনে হচ্ছে না।
সিএসবি নিউজ এর ইন্টারন্যাশনাল লিংক সম্পর্কে কিছু কথা- এদেশ তো বটেই উপমহাদেশের সম্ভবত একমাত্র টিভি যেটা সরাসরি রয়টার্স এর অনুষ্ঠান নিজেদের লোগো ব্যবহার করে দেখানোর অনুমতি সংগ্রহ করেছে। যেকোন আন্তর্জাতিক অনুষ্ঠান দেখাতে পারবে তারা। সিএসবি'র নিউজ পার্টনার হচ্ছে রয়টার্স, এপিটিটিএন, এনডিটিভি সহ আরো অনেকে।
এরকম একটি সম্ভাবনাময় এবং অতি অল্পদিনেই জনপ্রিয় নিউজ চ্যানেল সিএসবি'র বন্ধ হওয়ার একমাত্র কারন হল এর নিরপেক্ষতা। এ ব্যাপারে আমি সবাইকে তীব্র প্রতিবাদ এবং জনমত গড়ে তোলার অনুরোধ করছি। কারন, মিডিয়ার মুখ বন্ধ করার অর্থই হল - জনগণের মুখ বন্ধ করা।
ছবি: বিডিনিউজ২৪
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।