আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিশ্বাসী বেশ্যারা চিরজীবী হও

পাখি এক্সপ্রেস

পৃথিবী সৃষ্টি হয়েছে আবার পৃথিবী ধ্বংসও হবে। ধ্বংস হওয়াটা খুব জরুরী বলেই পৃথিবী সৃষ্টির পর থেকেই এর ধ্বংসের সার্বক্ষণিক মহড়া চলছে। সেই মহড়াকে শক্তি দিতে সময়ের গর্ভে নিষিক্ত হতে থাকে কিছু বিষয়ের। যে বিষয়গুলো আমাদের সামনে আয়নার ভিতরের স্বচ্ছতার দাবি করে। যদিও আয়নার গায়ে শক্ত একটা ফ্রস্টেড পেপার লাগানো আছে।

তাই আমরা বরাবরই অন্ধ থাকি বা থাকতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি। পৃথিবীর স্থায়িত্বকালে কিছু বিষয় বা আবহ চিরন্তন হওয়ার সুযোগ লাভ করে। যে বিষয়গুলোকে শুভ ভাবার কোন কারণ ঘটেনা, আবার ঘটে! বিষয়গুলো যদি আমার বা স্বগোত্রীয় সৃষ্টি হয়, তবে তা আমার জন্য অবশ্যই শুভ। সেই শুভ অশুভ’র দোলাচলে পৃথিবীতে চিরন্তন বলে একটি বিষয়ের চিরঞ্জীবনী সনদ নিশ্চিত হয়ে গেছে। তা হলো ‘মহামারি’।

সময়ের নাকের উপ দিয়ে অনেক মহামারি আসলো গেলো, আরও আসবে যাবে। সময়কে চোখ ত্যাড়া করে দেখা অতীত মহামারির নাম নিতে কুন্ঠিত হচ্ছি। তাই বর্তমানের কথা বলছি। বর্তমানের চেহারায় যে বলিরেখার অবস্থান স্পষ্টত:ই বর্তমানকে বুড়ো করে দিচ্ছে তা হলো ‘অনুভূতি’। এই অনুভূতির শক্তির বাহুল্যতার কথাই বলা বাহুল্য! “অনুভূতি” শব্দটার বিশালতা বিশালের চেয়েও বিশাল।

এর ঘ্রান শক্তি কুকুরের চেয়েও বেশী। আবার এর শোষন ক্ষমতা জোঁকের চেয়ে বেশী। এই একটি বিষয়ের শক্তি পারমানবিক বোমার চাইতেও বেশী। উপরন্তু ঐ বোমার সৃষ্টিও অনুভূতিতে আঘাত লাগার ফলেই হয়েছে। অনুভূতি’র ব্যাপ্তি সকল জীবের মাঝে।

সকল জীবের মধ্যে আবার মানুষের অনুভূতি অতীব প্রবল এবং প্রকট। অন্যপ্রাণী যেমন, সাঁপ, কুকুর, নেকড়ে, বাঘ, সিংহসহ হিংস্র অন্তর্ভূক্তিতে যা আছে, তাদের অনূতিতে আঘাত এলে আঘাতকারীর সমূহ বিপদের আশংকা থাকে। অন্যদের ক্ষতির আশংকা নেই বললেই চলে। কিন্তু একমাত্র মানুষই আছে, যার অনুভূতিতে আঘাত লাগলে সামষ্টিক ক্ষতির কারণ ঘটে। বেশ কয়েকটি যৌগিক অনুভূতি মানুষের বিকাশকে ভেঙ্গে দিচ্ছে।

এই ভেঙ্গে দেয়াকে প্ররোচিত করে মানুষের অনুভূতিকে আরো ধংসাত্মক হতে ইন্দন যোগাচ্ছে "বিশ্বাস" নামক আরেকটি বিষয়। বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে নেয়া বহমান সময়ের মাঝে নিজ অবস্থান প্রকাশের আগেই আমরা বলতে শিখে গেছি "আমার বিশ্বাসই সেরা!!" হতে পারে; যদি তা হয়ও- তবে আমার কোন সমস্যা থাকার কথা নয়। সমস্যা তখনই হয় যখন তোমরা যারা বিশ্বাসী, তাদের সামনে যখন আমার অবিশ্বাসগুলো প্রকাশ করতে থাকি তখনই তোমরা যৌন যন্ত্রনায় ভোগা বিরান মানবীর মতো তোমাদের বিশ্বাসের তরবারিগুলোকে নগ্ন করে ফেল। তোমার বিশ্বাস আর আমার অবিশ্বাসকে মুখোমুখি করে ফেল। তা তুমি করতেই পারো! আমি বলবো- তাও তোমার অধিকার।

যদিও মোটেও তুমি অধিকার চেতন নও। আমার অবিশ্বাসগুলোকে তোমার বিশ্বাসের শত্রু বলে ধরে নিলেও আমি বিস্মিত হবো না। কারণ আমার ভালোই জানা আছে- তোমার জন্মের পরই তুমি বিশ্বাসের আলখেল্লায় নতুন গজে উঠা শরীরটাকে পুরে নিয়েছো। যে আলখেল্লার বুক পকেটে মৃত্য নামক এক ভয়ানক আফিম জমা আছে। যার স্বাদ তুমি পাবে না।

তুমি পাবে অলৌকিক মৃত্যুর স্বাদ। তোমার মৃত্যু তোমার স্রষ্টাই নিয়ন্ত্রন করে কারণ তুমি বিশ্বাসী। আর আমার মৃত্যু তুমি (তোমরা) নিয়ন্ত্রন করো, কারণ আমি অবিশ্বাসী। এতোদিনেও আমার জেনে নিতে অসুবিধা হয়নি যে, বিশ্বাসীর মৃত্যু স্রষ্টার হাতে আর অবিশ্বাসীদের মৃত্যু বিশ্বাসীদের হাতে। তোমার জন্মান্তরের পরে নেয়া আলখেল্লার সাইড পকেট গুলোতেই সেই বাণী জ্বলছে চিরন্তর।

তোমার বিশ্বাসগুলোকে তুমি নিজে তৈরি করে নিতে পারোনি। অথচ আমার অবিশ্বাসগুলোকে আমি নিজেই তৈরি করে নিয়েছি। কারণ এগুলো উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া নয়। ধার করে নেয়া বিশ্বাসের মূল্য আমার মৌলিক অবিশ্বাসের চেয়ে মূল্যবান হতে দেখলে আমি মোটেও নিরাশ হই না, ভেঙ্গে পড়ি না। কারণ আমার ভাবনা বিশ্বাস নিয়ে নয়।

আবার আমি বিশ্বাসীও বটে, কারণ তোমরা যে কেবলই বিশ্বাস ভঙেগর কারণে ভেঙ্গে পড়বে এ বিষয়ে আমি লৌকিকভাবেই একমত হতে পারি। এটাও এক ধরনের বিশ্বাস। যা তোমাদের অবিশ্বাস। হুমায়ুন আজাদ স্যারের "আমার অবিশ্বাস" গ্রন্থে আমি বিশ্বাসের চেয়ে অবিশ্বাসের কথায়ই বেশি পড়েছি। পড়েছি আর ব্যথিত হয়েছি।

ব্যথিত হওয়ার নিরাপদ অবস্থানে কিন্তু বিশ্বাস ছিলো না। ছিলো অবিশ্বাস। তোমাদের অনুভূতি আর বিশ্বাসের সঙ্গমে যে ধ্বংসের উৎপত্তি হয়েছে- তাতেই হুমায়ুন আজাদ স্যার অতীত হয়ে গেলেন। "বিশ্বাসীরা বরাবরই হিংস্র হয়" হুমায়ুন আজাদ স্যারের কথাটি প্রমাণিত হতে হতে এখন অনেক কিছু দেখেই আর দীর্ঘশ্বাস পড়ে না। সত্যমানবরা দৈহিকভাবে বাঁচেন না।

তবে আত্মিকভাবে ধ্বংস হয়ে যাওয়া মানুষগুলোর চাইতে বেশিদিনই পৃথিবীতে বেঁচে থাকেন। স্যারও বেঁচে থাকবেন। থাকবেনতো বটেই। কোন সেন্দহ নেই। আমি আরও কিছু বিষয় বিশেষজ্ঞ না হয়েই ভালো জানি- যেমন ধরো... "আমি তখনই বেঁচে থাকার অধিকার হারিয়ে ফেলবো, যখন আমি সত্য কথা বলতে শিখবো।

আমার মৃত্যুর জন্য দায়ী হবে বিশ্বাস আর অনুভূতি। " আমার মৃত্যুকে আমি স্মরণীয় করে রাখতে চাই। রাখতে চাই এই জন্য যে, যে যত বেশি জ্ঞানী হবে সে ততোই আগে মরবে। কারণ জ্ঞানপাপীরা জ্ঞানের সাথে লড়াইয়ে পেশীর ব্যবহার করে। তিল তিল করে ঘড়ে তোলা আমার মৌলিক জ্ঞানের উপর ভিত্তি করে প্রকাশ করা আমার অনুভূতি যখন তোমার সামনে যাবে, তখন সে তোমার ধার করা (উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া) বিশ্বাস আর অনুভূতির যৌথ পবিত্রতায় ফিরে আসবে মৃত্যুর পরোয়ানা নিয়ে।

তুমি হয়তো ভাবছো যে... কথাগুলো তোমাদের ভেতরই গোপন থাকে। হা হা হা... আসলে তা নয়। আমরা অবিশ্বাসীরা তা অনেক আগেই জেনে ফেলেছি। আরো জানবো, কারণ তুমি প্রতিরাতে নারীর মাংস চুষে খেয়েও স্বীকার করার সাহস পাও না। অথচ আমি হরিজন সম্প্রদায়ের বালিকার বুকের সৌডলতা দেখে মুগ্ধ হয়ে তা প্রকাশ করার সৎ সাহস রাখি।

আমি নির্দ্ধিদায় বলতে পারি, কবিতা আর নারীর বুকের উষ্ণতা পৃথিবীর যেকোন সুখের চেয়ে বেশি। তুমি তা পারে না। কারণ তুমি অন্ধকারে লোকচক্ষুর আড়ালে অনেক কিছু করতে জানো, আবার দল বেধে উপাসনালয়েও যেতে পারো। পারো না কেবল স্বীকার করতে- প্রতি রাতে কয়জন নারীর যৌনাঙ্গ চুষে কামরস পান করো। তুমি অনেক কিছুই করতে পারো, পারো না বলতে।

আর আমার করার গন্ডিও অনেক বড়ো আবার বলার গলাও অনেক জোরালো। তুমি পাপ করার সময় যাবতীয় বিশ্বাসকে আলখেল্লার অন্ধকারে রেখে ঘটনার ক্রিয়ারস ক্ষেপনের পর আবার অতিশয় বিশ্বাসী হয়ে সামাজিক হয়ে যাও। সমাজকেও ভয় পেতে শুরু করো, কারণ তুমি বিশ্বাস করো সমাজ তোমাকে বের করে দিবে- যদি তুমি বলো যে একজন পুরুষের মলদ্বারে তোমার লিঙ্গটি তুমি কোন পিচ্ছিল পদার্থ ছাড়াই প্রবেশ করিয়েছো। অথচ তুমি নির্দ্ধিধায় তা করতে পারো। যে ছেলে হুড তোলা রিকশায় বসে বসে প্রেমিকার স্তন পেষাতে পারে।

সুযোগ পেলেই সেলোয়ারের ভেতর হাত ঢুকিয়ে প্রেয়সীর যোনীপথের পিচ্ছিল ভালো লাগা নিয়ে নিজ বীর্যপাত ঘটাতে জানে, সেও যেন তসলিমার নাসরিনের নাম শুনে তাকে অভিসম্পাত করতে চায়। যদিও সে রিকশায় বা কোন নির্জন স্থানে বা কোন বদ্ধ ঘরে প্রেমিকার কাঁচা মাংস চিবিয়ে খেলেও প্রেমিকা ছাড়া কেউ জানার আশংকা থাকে না। ভন্ডামির পিঠে চড়ে যে কোন স্পষ্টবাদির স্পষ্টতায় তোমাদের স্পর্ধা জেগে উঠতে দেখেও আমি স্বাভাবিক থাকি। কারণ আমি বিশ্বাসীদের দলে নই। তসলিমা নাসরিনকে নিয়ে ক'দিন পরপরই ব্যাপক সমালোচনা/আলোচনা হয়।

যার অধিকাংশের ফলাফলেই তার বুকে পিঠে বেশ্যার সাইনবোর্ডটা খুব ভালোভাবে লাগে। জীবনের অনেক পঁচা বিষয়কে মাড়িয়ে স্বধীন হওয়ার অন্তিম বাসনা নিয়ে লালিত স্বপ্নের পিঠে চড়ে একবার এই দেশে আবার সেই দেশে আশ্রয় খুজে চলেছেন তসলিমা নাসরিন। স্রষ্টার পৃথিবীটা স্রষ্টারই এক সৃষ্টির জন্য নরক হয়ে গেল। যেন সে এ পৃথিবীর কেউ নয়, স্রষ্টার সৃষ্টিও নয়। শুধুমাত্র আত্মজীবনী লেখার কারনেই আজ তসলিমা ঘৃনিত, লাঞ্চিত।

আত্মজীবনীতো অনেকেই লেখে। আজকালতো তা একটা ফ্যাশন। খ্রীশ্চিয়ান ধর্মগুরু অগুস্তঁ (৩৪০-৪৪৩ খ্রিঃ) থেকে শুরু করে পাকিস্তানি স্বৈরশাসক পারভেজ মোশাররফ পর্যন্ত অনেক আত্মজীবনীই বিখ্যাত হয়েছে। বেশকিছু আবার বিতর্কিতও হয়েছে। খ্রীশ্চিয়ান ধর্মগুরু অগুস্তঁ (৩৪০-৪৪৩ খ্রিঃ) তার জীবনীতে আলজেরিয়ায় অবস্থান কালে তার অনেক অসামাজিক বাঁধহীন জীবনের কথা উল্লেখ করেছেন।

যেখানে নারীভোগ থেকে শুরু করে স্বলিঙ্গের মৈথুনানন্দও রয়েছে। ফরাসি লেখক জ্যঁ জ্যাক রুশো (১৭১২-১৭৭৮ খ্রিঃ) তার জীবনীতে জীবনের নানান কুকীর্তির কথা তুলে ধরেছিলেন, অথচ সে সময় তার অনেক ভক্ত। কোন কিছুর তেয়াক্কা না করে অকপটে স্বীকার করেছেন সবকিছু। সমসাময়িক রাশিয়ায় বসবাসরত ফরাসি লেখক মাদমাজোল গতোঁ তার জীবনীতে লিখেছেন, "মাদাম দ্য ওয়ারেন" যাকে আমি মা বলে জানি, তাকে দেখেও আমার যৌন আকাংখা জাগে। " বেঞ্জামিন ফ্যাঙ্কলিন (১৭০৯-১৭৯০) তার যৌনতার উম্মালাত ছান্দসিক বর্ণনা দিতে গিয়ে তার জারজ পুত্রকে ঘরে তুলে আনার কথা বলেছেন।

রবার্ট রাসেল তার জীবনীতে বিভিন্ন রমনীর সাথে মৈথুনানন্দের কথা লিখে গেছেন। রাশিয়ার বিখ্যাত লেখক এবং দার্শনিক লিয়েফ তলস্তয় লিখেছেন চৌদ্দবছর বয়সেই তার জীবনে রক্ষিতাদের আগমনের কাহিনী। সমাজের অনেক নিচুতলার এবং দরিদ্র মেয়েদের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে তাদের সাথে দৈহিক সম্পর্ক, এমনকি এতে করে যৌন রোগে ভোগার কথাও গোপন রাখেননি। তার বিখ্যাত গ্রন্থ রেজারেকশন (পুনুরুজ্জীবন) এ লিখেছেন আরও অনেক কিছু। বর্তমান সময়ের ফরাসি লেখিকা ক্যাথরিন মিলে তার নিজের কথায়ই লিখেছেন নিজের লেখা La vie sexuelle de Catherine M নামক বউয়ে।

ষাটের দশকে তার বহু পুরুষ ভোগের কথা নিখুত ভাবে বর্ণনা করে গেছেন। যা পড়লে যৌন ভাবে দুর্বল পুরুষদের বীর্যপাত ঘটারও সম্ভাবনা আছে। গ্যাব্যিয়েল গর্সিয়া মার্কোজ তার Vivir para contarla বইতে নারীদের সাথে লীলাখেলার কথা একটুও বাদ রাখেননি। এতে করে কি তার জনপ্রিয়তায় ফাটল ধরেছে? বা তার নামে কেউ আদালতে মামলা করেছে? রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরও তার আত্মজীবনীতে কিছু কথা লিখে গেছেন। বাল্য বিবাহের বিরুদ্ধে কথা বলেও তার আনিন্দ্য সুন্দরী কিশোরী মেয়েকে কেন কিশোরী থাকতেই বিয়ে দিলেন? তার পিছনে কি কবিগুরুর যৌন ভয় কাজ করেনি? গোপনে অনেক কিছুই ঘটে।

দুর্বল চিত্তের মানুয়েরা তা গোপন রাখে আর সবল চিত্তের সত্য প্রিয়রা তা প্রকাশ করেন। তসলিমাও তা প্রকাশ করতে চেয়েছেন জীবনে যত ঘাটের জল খেয়েছেন সবঘাটের সর্দার আর যত নৌকায় চড়েছেন সব নৌকার মাঝির নাম প্রকাশ করেছেন। তাতেই দোষ হলো? তার লেখতে স্তন, নিতম্ব, বীর্য, জরায়ু এই শব্দ গুলো আছে এই জন্য? তবে কি নারীর একান্তই নিজস্ব স্তন, স্তন মুকুল, নিতম্ব, জরায়ু, ঋতুস্রাব, এই শব্দ গুলো নিয়ে লেখার অধিকার শুধু পুরুষেরই আছে? এক নারী তার জীবনীতে কি লিখবে, তার সীমানা কি মোল্লারা আর হরিদাস পালেরা লিখে দিবে? মন মতো না হলে তাকে অবাঞ্চিত ঘোষনা করা হবে? তারার তসলিমা নিজ দেশ চেড়ে আরেক বাংলাতে আশ্রয় নেন। সেখান থেকেও বিতাড়িত হয়ে সুইডেনের আশ্রয়ে গেলেন। আর আমরা দিব্যি এদেশে হাওয়া খাচ্ছি।

অন্ধকারে প্রণয়ে মেতে চলছি। অথচ এ দেশেরই এক নারী (নাগরিক) নামে বেনামে অনেক পুরুষের প্রমোদ সঙ্গিনী হয়ে আজ দেশান্তরিত। কিন্তু যাদেরকে সুখ দিয়ে গেলেন (বাধ্য হয়ে) আজ তারা সু-নাগরিকের বেশেই আছেন। যারা মুখোশধারী, স্বভাবতই তোমরা সু-নাগরিক থাকবে। কারণ তোমরা বিশ্বাসী।

বিশ্বাসী বলেই পাপ করতে পছন্দ করো আবার গোপন রাখতে ভালোবাসো। তোমাদের বিশ্বাস আর অনুভূতির তোপে পড়ে আমাদের মৃত্যু ঘটলেও আমরা স্বাভাবিক থাকি। কারণ আমাদের বেঁচে থাকা না থাকা বিশ্বাসীদের হাতে। যা তোমাদের স্রষ্টাই তোমাদের বলে দিয়েছে।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.