আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

২১শে আগষ্টের নারকীয় হামলা - কিছু অমিমাংসিত প্রশ্ন...

যুদ্ধাপরাধীর বিচার ও জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবী করছি

আজ থেকে চারবছর আগে ২১ এ আগস্টের নারকীয় হামলার মাধ্যমে জামাত-বিএনপি জোট তাদের ক্ষমতায় যাওয়া ও সেই ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করার পরিকল্পনা বাস্তবায়নের চেষ্টা করেছে - এই বিষয়টা আজ পরিষ্কার। আইভি রহমান, আদা চাচা সহ অনেক নিরিহ মানুষ নিহত হয়েছে সেই হামলায়। আজ চার বছর হতে চললো। সেই হামলার পর বিএনপি সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী যিনি হাওয়া ভবনের লোক হিসাবে পরিচিত ছিলেন - তার করিতকর্মা পদক্ষেপে মামলাকে যথাযথ ভাবে বিপথে পাঠানো হয়েছে। একজন হিরোইন সেবীকে দিয়ে একটা মিথ্যা মামলা দাড়া করা হয়েছিলো।

অনেক নিরিহ মানুষকে অপদস্থও করা হয়েছে েই মামলার নামে। মোট কথা সরকারের সক্রিয় প্রচেষ্টায় যাতে সত্য না বেড়িয়ে আসতে পারে তা পরিপূর্ন ভাবে লক্ষ্য রাখা হয়েছিলো। আজ কোর্ট একটা মামলা চলছে। সেখানে সাবেক বিএনপি সরকারের মন্ত্রী আসামী। মামলার চার্জসিট থেকে যা জানা যায় - তাতে দেখা গেছে এই হামলার মোটিভ আর গ্রেনেডের উৎসের বিষয়টা অন্ধকারে রাখা হয়েছে।

এই দুইটি বিষয়ে তথ্য না জানা গেলে হয়তো প্রকৃত অপরাধীরা নিরাপদে থাকতে আর ভবিষ্যতেও এই ধরনের ভয়াবহ ঘটনা ঘটবে। যে প্রশ্নগুলোর উত্তর জানা দরকার - ১) এই হামলার মুল পরিকল্পনাকারী কে বা কারা। ২) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী মামলাকে ভিন্ন খাতে পাঠানোর জন্যে কেন এবং কার নির্দেশে কাজ করেছে ( মন্ত্রী অবশ্যই প্রধানমন্ত্রীর কাছে জবাবদিহি করে) ৩) হামলায় ব্যবহৃত আর্জেজ গ্রেনেড যা অস্ট্রেলিয়ায় তৈরী তা কোনভাবেই মুফতি হান্নানের মতো জংগীদের হাতে আসার কথা না - কে কোথা থেকে এই গ্রেনেড গুলো দিলো। ৪) একজন প্রতিমন্ত্রীর বাসায় বসে এই হামলার পরিকল্পনা হয়েছে - সেই প্রতিমন্ত্রী কার নির্দেশে এই কাজ করেছে। ৫) বিগত সরকার কেন এই মামলাকে ভিন্নখাকে পাঠালো, এই কাজ করতে যে সকল সরকারী কর্মকর্তা আর কর্মচারী জড়িত ছিলো এরা কোথা থেকে নির্দেশ পেল।

আসল ঘটনা গোপন রেখে যখন শুধু হামলাকারী জঙ্গীদের ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলানো হবে - তখন হামলার পরিকল্পনাকারীরা নিরাপদ হয়ে যাবে। তাইলে প্রশ্ন আসে - এই সরকারের মধ্যে কি এখন কোন গোষ্ঠী লুকিয়ে কাজ করছে যারা প্রকৃত হামলার পরিকল্পনাকারীদের নিরাপদ করতে চায়? যতদিন পর্যন্ত না সরকারী সংস্থার কাজ স্বচ্ছ না হচ্ছে - যতদিন পর্যণ্ত আইন নিজস্ব গতিতে না চলতে পারছে - যতদিন পর্যন্ত ৭১ আর ৭৫ এর অপরাধীরা নিরাপদে দেশের ভিতরে থেকে আইনের গতিতে বাধাগ্রস্থ করছে - ততদিন পর্যন্ত বাংলাদেশের গনতান্ত্রিক শাসন আর নিরাপদ সমাজ প্রতিষ্টার সোনার হরিণটা অধরাই থাকবে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।