আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

স্বঘোষিত ঈশ্বরেরা (বাকীটুকুন)

সাব্বির ভাইয়ের জন্য আরো দশ লাখ টাকা দরকার। মানবতার দিকে তাকিয়ে আছি।

ভাব্লাম, আজকেই না লিখলে আর লেখার ইচ্ছা নাও হতে পারে, তাই বাকী অংশ দিচ্ছি। আগের অংশের লিঙ্ক ৪. ইয়ামাগুচি নামে সিভিলের এক প্রফেসর আছে। তার তত্ত্বাবধানে বাংগালী একজন মাস্টার্স করে গেলেন।

উনার স্ত্রী আসার কথা দেশ থেকে। নারিতা থেকে সাইতামাতে ভাবীকে নিয়ে আসতে উনি যাবেন, এটাই স্বাভাবিক। ইয়ামাগুচির সাফ কথা, এই সামান্য কারণে সাপ্তাহিক সেমিনারে অংশগ্রহণ না করার অজুহাত দেয়া যাবেনা কিংবা অন্যদিনও সেমিনার করা যাবেনা। শুধুমাত্র এই কারণে টিকিট কনফার্ম করেও ভাবীর আসার তারিখ দুবার বদলাতে হল। ইয়ামাগুচি যে কারো ডিফেন্সে অবধারিতভাবে যে কথাটা বলবে, তা হল "What you did is simply meaningless!" যত ভালো কাজই হোক, তার মন ভরেনা।

এই ডায়লগটা এখন প্রবচন হয়ে গেছে আমাদের মাঝে। ৫. আরেক সুভা ঐতিহাসিক বজ্জাত। কোন ছাত্রের একটু ত্রুটি পেলেই ঝাড়িসমেত মেইল ল্যাবের সবাইকে ফরোয়ার্ড করবে। ৬. এবার বলি আমার বর মাসুমের সুভার কথা, মূলত যার অনুপ্রেরণাতেই আজকের এসব প্যাঁচাল। তার হাজারো সমস্যা।

প্রধান সমস্যা হল তার কোন নির্দেশনা সুস্থির নয়। আজ একটা কাজ করতে বললে, পরদিনই সেটার বিকল্পটা কেন করা হলোনা, এই বিষয়ে বয়ান দিবে। আবার বিকল্পটা করতে গেলে একমাস পরে আবার আগেরটাতেই ফিরে যেতে বলবে। ছাত্রের থিসিস দিয়ে সে নিজের নামে পেপার করে বেড়ায়, সে ছাত্রের কোন নামই উল্লেখ থাকেনা। কোন পেপার লিখে দিলে সেটা একমাসের আগে পড়েনা।

কিন্তু মন্তব্য জানতে চাইলে স্বীকারও করেনা যে সে পড়েনি। উলটো বলবে, "What you wrote is not readable. This is not an elementary school" অথচ পুরাই ধরা যাচ্ছে সে ব্যস্ততার জন্য সময় বের করতে পারেনি। সেটা সোজাসুজি না বলে ছাত্রের একটা নিরর্থক ভুল বের করে অপমান করার চেষ্টা করবে। একটা পেপার একবছর ধরে লিখা হচ্ছে, কোথাও জমা দিতে দিচ্ছেনা সে। শুধু বলে আরো ইম্প্রুভ কর।

আরে বেটা, একটা পেপার তো সারাজীবন ধরেই লিখে যায়, মান উন্নত করা যায়, তাই বলে কী কোথাও সাবমিট করা যাবেনা? ডিগ্রি দেয়ার প্রাক্কালে সে বলে, ভালোমানের জার্নাল পেপার ছাড়া তো ডিগ্রি দেবোনা, অথচ আড়াই বছরের অধিক কাল ধরে বলে আসছে, "পেপার আমার কাছে কোন বিষয় না। কাজটাই মুখ্য। " প্রতিবাদ করারও কোন উপায় নেই, এদের কাছে হাত পা বাঁধা । একটা ছাত্রকে মানসিক নিপীড়নের উপরে এই সুভাগুলিরে সম্ভবত কোর্স করানো হয় চাকরির প্রারম্ভে। ৭. জাপানে পিএইচডি করতে আসা একজন নাকি তার সুভার উপরে এতটাই বীতশ্রদ্ধ হয়ে পড়ছিলো যে, দেশে ফিরে সে ওই লোকের নামে একটা কুকুর পোষা শুরু করে , আর রোজ কুত্তারে একটা লাথি দিত মনের ঝাল মেটানোর জন্য।

আপাতত শেষ

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.