যদি ভুল পথে এসে থাকি তবে জেনো ভ্রান্তিই আমার ধ্রুব। দেশের YOUNG GENERATION দের কি করুণ অবস্থা! ভবিষ্যৎ কেমন হবে!
ভেবে দেখেছেন কি?
আজব এক দৃষ্টিভঙ্গি ছড়িয়ে আছে আমাদের দেশে_ কেউ খুব বেশি ইসলামিক হলে তাকে এরাবিয়ান হিসেবে গণ্য কর হয়! আর "তাকে আরব দেশে পাঠানো হোক" রব ওঠে। নতুবা জামাত-শিবির-রাজাকার বলে অপমানিত করা হয়। কারণ আমরা তো বাংলাদেশি! শান্তিপূর্ণ (!) এক ধর্ম নিরপেক্ষ জাতি। আর এটা প্রমাণ করতেই ঈদের নামাজ শেষ করে হোলি উৎসবের জন্য অপেক্ষা করতে থাকি।
আর তারপর "ক্রিস্টমাস ডে"...পারলে গৌতম বুদ্ধকে একটা সালাম ঠুকে আসি..তাও যদি অসাম্প্রদায়িকতা রক্ষা করা যায়!!
কী বিদঘুটে ব্যাপার তাই না??? আমরা নিজেরাই নিজেদেরকে একটা বিদঘুটে জাতিতে পরিণত করার চেষ্টা করে যাচ্ছি অবিরত! দেশপ্রেম রক্ষা করার জন্য নিজেদের মধ্যেই বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছি। না সরকার আমাদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়, না বিরোধী দলগুলো হয়, আর না আমরা নিজেদের মধ্যে ঐক্য ধরে রাখতে পারি!
আমাদের অনৈক্য হওয়ার পেছনে সব চেয়ে বড় কারণটা হল ধর্মীয় বিরোধ। ২ টী বিশেষ ধর্মকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য বর্তমানে খুব তোড়জোড় দেখা যাই_ ১। ইসলাম ধর্ম ২। মানব ধর্মের নামের এক পাঁচমিশালী ধর্ম।
অথচ বাংলাদেশে আমরা প্রায় ৯০% মানুষ নাকি ইসলাম ধর্মের অনুসারী!!!
আসল ব্যাপার টা হল " ইসলাম মানে শান্তি" এটা উপলব্ধি করার চেয়ে মুখস্থকারীর সংখ্যা বেশি।
মুসলমান ভাই-বোনদেরকে বলছি_ সমাজকে আর নিজেকে খুশি করার উদ্দেশ্য বাদ দিয়ে, আল্লাহ্কে খুশি করার জন্য ধর্মকে ব্যাবহার করে দেখুন..শান্তি কি জিনিস বুঝতে পারবেন। আর অনাকাঙ্ক্ষিত আণেক অশান্তি দূর হয়ে যাবে ইন শা আল্লাহ্।
একজন দরিদ্র মুমিনের শান্তির চেয়ে, একজন বিত্তবান অবিশ্বাসীর কষ্ট যেমন বেশি, একজন বিত্তবান মুমিনের শান্তির তুলনায় একজন দরিদ্র অবিশ্বাসীর কষ্টও তেমনি বেশি।
মুসলিম ভাইবোনেরা ইসলামকে জামাত-শিবিরের থলেতে ঠেলে দিয়েন না দয়া করে।
নিজ ধর্মকে উঁচু করতে একটু দায়িত্বশীল হন। মৃত্যুর আগে হেদায়েত না পেলে কি হবে ভেবে দেখেছেন কি??? ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।