আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পাঁচটি কবিতা

বিস্মৃতি ও বিষাদটিলা

১. ময়ূরের ছদ্মবেশে থাকে ঘুম, নেশা, পদ্মরাগমনি। স্বপ্ন থেকে দূরে কোনো অপার্থিব সৌরটানে পৌছে দেখি দুই পৃথিবীর মাঝে দাঁড়িয়েছে সপ্রাণ মেঘখণ্ড। যারা নৈঃশব্দ বোঝেনি তারা তাকে আনমনে ডাকে। ময়ূর চমকে ওঠে, যেনবা ঝুলন্ত সাপ অতর্কিতে মুখ থেকে ঢালবে আগুন, গলে যাবে মেঘের প্রাচীর- দেখা হবে মূকুেরর সাথে, নিজের হৃদয়ে শুয়ে থাকা অতি-পরিচিত সেই সাপটির সাথে। ২. উজ্জ্বল বাদামীপাত্র, তাতে মদ, শরীরবৃক্ষের রস অলৌকিক বিহ্বলতায় মিশে আছে, এর নাম অস্তরাগ এর গভীরতা তুমি বরফে ঢাকা হৃদয়খণ্ডকে দেখে বুঝে নিতে পারো।

যেন, সমস্ত ধ্বংসের পর মূহ্যমান তাবুর ভেতরে কারা একাই দপদপ করছে। মূলত সে অসত্যভাষণ, এর রূপ,গন্ধ,সুরের দক্ষতা একদিন বিচ্ছিন্ন ঘড়ির কাটায় ভর দিয়ে, হিমবাহ টপকে শীতেই ফুরিয়ে যাবে। ৩. গোধূলিতে মেঘরক্তে লক্ষ্য করি উল্লম্ফন, হাড়মজ্জা ঠাণ্ডা হয়ে আসে। বৃক্ষকাণ্ডকে লেহন করে আলো- যেনবা অশ্বের রক্তজিহ্বা। অসহজ বায়ু বয়,দূরের আকাশে সচকিত নক্ষত্রবুকের দপদপ শব্দে বুঝি, দেয়াল টপকে এইমাত্র নামল আততায়ী, গুলি হল।

ঝুমঝুমি একা পড়ে থাকলো, উন্মাদ রাস্তায় নেমে তির্যক বৃষ্টিতে ভিজে চলতি কোনও গান গাইল,দূরে হারমোনিকার সুরে ভেসে আসলো আমার কৌশোর। ৪. আজও স্বপ্নেরা সুরচালিত, মৃগয়ায় দেখা পাই তার। প্রতিসরণের নিয়মে বনচ্ছায়া স্ফীত হয়ে ওঠে। ঐ গাছ ঝুকে থাকে পরস্ত্রীর দিকে, ঝুকে থাকে ফলা। শুনেছি শিকারবার্তা তার তলে অন্তশীল বয়।

সবচেয় উচু পাহাড়ে দাঁড়িয়ে নেউল চাঁদকে ফাদে ফেলবে আর ভাবে ঐ কালো গুহার ভেতরে এক লাফে ঢুকে যাবে কীনা। ৫. চারদিকে ঘুম নেমে আসে, দেহকাণ্ড সবুজাভ হয়। আমি ক্ষুধার্ত সিংহের কেশরকে দমবন্ধ নক্ষত্রঝড় বলে ভুল করি। গান ছেড় যারা উঠে গেছে, তাদের প্রত্যেকের ডানা খসে গেছে। লাল সাইরেনে সড়কের পাশে দাড়ানো গাছগুলো রং বদলায়- আমি রক্ত ভেবে ভয় পাই, এক অতিজীবিত দৃশ্যের ভয়ে তাকে ফেলে দৌড়ে চলে আসি।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।