আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ছেলেবেলার স্মৃতিকথা–০৭

সুশীলের ভেকধারী এক মহা ভন্ড!
আরো কিছু এলোমেলো কথা। কোন লাইনের সাথে পরের লাইনের মিল নাই! আমি কেবল নার্সারিতে ভর্তি হইছি তখন। প্রথম গেছি পরীক্ষা দিতে। তো আমি করলাম কি কোনমতে লিখে সবার আগে খাতা জমা দিয়ে দিছি। বের হয়ে আম্মুকে জানালাম আমি প্রথম হইছি, সবার আগে খাতা দিছি।

আমারে অনেক কইরা তখন বুঝাইলো আম্মু, পরে বাসায় যাবার পরে আব্বুও, যে সবার আগে খাতা জমা দিলেই প্রথম হয় না! কে শোনে কার কথা! আমি নাকি পরেরটাতেও সেইম কাজ করছি! তো এই পিচ্চিকালে আমি জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার সময়ে স্নেহ বানানটা উচ্চারণ করতে পারতাম না! এস্নেহ উচ্চারণ করতাম! মেলা ঝাড়ি খাইয়া পরে ঠিক হইছে। এইরকম আরেকটা ছিল স্পিড। উচ্চারণ করতাম স্প্রিড! স্কুলে শুরুর দিকে সবচেয়ে খারাপ সময় গেছে ট্রান্সলেশন আর টেন্স শিখতে। আমার লাইফ ফালা ফালা করে দিছিল গ্রামার! এখনো টেন্স তেমন পারি না। এই জিনিস কেন যেন আমার মাথায় ঢুকলো না! ক্লাস সেভেনে না সিক্সে পড়ার সময়ে একবার এক রিকশাওয়ালাকে টাকা দিলাম বাম হাতে।

সে টাকা নিয়ে আমারে বলে যে ভাই বাম হাতে টাকা দিলেন, হেন তেন! আমি একটা চোখ গরম করে তার দিকে তাকিয়ে বাসায় এসে পড়ি। পরে অবশ্য খারাপ লাগছিল। সে প্রায় বৃদ্ধ এক লোক ছিল। ক্লাস ফোরে যখন পড়ি তখন এক মুড়িওয়ালার কাছে বাকি ছিল কিছু। এইটাও মাঝে মাঝে মনে পড়ে! বেচারার টাকা দেয়া হইলো না।

আমি মনে হয় তখন ওয়ানে বা টুতে পড়ি। ছোট ভাইটা একদম পিচ্চি। দারোয়ান তাকে কোলে নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল, আমি যেয়ে দেই এক ঠেলা! তো মাটিতে পড়ে পিচ্চিটার হাত ভেঙ্গে যায়। সাথে সাথে তারে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয় আর স্লিং লাগাইয়া দেয় ডাক্তার। আমার বাপ যখন বাসায় এসে দেখে এই অবস্থা পারলে আমারে কাঁচা গিলে খায়! আমি ভাগছিলাম পাশের বাসায়! এই ছোট ভাইটা অবশ্য ক্লাস ফাইভে পড়ার সময়ে ইয়া মুটা এক ক্লাসমেটের ধাক্কা খেয়ে মাটিতে পড়ে আরেকবার হাত ভাঙ্গে! কিন্তু এইটার কথা সে সহজে স্বীকার করতো না! এক মেয়ের কাছে ধাক্কা খেয়ে হাত ভেঙ্গেছিল এইটা নিয়া তারে মেলা খেপানো হইতো! পূর্ব প্রকাশিত
 


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।