স্বাধীন বাংলার শেষ নবাব সিরাজুদ্দৌলার ভাগ্য ভালো যে নিহত হওয়ার পর তাকে মুর্শিদাবাদের খোশবাগে সমাহিত করা হয়েছে। তিনি স্বদেশের মাটি পেয়েছেন। সম্রাট বাহাদুর শাহের মতো বিদেশবিভুঁয়ে তার কবর হয়নি। রাজীব গান্ধী যখন ভারতের প্রধানমন্ত্রী তখন সম্রাট বাহাদুর শাহের কবর জিয়ারত করতে ইয়াঙ্গুন গিয়েছিলেন। তিনি তাকে ভারতের পক্ষ থেকে সালাম জানিয়ে এসেছিলেন।
আমরা আজ পর্যন্ত আমাদের দেশ থেকে কোনো রাষ্ট্রপ্রধান বা সরকারপ্রধান বাংলার শেষ নবাব সিরাজ-উদ-দৌলার মাজার জিয়ারত করতে যাননি। এটা আমাদের জন্য চরম দুর্ভাগ্য। আমরা মনে করি, নবাবের মাজারে বাংলাদেশের মানুষের সালাম পৌঁছানো একান্ত দরকার। সে সঙ্গে মাজারকে সুশোভিত করার জন্য যে পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন তা প্রদান করার জন্য পশ্চিমবঙ্গ ও ভারত সরকারের সঙ্গে আলোচনা করা প্রয়োজন। নবাবের বিশ্বস্ত সহচর, মহান দেশপ্রেমিক মীরমর্দন (মীরমদ্দন)-এর কবর এবং মোহনলালের মন্দির কোথায় তার খোঁজ করা প্রয়োজন।
নবাবের স্ত্রী লুৎফুন্নেসা ও একমাত্র কন্যার ব্যাপারে জানা দরকার। আরও জানা প্রয়োজন নবাবের বংশধরেরা এখন কে কোথায় আছেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।