আমি কি হনুরে... ৩ ... ;)
তখন আমার বয়স উনিশ। খুব প্রিয় এক বন্ধুর বড় ভাইয়ের বিয়ে। বিয়ের আগের দিন রাত থেকে কাজকর্ম তদারকি করার জন্য আমরা কয়েক বন্ধু কমিউনিটি সেন্টারে আছি। কাজকর্ম শেষে রেডি হয়ে কমিউনিটি সেন্টারের সামনে দাঁড়িয়ে আছি, খুব ক্লান্তও লাগছিল। হঠাৎ আমার ক্লান্তি, আমি কোথায়, কেন, কিভাবে- সব যেন ভুলে গেলাম।
একটা ফোকাস পয়েন্ট ছাড়া অন্য সবকিছু ঝাপসা। সে আমার সামনে দিয়ে আনমনে হেঁটে যাচ্ছিল, অবহেলাভরে একটা ঝোলা ব্যাগ কাঁধে ফেলে রেখেছে। নিষ্পাপ দুই চোখে রাজ্যের সব সৌন্দর্য্য আর ভাল লাগা, আমি যেন হারিয়ে যাচ্ছিলাম অজানা গহ্বরের তল থেকে আরো অতলে। আমি কখনো কারো দিকে এত নির্লজ্জভাবে তাকিয়ে থেকেছি বলে মনে পড়েনা, কিন্তু আমি জানি আমার দৃষ্টিতে কোন পাপ, কোন কাম ছিলনা। নাম না জানা মেয়ে তোমার প্রতি কৃতজ্ঞতা কারণ আমার দৃষ্টি, আমার ভাল লাগাকে তুমি ভুল বোঝনি, আমার ভাল লাগার প্রতিদান হিসেবে তাৎক্ষনিক ঘৃণাভরা চাহনি তুমি আমাকে ফেরত দাওনি।
কয়েকটা লাইন তাই উৎসর্গ করেছিলাম তোমাকে, আজ বলছি:
মেয়ে তুমি এমন কেন গো?
বাঁধভাঙা ঐ হাসির আড়ালে লুকাও নিজেরে
ভালবাসিয়াছি তোমারে,
জানি ভুল করিয়াছি
তবু বলি ভালবাসিয়াছি,
হৃদয় শূন্য করিয়া।
মেয়ে তুমি এমন কেন গো?
বৈশাখের মাতাল হাওয়ায় উড়াইয়াছ কেশ
বর্ষাস্নানে হইয়াছ আপনহারা।
আমি কাঁদিয়াছি, তোমারি লাগি
দুই চক্ষু ভরিয়া।
মেয়ে তুমি এমন কেন গো?
প্রিয়সম কভু আদরিছ মোরে
কভু আনমনে করিয়াছ অবহেলা।
আমি পূজিয়াছি তোমারে
আপনার গভীরে,
প্রেমের ভক্তি দিয়া।
যদি কভু যাইতে হয়, যাইব খুশিতে সবারে ছাড়িয়া
শুধু শুধাইব তোমায়, প্রেম করিয়াছ মোরে
একটিবারের লাগিয়া??
নীল যেথায় মিশিয়াছে নীলের সাথে
স্মৃতিরা যেথায় হইয়াছে বাঁধনহারা,
সেই স্বপ্নদ্বারে দাঁড়ায়ে থাকিব, অনন্তকাল
তোমারি পথ চাহিয়া।
মেয়ে, জান কি তুমি
কত আনন্দ তোমায় ভালবাসিয়া?
.....................................................
পুনশ্চ: লাইনগুলো সাধু চলিতের অদ্ভুত সংমিশ্রণে লিখা, হয়তো ঠিক হয়নি, কিন্তু তখন এভাবে লিখতেই ভাল লেগেছিল। আর পরিবর্তন করতে ইচ্ছা করলনা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।