অন্তহীন আমাদের পথচলা,জীবনের বাঁকে-বাঁকে গতির পরিবর্তন। আর চাওয়া - পাওয়ার অসম সমীকরণ। এই নিয়েই আমাদের জীবন প্রস্তুতিটা ছিলো অনেক দিনের । ঠিক একবছরের। নানা ধরনের পরিকল্পনা হচ্ছিল,কিন্তু শুধু তারিখটাই ঠিক করা যাচ্ছিল না ।
অবশেষে কিছু মানুষের ঐকান্তিক প্রচেষ্ঠায় তারিখটা ঠিক করা গেলো,কিন্তু এতেও বাগড়া দিলো হরতাল । অতঃপর একদিন পিছিয়ে গতকাল ১লা ফেব্রুয়ারী শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের সাবেক ছাত্রছাত্রীরা প্রাণের টানে তাঁদের স্মৃতিতে নোঙর ফেলতে দেশ-বিদেশের নানা প্রান্ত থেকে ছুটে এলেন প্রিয় ক্যাম্পাসে । এ পর্যন্ত গ্রাজুয়েট হয়ে বেরিয়ে যাওয়া ১৫ টি ব্যাচের সাথে বর্তমানে বিভাগে অধ্যয়নরত আরো পাচটি ব্যাচের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের দারুণ এক মেলবন্ধনে পরিণত হওয়া এই উৎসব উপলক্ষে ক্যাম্পাসের একাডেমিক বিল্ডিং "ডি" ও সেন্ট্রাল অডিটরিয়াম সেজেছিল বর্ণিল সাজে।
খুব ভোর থেকেই সাবেক ও বর্তমান ছাত্ররা এসে ভিড় জমাতে থাকেন বিভাগের সামনে । অনেকেই পুরনো বন্ধুদের দেখামাত্র জড়িয়ে ধরেন কোলাকুলির জন্য ।
স্মৃতির খাতায় সব মধুময় অধ্যায়ের পাতাগুলো সব মেলতে থাকে ডানা । সবাই ভুলে যান তার বর্তমান পরিচয় বা অবস্থান,যেন সবাই একদিনের জন্য আবার এই বিভাগের ছাত্রে পরিণত হন ।
ঘড়ির কাটা যখন সকাল ১০টার ঘরে পা দিলো তখনই শুরু হলো র্যাআলী । বিশাল বড় এক ব্যানার সাথে ততোধিক বড় একটা বহর । ব্যান্ডের তালে তালে নেচে গেয়ে উৎসব পালনে সবার উৎসুক অংশগ্রহণ ।
র্যাযলীটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা গুরুত্বপূর্ণ স্থান প্রদক্ষিণ করে পৌছলো সভাস্থল “সেন্ট্রাল অডিটরিয়ামে” , আসন গ্রহণ করলেন সবাই । সভার প্রধান অতিথির পদ অলংকৃত করলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদায়ী উপাচার্য প্রফেসর ডঃ সালেহ উদ্দিন আহমেদ ।
এরপর জুমার নামাজ ও খাবারের বিরতি । খাবারের প্যাকেট হাতে নিয়েই পাশের টিলায় গমন ও ব্যাচ অনুযায়ী বসে খাওয়ার দৃশ্যটা দেখা খুবই চমকপ্রদ একটা ব্যাপার ছিলো । খাবারের বিরতির পর অ্যালামনাই এসোসিয়েশন এর কমিটি গঠন সংক্রান্ত আলোচনা এবং এর পরই শুরু হয় স্মৃতিচারণ।
ক্যাম্পাস লাইফে নানান মজার ঘটনা বর্ণনা করে যান অনেকেই ।
অতঃপর সন্ধ্যায় এক মনোঃমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রথমদিনের কর্মসূচির যবনিকাপাত ঘটে । আজ দ্বিতীয় ও শেষদিনে আড্ডাবাজি ও নানাবিধ আলোচনার মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটবে ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।