বাস্তবতা ফেরী করে বেড়াচ্ছে আমার সহজ শর্তের সময়গুলোকে
"গভীর রাতে ঘুম ভেঙ্গে যায় প্রায়ই। ছাড়া ছাড়া অর্থহীন স্বপ্ন দেখতে দেখতে হঠাৎ জেগে উঠি। পরিচিত বিছানায় শুয়ে আছি, এই ধারণা মনে আসতেও সময় লাগে। মাথার কাছের জানালা মনে হয় সরে গিয়েছে পায়ের কাছে। তৃষ্ণা বোধ হয়।
টেবিলে ঢাকা - দেওয়া পানির গ্লাস। হাত বাড়িয়ে টেনে নিলেই হয়, অথচ ইচ্ছে হয় না।
কোনো কোনো রাতে অপূর্ব জোছনা হয়। সারা ঘর নরম আলোয় ভাসতে থাকে। ভাবি, একা একা বেড়ালে বেশ হ'ত।
আবার চাদর মুড়ি দিয়ে নিজেকে গুটিয়ে ফেলি। যেন বাইরের উথালপাথাল চাঁদের আলোর সঙ্গে আমার কোনো যোগ নেই।
মাঝে মাঝে বৃষ্টি নামে। একঘেয়ে কান্নার সুরের মতো সে - শব্দ। আমি কান পেতে শুনি।
বাতাসে জামগাছের পাতায় সরসর শব্দ হয়। সব মিলিয়ে হৃদয় হা-হা করে ওঠে। আদিগন্ত বিস্তৃত শূণ্যতায় কী বিপুল বিষন্নতাই না অনুভব করি! জানালার ওপাশের অন্ধকার থেকে আমার সঙ্গীরা আমায় ডাকে। একদিন যাদের সঙ্গ পেয়ে আজ নিঃসঙ্গতায় ডুবছি। "
একটা উপন্যাস একনাগাড়ে পড়ে যাওয়ার শেষের দিকে এই লাইনগুলো পড়ি।
আমার কাছে দারুন ভালো লাগা সেই উপন্যাসটির শেষের লাইন ছিল এগুলো। ছেলেটার জীবন নিয়ে ভাবতে ছিলাম সাধারণ এই আমি। আহারে ছেলেটার জীবনে কতো বিষন্নতা! কতো সব নিসঙ্গতায় ডুবছে সেই ছেলেটি।
ছেলেটির খারাপ লাগা, বিষন্নতা, নিসঙ্গতা আমাকেও ঝেকে ধরেছিল। মাঝে মধ্যে ভাবি এমন হয় কেন! সেই লাইনগুলো হুমায়ুন আহমেদের উপন্যাস শঙ্খনীল কারাগার এর শেষ অংশ।
মহাদেব সাহার একটা কবিতা পড়েছিলাম। সেই কবিতাতে কবি বলেছিলেন মানুষ গল্প, সিনেমায় তার নিজের সঙ্গে মিল খুঁজে পায় বলেই কাঁদে।
তবে কি এইসব বিষন্নতাগুলো আমার কোন মিল থেকে উৎসরিত! ভাবতে গিয়ে টুপ করে ডুবে যাই ভাবনার সায়রে!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।