যেখানেই জলের অবস্হান,সেখানে ফাঁদ পেতে আছে আমার প্রতিচ্ছবি,
অগভীর অথবা অনন্ত গভীরতা যা-ই হোক না কেন
জলের পারদে আমার ভেসে থাকা রুপ কেন যে পৃথিবী ধারণ করে!
অপর কিংবা অপরাপর বোধে সম্পৃক্ত থেকে যায় আমাদের রুপ,
প্রতিচ্ছবি আমার ব্যাক্তিগত জগৎ জাগৃত করে,আমাকে আরো বিচ্ছিন্নপ্রেমে আচ্ছন্ন করে।
জ্যামিতি বক্স থেকে আমার কৌণিক দূরত্ব মধুমাখা বৃস্টির মতোই।
জ্যামিতি বক্সে ভরে রেখে রকমারী টোপ!
বড়শিতে গেথে নিয়ে দানবিক ক্ষুধা,
জলের উপরিতলে যখনই চালাই দৃস্টি,
দু-একটি হাঙর লাফ দিয়ে বের হয়ে এসে গিলে নেয় রুপালী রোদ্দুর!
অতঃপর তারা ফের ডুবে যায় নিজেরই জলজ ছায়ায়।
কারা যেন ফিসফাস করে ওঠে:
নীরব থাকো,মেঘশৈলী লক্ষ্য কর।
তবেই তোমার চোখ এড়িয়ে যাবে নিম্নগামী জল ও জলের পোট্রেট থেকে।
কোনো এক গো-চারণ ভূমিতে এক বাঘের ঘোরাফেরা রয়েছে,
কোনো এক পাহাড়ী উপত্যকায় হ্রদ রয়ে গেছে স্হির চাতুর্যে,
কোনো এক উপবনে অজস্র ম্যামথের দল দ্যাখে একটি দাবানল,আগ্রাসন।
সকলেরই রয়েছে দৃস্টি কোনো না কোনো দিকভ্রান্তির পোশাকসম্বৃদ্ধ গন্তব্যে,আপাত প্রতারণাময়।
পার্সপেক্টিভস,রঙের ব্যবহার কিংবা অংকনশৈলি-সব কিছুতে নিঁখুত শিল্পী হয়েছিলো জল,
তবুও পোট্রেট পছন্দ হয় না আমার....রৌদ্রসংক্রান্তির ফলে যে ছবি মেয়াদউত্তীর্ণ,তাকে ফেলে দিয়েই
ছিপ কাধে পথ ধরি,ফিরি।
প্রতিদিন যেভাবে ফিরতে হয় সন্ধ্যাবেলায়।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।