আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কারাগার গুলোতে বদহজম

বাংলাদেশ ব্লগারস এসোসিয়েশন সদস্য নং: ১০ । facebook.com/milton3d

গোয়াল ঘরেও গরুর যন্ত হয়। গৃহস্থ তার গরুগুলোকে কিন্তু ভীষন যন্ত করে সেখানে রাখে। কারণ গরুগুলো হয়ত দুধ দেয় না হলে হাল চাষ করে। রাখা হয় রাজার হালে।

আহা! গরু হয়ে জন্মানোও যেন ভাগ্য। রাতে আবার সেখানে মশার কয়েলও জ্বালিয়ে দেয়া হয়, যাতে মশা উৎপাত না করে। সকাল হলেই গরুদের বের করে গা মুছে দেয়া হয়, খেতে দেয়া হয়। আরো কত কি। কিন্তু কারাগারে মানুষের যন্ত হয় না।

তাহলে তো গোয়াল ঘরই ভাল। হাজতীদের ভীড়ে কারাগারগুলোর চলছে বদহজম। সবগুলো কারাগারের ধারন ক্ষমতা হলো ২৭৩৮৬ জন কয়েদীর। কিন্তু সেখানে এখন গাদাগাদি করে আছে ৮৬৫৯৪ জন। বেশী আছে ৫৯২০৮ জন কয়েদী।

তাদের মধ্যে অনেক আছে ভি আই পি। এই ভি আই পি দের কথা বাদই দিলাম। বাদবাকী মানুষগুলো আছে অমানুষের মত। তাদের কেউ আছে দোষী আবার কেউ আছে নির্দোষী। তাহলে নির্দোষীদের জায়গা কারাগার কেন? এ প্রশ্নের উত্তর বাংলাদেশে পাওয়া যাবে না।

সে প্রশ্নের উত্তরও চাই না। কারাগারের ধারন ক্ষমতার বাহিরে এখন সেখানে লোকের বসত। খাদ্যে অভাব। হিমশিম কর্তৃপক্ষ। দেরীতে হলেও সরকারের শুভ বুদ্ধির উদয় হয়েছে।

এইজন্য তারা ধন্যবাদের প্রাপ্য। সরকার ভাবছে জরুরী বিধিমালায় আওতায় ধৃত কিছু লোকদের মুক্তি দেয়া যায় কিনা। যারা কিনা লঘু অপরাধে শাস্তিরত আর যাদের প্রাপ্য শাস্তি প্রায় অর্ধেক হয়ে গিয়েছে তাদের সরকার মুক্তি দেবে। এরজন্য দরকার আইনের কিঞ্চিত পরিবর্তন। দুটি ধারার পরিবর্তন এতে জরুরী হয়ে পড়েছে।

সংশ্লিষ্ট আমলাদের এ বিষয়ে রিপোর্ট তৈরী করতে বলা হয়েছে। তারা ৪৫ দিনের মধ্যে সরকারের কাছে রিপোর্ট পেশ করবেন। মূলতঃ তারপরেই এর কার্যক্রম শুরু হবে। সরকারের এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই। নিরপরাধীরা মুক্তি পাক।

সমাজে তাদের দরকার। হয়ত তাদের জন্য থেমে আছে তাদের সংসারের চাকা। পরিবারে করুন মুখ গুলো তাকিয়ে আছে তাদের মুক্তির দিকে চেয়ে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.