এক)
গেলোবার দেশ থেকে আসবার পর থেকে যার সাথেই ফোনে গল্প হয় ,বসুন্ধরা সিটির গল্প করে। কেউ দেশে গেলে ফিরে এসেও একি গল্প। এত নাকি সুন্দর। বাইরের দেশ গুলোর শপিং মলগুলোর তুলনায় কম কিছু নয়।
এক এক ফ্লোরে এক এক রকমের জিনিস।
ফুডকোর্ট টা নাকি বিশাল।
সিনেম্যাক্স তো আছেই।
খুব ভালো লাগে........
দেশে থাকতে তো গাওছিয়া আর নিউমার্কেট ঘুরেই কেনাকাটা। আর স্টুডেন্ট লাইফে শপিং বা তেমন কি!
সুযোগ পেলেই নিউমার্কেট আর নীলক্ষেতের বইপাড়া,
আর সালোয়ার কামিজ ,শাড়ীর জন্য গাওছিয়া ,হকার্স। স্যান্ডেল এক জন্য এ্যালিফেন্ট রোডের লম্বা রাস্তাটা.......কফি হাউস থেকে শুরু করে হাতিরপুলের কাছাকাছি।
এবার দেশে গেলে বসুন্ধরা সিটিতে যেতে হবে......বন্ধুদের খুঁজে সবাইকে নিয়ে না হয় আড্ডা হবে কোন বিকেলে । এই স্বপ্নে জীবন কাটে।
দুই)
সেই বসুন্ধরা সিটিতে আজ শাশ্বতর জন্য সবাই একসাথে হবে। টি শার্ট বিক্রি হবে। ব্লগার মিলটনের দেয়া একটা পোষ্টে জানলাম।
লেখাটা পড়ে এত ভালো লাগলো। মনে হলো আমিও চলে যাই ওখানে। সবার সাথে দাঁড়াই। চলতে থাকা মানুষদের ডেকে শাশ্বতর কথা বলি। কি করে ও বেঁচে থাকার সংগ্রাম করেছে।
সবার ব্যস্ত সময়ের একটু চেয়ে নেই। একটু হাত বাড়াতে বলি।
এভাবে এক ,দুই,তিন করে সবাই সংক্রামিত হতে থাক........শাশ্বতের জন্য কিছু করবার অভিলাষে..................
শাশ্বত থেকে শুরু করে জারিফ ,নয়নার মত বহু মায়াময় মুখ যারা বাঁচতে চায়....যারা নানান অসুখে ভুগছে,যার নিরাময় সম্ভব ,তাদের জন্য।
অনেক অর্থ প্রয়োজন।
পৃথিবীর যে প্রান্তে যে থাকি না কেনো,সবার চিন্তা চেতনার মতানৈক্য থাকনা কেনো......বাঁচতে চাওয়া মানুষের জন্য সাহায্য করবার জন্য সবাই যেনো হাতে হাত দিয়ে চলি।
যে যেভাবে যতটুকু সম্ভব।
মোবাইল ব্যবহার কারী বাংলাদেশের একলাখ তরুণ-তরুণী যদি ৫০ টাকা করে দেয়। কিছু কম সময় কথা বলে। তাহলেই তো কত।
শাশ্বতর মত অমূল্য প্রাণ রক্ষায় সাহায্য হয়......
এর চেয়ে আনন্দর আর কি হতে পারে?
(একটা কথা বলি.....আমি যেখানে থাকি,কানাডায়...এখানে চিকিৎসা বিনামূল্যে দেয়া হয়।
যার বিরাট অংশ আসে এখানকার মানুষেরই আয়ের উপর ট্যাক্স থেকে এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এবং মানুষের ডোনেশোনের মাধ্যমে।
এমনকি শপিংমলের দোকান গুলোতে ডোনেশোনের কার্ড দেয়া থাকে। যে কোন জিনিসের বিল দিতে গেলে বিক্রেতা জানতে চায় ,"তুমি কি চিল্ড্রেন হাসপাতালের জন্য দুই ডলার দিতে চাও। "নিত্য দিনের জিনিস কিনতে যেয়ে বিল পূরণের টাকার সাথে দুইটা ডলার কারো গায়েও লাগেনা.........এভাবে ই অর্জিত হয় অনেক ডলার যা রিসার্চের কাজে ব্যবহার হয়,চিকিৎসার জন্য খরচ হয়। কত মানুষ বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখে।
)
এরা যদি পারে।
আমরা পারবোনা কেনো?
যে দেশের নিরস্ত্র মানুষ যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছে ।
যে দেশের মানুষ এখন এক নীরব দূর্ভিক্ষকে শুধু আত্মবিশ্বাস দিয়ে প্রতিদিন মানিয়ে নিচ্ছে।
যে দেশের ভাতুয়া মানুষ আজ ভাতের বদলে আলু খাচ্ছে.........সেই মানুষেরাই তো পারি শাশ্বতদের পাশে দাঁড়াতে।
মিলটনের পোষ্টে বলে এসেছিলাম........ঘুমিয়ে স্বপ্নে আমি আজ বসুন্ধরা সিটিতে যেতে চাই।
আমি বসুন্ধরায় যাইবা না যাই.......আমরা উষ্ঞ অভিলাষ ছুঁয়ে যেনো সফলতা আসে।
সেইসব বন্ধুদের জন্য শুভেচ্ছা যারা শাশ্বতের জন্য নিরলস কাজ করছে।
অভিবাদন সবাইকে।
শাশ্বত তুমি সুস্হ হয়ে ফিরে আসো।
ফিরে এসে বলে দিও......"আমরাই পারি।
"
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।