আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কবিতা হোক সৃষ্টির প্রথম ধারণকৃত সংখ্যা / হাবীবুল্লাহ সিরাজী



যারা কবিতা ভালোবাসেন, তাদের ভালো লাগতে পারে লেখাটি। কবিতা সম্পর্কে একটি বিবেচনা। কবিতা হোক সৃষ্টির প্রথম ধারণকৃত সংখ্যা হাবীবুল্লাহ সিরাজী ===================================== শ্রাবণধারায় দূর্বাদলের সিক্ততা থেকে শুরু করে নদীর তীর ভেঙে জনপদ বিচ্ছিন্ন হওয়া, নিরন্ন কিশোরীর অসহায়ত্ব থেকে জেরুজালেমের আকাশ উজ্জ্বল হওয়া, পারমাণবিক ধ্বংসযজ্ঞ থেকে মাটি-পাথর-আগুন-বেদনা-হাসি কী কবিতা নয়! সবকিছুই কবিতা। প্রেক্ষিত ও পরিবেশে কবি তার মৌলরূপটিকে কবিতা করে তোলেন! মৌলরূপটি কী? বড়ো দুরূহ ও অমীমাংসিত প্রশ্ন। কবিতা হয়তোবা মর্ম স্পর্শ করে যাওয়া সুষম শব্দের বিস্তার, বাণী যার মূলে জল সিঞ্চন করে।

কবিতা নানা প্রকরণে, মোহনীয় শৈলীতে, বিচিত্র বিষয়ে উপস্থাপিত হয়ে আসছে। বোধ ও গতি উপচিয়ে গ্রহণে ও বর্জনে এই স্রোতে অবগাহন করে চলেছে পাঠক। সময়ের সংবেদনশীলতা তাকে প্রবহমান যাত্রায় মগ্নরূপ দিয়েছে। আদিকাল থেকে বর্তমান পর্যন্ত ভাষা ও কৌশলে, অভিব্যক্তি ও রহস্যময়তায় কবিতার শুধু উত্তরণই ঘটেনি পেয়েছে মাত্রা। কবিতা কী কিংবা কবিতা অস্পষ্ট কেন, যেমন সহজ-সরল-জিজ্ঞাসা; তেমনি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির কাছে কবিতা কি বিপন্ন একটি সাধারণ প্রশ্ন।

শিল্পের এই সূক্ষ্মতম অঙ্গটি মানুষের জন্য মানুষেরই সৃষ্টি। প্রকৃতি ও পরিবেশ যেমন আদ্যন্তে স্থাপিত হয়ে আছে, তেমনি শূন্য ছড়িয়ে আছে মাত্রাহীন মাত্রায়। প্রকৃতির সঙ্গে বিজ্ঞানের সখ্যসীমা যদি অসহনীয় অবস্থায় না থাকতো তবে ব¯'-ধর্মের অবস্থান নিয়ে নাজুক অবস্থায় পড়তে হতো! মানুষ ক্ষমতাবান, আবার দুর্বলও। মানুষের সংকটে তাই ব¯'-ধর্ম যেমন অতিমাত্রিক আশ্রয় তেমনি কবিতাও রক্তক্ষরণে অন্তহীন সঙ্গী কৌশলগত অবস্থানই মানুষকে সময়ের সঙ্গে লড়ে যাওয়ার উপাদান জোগায়। তাই সুসময় বা দুঃসময় বলে কিছু নেই।

বিজ্ঞানের এতো অগ্রগতি সত্ত্বেও মহাশূন্যের কতোটুকু মানুষ জানে! অতি ক্ষুদ্র যে পৃথিবী তার রহস্যই আজ অব্দি ভেদ হলো না। গহীনে, গভীরে মানুষ তার বেদনার ভাষাটুকু কি আজো সঠিকভাবে উপলব্ধি করতে পেরেছে? আর সেখানেই সবকিছু ছাপিয়ে বুঝি কবিতার জয়। কবিতা মানুষকে মর্মে-বিজ্ঞানে এমন এক স্থানে স্থাপন করেছে, যেখান থেকে সে তার ভবিষ্যৎ নির্মাণের সূত্র পাবে। দুই. অঙ্ক করে সবকিছু হয় না, এ যেমন সত্য তেমনি অঙ্ক থাকে সবকিছুতেই। সামান্য তুষের ছাই থেকে গমের দানায়, ইস্পাতের ধার থেকে ছাপার কালিতেকোথায় অঙ্ক নেই? সৃষ্টির আদি থেকেই অংক আর কবিতা সেখানে সমূলে অবস্থান করছে।

মানুষের জন্মসূত্র যদি প্রকৃতিগত হয়, তবে যাপনের অনুষঙ্গে নিহিত থাকে অঙ্ক। কবিতার স্নায়ু-স্নিগ্ধতা, রূপ-কৌশল ও তেজ-গরিমা বিজ্ঞানাশ্রয়ী হয়ে কনিষ্ঠ থেকে বৃদ্ধ পর্যন্ত পরিব্যাপ্ত। দেহের কাঠামো, কেশের ঔজ্জ্বল্য ও ত্বকের চারুতা নম্রভাবে শায়িত রয়েছে কবির ধারাপাতে। কাব্যাংকে ন্যস্ত শব্দরাজির উৎস মহাবিশ্বের তথ্যব্যাংক। অন্তহীন লেনদেনের এই কেন্দ্রে ক্ষমতা ও প্রাপ্তি অঙ্কের অঙ্কাতীত।

ভ্রান্তিবিলাসের কালে গ্রাহ্য যুক্তিই কেবলমাত্র উত্তরণ ঘটাতে পারে ‘নারী ও পুরুষ যেন ভাদ্রমাসে পদ্মার ইলিশ/ঝাল-ঝোল উপচে পড়া আমিষ ও সব্জির মিলমিশ। সীমা ও পরিধি তাই সৃষ্টি ও যাপনের সুসমঞ্জস্যতার মধ্যেই লীন। ভৌগোলিক পরিধি বলে আরো একটি মাত্রা কবি বা বিজ্ঞানী প্রয়োজন ও সুবিধানুসারে আপন আবর্তে রাখতে পছন্দ করেন। শিল্পের সায়াহ্নে তার ব্যঞ্জনা ও বিকাশ কেবল নতুন সীমানাই নির্ধারণ করে না, দেয় অন্য এক জ্ঞাতি-পরিচয়। সমাজধারার শাখা-প্রশাখাগুলোও যে মানদণ্ডে বিবেচিত হয় তা অতল-আপেক্ষিক।

শক্তির জন্য শক্তিরই প্রয়োজন। রূপান্তরের মাধ্যমে তা কেবল স্তরগুলো অতিক্রম করে। শক্তিরূপ কৌতূহল থেকে কলঙ্ক পর্যন্ত বিস্তারিত হয়ে এর অণু-পরমাণুতে সংঘটিত হচ্ছে তৃতীয় মাত্রার বিস্ফোরণ। সেই বিস্ফোরণের নামই কবিতা, বিশুদ্ধ গণিত: চূড়ান্ত মিলন-পরবর্তী সৌন্দর্য ও জীবন। তিন. বিষয়-ভাবনায় কবিতার আবেদন কতোটুকু বা শিল্পিত ভূমিকা কী? সংশয় ও সংকটের এই কালে কবিতার কোনো সুনির্দিষ্ট আবর্ত কি নেই? সভ্যতার সঙ্গে-সঙ্গে ভাষার যে বিকাশ, তার স্পর্শসীমার ঊর্ধ্বে কবিতা তাতে কোনো সন্দেহ নেই।

সঙ্গীত, চিত্রকলা, ভাস্কর্য, নৃত্য, অভিনয় থেকে খাদ্যান্বেষণ কী প্রজনন পর্যন্ত সবকিছুর মূলে কবিতার শিকড় চারিত। অস্তিত্বের সঙ্গে বিলুপ্তি মিলিয়ে কবিতা তার লেখ্যরূপ, কথ্যরূপ, ভাবরূপ, চিত্ররূপ এবং শ্রবণরূপে বর্তমান। বণিক-কৃষক কিংবা বারবালা-সৈনিক কোনো না কোনো ক্ষেত্ররেখায় কবিতাসীমানা প্রদক্ষিণ করেন। মানুষের বিচিত্র চিন্তা ও বহুমুখীনতাই তার চরিত্রকে দ্বন্দ্বময় করেছে। অর্থ, কীর্তির বাইরেও এক ‘বিপন্ন বিস্ময়’ সর্বদা ওঁৎ পেতে থাকে।

এই ‘বিপন্ন বিস্ময়’ কি কবিতা নয়? লাঙলের ফলায়, আগুন-লোহায়, বিষের শিশিতে,কালে, সময়ে, আলো, অন্ধকারে, শূন্যে, পাতালে, মালিন্যে, প্রফুল্লতায় মৃত্যু ও জন্মে কবিতার মার্বেলগুলো গড়াগড়ি খাচ্ছে। কবি হচ্ছেন অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যতের পাহারাদার; নির্মম ও অনুরাগী চার. খুঁটিনাটি, এলোমেলো, বর্জ্য কী বাহুল্যও একসময় প্রকৃতিলীলায় শিকড়ের চিহ্ন দেখয়! সে শিকড় গভীরে যাওয়ার অবকাশ না পেলেও কাণ্ড ও পাতার উন্মীলন দেখে দিশেহারা হয়ে পড়ে। ফলে চাহিদার তুলনায় মূল্যের টান হয় ক্ষীণ, অন্যদিকে চাহিদারও চতুর্নেত্র থাকে অস্বচ্ছ। পরিণাম মৃত্যু, এবং অন্য এক ক্ষত-বর্জ্যরে সৃষ্টি। যেভাবেই ভাবা যাক, নেতিবাচক ক্রিয়াকৌশল থেকে ধনাত্মক কিছুর প্রাপ্তিই অসামঞ্জস্যপূর্ণ।

সেইরূপ, স্থিতিহীন মেধা কেবল চাতুর্যের আশ্রয়ে ক্ষণিকের জন্য দৃষ্টিগোচর হয়, তারপর মিলিয়ে যায় ক্ষতিকর বিষয় বিন্দুতে! কবিতার অনির্ণেয় সংজ্ঞারূপের আশ্রয়ে তাই কদাচিৎ বিভ্রান্তি বা চমক-বিলাসের প্রাদুর্ভাব ঘটা খুবই স্বাভাবিক। সেই বিন্যাসহীন, সারশূন্য শব্দক্ষেপণ তো আর কবিতার রূপ নিতে পারে না! কবিতার বিষয়টি এমন; বিবেচনা করি, ছলনা বা প্রতারণা, লোভ বা প্রাপ্তি, কৌটিল্য বা কৌশল থেকে বিযুক্ত। দুরূহ হলেও সত্য: শ্রমের সঙ্গে মেধা, নিষ্ঠার সঙ্গে নিমগ্নতা এবং বোধের সঙ্গে বুদ্ধির চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের শর্তই কাব্যরূপ। সেখানে ধারাবাহিকতা, ঐতিহ্য ও দেশ-কাল সহচর হিসেবে ইন্ধন জোগায়। সময় ও প্রেক্ষিতে তাই ছিন্ন হয় ফলহীন শুষ্ক মঞ্জরী।

কী কবিতা নয় আবার কী কবিতা হয়! কবিতার আকৃতি ও প্রকৃতি নিয়ে, ছন্দ ও বি¯তৃতি নিয়ে, বিষয় ও প্রবহমানতা নিয়ে এবং সেইসঙ্গে ক্ষমতা ও অক্ষমতা নিয়ে পক্ষের ও বিপক্ষের মতো ও অবলম্বন নিঃসন্দেহে সুদূরপ্রসারী! তবু এমনো হতে পারে, একটি প্রথাগত অবয়বে কবি তাঁর ক্ষেত্র প্র¯'ত করে তাকে উত্তীর্ণ করেন শিল্পসীমায়। আবার প্রকরণগত সীমাবদ্ধতা এড়িয়ে কেউ কেউ হঠাৎই এসে পড়েন এবং নিজস্ব বারুদে প্রজ্জ্বলিত করেন তৃণখণ্ড! তাই তো দেখা যায় সময়ের সঙ্গে কেউ সাঁতার কেটে বেশ এগিয়ে থাকেন; আবার কেউ সম্মুখকে আত্মস্থ করে বর্তমানকে অতিক্রম করেন ধীরে-সুস্থে! জড় ও জীবনের চারু মেলবন্ধনই কবিতা। পাঁচ. সংজ্ঞা নির্ধারণ করে কবিতা লেখা যায় না, কবিতা লেখার পর তাকে সংজ্ঞায়িত করার প্রচেষ্টা চালানো হয় এবং এতে যে সকল উপাত্ত বিবেচনায় আনা হয়েছে, যেমন ছন্দ, উপমা, শব্দ, বাণী, চিত্রকল্প, কাঠামো, ধ্বনি, তত্ত্ব, তথ্য ইত্যাদি ইত্যাদি; সবই এক ধরনের আপেক্ষিকতা। এ তো সত্য, জড় ও জীবনের যা কিছু গ্রহণীয় তাই আপেক্ষিক সূত্রে আবদ্ধ। এমনকি সত্যের প্রচলিত রূপও আপেক্ষিক।

তাই, সংশয়ের মাত্রা না বাড়িয়ে একটি আপাতত গ্রহণযোগ্য পরিসীমায় কবিতা স্থাপন করলে এমন দাঁড়ায়: শূন্য+কবিতা=কবিতা। এটা গাণিতিক সত্য। আবার যেমন: শূন্য কী কবিতা= কবিতা; এটার গাণিতিক সত্য হওয়া উচিত ছিল শূন্য। কিন্তু তা না হয়ে পূর্ণ হয়ে উঠেছে কবিতারূপে। এই রূপভেদই কবিতার সত্য, অঙ্কর ভেতরে অঙ্কাতীত।

কূটকৌশল যতোই হোক, এখনো যখন ব¯'র একই সময়ে একই অবস্থান গ্রহণীয়, তাই কবিতার একাধিক অবস্থান কল্পনাতীত না হলেও সময়ের এককের কারণে আত্মস্থ করা কষ্টকর বৈ কি! যতো এভাবে সরে যাওয়া যাবে, ততো ধাঁধা হবে; আর গোলকধাঁধায় একবার পড়ে গেলে বেরুনো মুশকিল। ‘তাহাকে দেখার মধ্যে কি কবিতা ছিল?’ এই তাকে দেখার ভেতর চোখ ছিলো, মন ছিল, দেহ ছিল, প্রকৃতি ছিল, প্রাণ ছিল। হয়তো প্রতিমাও ছিল, আকারে ও অবয়বেÑতাকে দেখা গেলেও স্পর্শ করা গেলো না। আর এই দর্শন ও স্পর্শের অন্তরালে যে প্রতিমা, যে সৃষ্টিরূপ তাই আপেক্ষিক সত্য, তাই কবিতা। কবিতার দরোজায় খিল থাকলেও (যদি থাকে), সে খিল তোলা বড়ো দুরূহ।

তাই কবিতা খোলামেলা আকাশের ভেতর, নক্ষত্রমণ্ডলের ভেতর, বায়ুস্তরের ভেতর, তরল ও কঠিনের ভেতর, প্রাণ ও প্রকৃতির ভেতর একাকী পড়ে থাকে। পড়ে থাকে পূর্ণ ও শূন্য শর্তে, বিশ্বাস ও অবিশ্বাসের সময়চক্রে। একযোগে কবিতা হোক, একগুণ এক কবিতা হোক। কবিতা হোক সৃষ্টির প্রথম ধারণকৃত সংখ্যা। ছয়. বেসামাল অবস্থায় কোনোকিছুর স্থিতি বোধের সীমায় পুরোপুরি পৌঁছানোর আশা করা যায় না।

সেক্ষেত্রে কবিতা তো নিজেই ঘোরে। ঘোর কী বেঘোর, জাগরণের এই অন্যমাত্রায় কবিতা কেবল ঘুরে ঘুরে মরে। ‘তারে জাগিও না, সে তার মানে বোঝে না’। এ যেন বিপক্ষে কাউকে দাঁড় করিয়ে তার ভেতরই নিজেকে খোঁজা। মর্মে হোক, দর্শনে হোক, সমাজশাস্ত্রে বা নৃতত্ত্বে হোক কবিতার গতি রোধ করে সে সাধ্য কার? সবকিছু একসঙ্গে, সুন্দরভাবে, গ্রাহ্যভাবে উপস্থাপনের নাম যদি কবিতা হয়; তবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে এলোমেলো করে দেওয়াও কি কবিতা নয়? এই যে দ্বন্দ্ব, এই যে বৈপরীত্য তার কি কোনো সূত্র আছে? বোধকরি থাকতে নেই।

ধ্বনির কোনো বাঁধনই বাঁধন নয়। যেমন, শব্দের মাত্রা বেড়ে গেলে তার প্রভাবে জড় পদার্থও এলোমেলো হয়। যেমন, বায়ুপ্রবাহে শান্ত তরলও উন্মাদ হতে পারে। এই শব্দ ও বায়ু এখানে প্রাণহীন, কিন্তু শক্তি। বলতে চাই, কবিতা তেমন শক্তিÑ যা বর্ণভেদে সুর ও সুষমায় একক এবং অভিন্ন।

তাই, কবিতার শক্তিরূপটি অন্তর্গত হওয়া চাই। চাই মৌলিক অবস্থান, অটটু ও নির্মল। এখন মৌলিক অবস্থানে ধাতুরূপ কি? সেই তো মিলনে-মিলনে, গহনে-গভীরে আত্মস্থ হয়ে যৌগিক পরিণতি। এটা স্পষ্ট করা দরকার, কবিতার ক্ষেত্রে শংকর বা যৌগিকের কোনো স্থান নেই। মৌল যোগ মৌল, সমান সমান মৌল।

আর এখানেই রসায়নের সঙ্গে পদার্থের মনকষাকষি, স্রষ্টার সঙ্গে নির্মানতার প্রভেদ। অভিন্ন সৃষ্টিতে স্রষ্টা ও নির্মাতা তাই প্রাণ ও প্রতিমায় ভিন্নভিন্নভাবে চিহ্নিত। প্রাণরূপই মৌল; আর যা কিছু মৌলিক তাই কবিতা।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.