পাখি এক্সপ্রেস
(সংগ্রহে থাকা আমার সবচেয়ে পুরাতন কবিতা)
সাগরতীরের বালুচরে কেয়াবনের পাশে
উপরে তার ছনে ঢাকা বেড়া ঢাকা বাঁশে। ।
এমন একটি ঘর দেখিবে একাকী সংসার
প্রত্যহ শোনা যাবে কান্নার ঝংকার। ।
বেড়ী বাঁধে কুড়িয়ে পাওয়া মালঞ্চ শাকে
সাদা পান্তা খায় ছিবিয়ে কান্নার ফাঁকে।
।
ঐ ঘরের বাসিন্দা যে, নাম তার নূরী
বয়স তার ষোল হলেও মনে হয় সে বুড়ি। ।
চামড়া তার চামড়াতো নয় যেন পাটের ছালা
রোদে পুড়ে বৃষ্টি ভিজে করে জ্বালা পালা। ।
শীতে তার হাঁড় কাঁপনে ভিটেসহ কাঁপে
জানি না কেন এমন হলো; কোন আজন্ম পাপে। ।
ধবধবে সাদা কাপড় দেহের উপর ছাড়িয়ে
কেঁদে কেঁদে যায় আলোর দিকে দু'হাত বাড়িয়ে। ।
নূরী'কে দেখবে বলে - কতশত নারী
নূরী'কেই দেখি শুধু, দু:খ না দেখতে পারি।
।
প্রত্যহ সেথায় অনেক লোকের সমাগম
মানবতা বলে শুধু "ওম শান্তি ওম"। ।
কত রঙয়ের বিলাসীরা সেথায় শত চিত্র তোলে
করুণার বশে: ঘর দূয়ারে দু'চার টাকা ফেলে। ।
নূরীদের নিয়ে শিল্পী আঁকে ছবি, কবি লেখে কবিতা
জানিনা কবে উঠবে ওদের সুখের সবিতা। ।
কবিতার এই নূরীকে দেখতে যদি চাও
অনুন্নত বিবেকের দূয়ার খুলে দাও। ।
কবিতার জন্ম সন : ১৯৯৭ইং।
তখন আমি ৭ম শ্রেনীর ছাত্র
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।