জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের নতুন ফরমূলাকে যদি একটু ভেঙ্গে ভেঙ্গে দেখলে দেখা যায়,গত ৪ থেকে সাড়ে ৪ বছরের ফরমূলা অনুযায়ী প্রথমে আসা যাক বি.ডি.আর বিদ্রোহের কথা। সেদিন আমরা দেখেছিলাম ভাই হয়ে ভাইকে কিভাবে জলজেন্ত মানুষগুলোকে মেরে গর্তের মধ্যে গাদায় গাদায় টাল মারতে হয় । এখানেই শেষ নয় সবাইকে এক জায়গায় পুঁতে রাখলে মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে তাই লাশের স্তুপকে ম্যানহোলের মধ্যে দিয়ে দেখেছি কিভাবে একমূহুর্তের মধ্যে বেড়ে যাওয়া জনসংখ্যা কমাতে হয়--- অবাক বিশ্বয় !!!! "যেটা কিনা পাকিস্তানী র্ববরতাকে ও হার মানাই "।
বছর ঘুরতে না ঘুরতেই দেখা যায় জনসংখ্যা কমানোর নতুন তরিকা --- ট্রাক ভর্তি স্কুল ছাত্র গুলো মূহুর্তের মধ্যে শেষ হয়ে গেল সারি সারি লাশের মিছিলে। তাতে কি জনসংখ্যা কমানোর নতুন ফরমূলার এটা একটা পদ্ধতি।
ফলশ্রুতিতে আমরা পেয়েছি মিরশ্বরাই আবু তোরাব স্কুলের মাঠে একটা স্মৃতি শোধ যেখানে প্রতি বছর একটা নির্দিষ্ট দিনে সমেবেত হয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন। তারপর আমাদের সব দায়িত্ব শেষ আর আবু তোরাব হয়ে গেল ইতিহাসের স্বাক্ষী।
জনসংখ্যা কমানোর আরো নতুন নতুন ফরমূলার মধ্যে রয়েছে সম্প্রতি তাজরীন ফ্যাশনের কয়লা বানানো লাশ আর বহাদ্দার হাট ট্রেডেজি। অবিশ্বাষ্য হলে ও সত্যি য়ে এই সমস্ত ভেসে যাওয়া লাশের বন্যার কারণেই কিন্তু আমাদের দেশের জনসংখ্যা ১৬ কোটি থেকে ১৫ কোটিতে নেমে আসছে। যেটা কিনা বর্তমান আওয়ামী সরকারের একটা বিরাট সাফল্য।
আর এই সাফল্যকে ধরে রাখার জন্যে প্রতিদিনের সড়ক র্দুঘটনাতো আছেই। প্রতিদিনের টিভি চ্যানেলগুলোর হেড লাইন দেখলেই আর জনসংখ্যা কমানোর জন্য যোগ-বিয়োগের খাতা নিয়ে খামকা কষ্ট করতে হয় না।
য়েখানে জনসংখ্যা কমানোর জন্য বাঙ্গালী নতুন ফরমূলা আবিষ্কার করেছে সেখানে আমার খুব দুঃখ হয় জন্ম নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত বহুজাতিক কোম্পানী গুলোর জন্য। কারণ আমি এই সমস্ত কোম্পানীর কোন ভবিষ্যৎ দেখতে পারছি না অন্তত এই বাংলাদেশের মাটিতে । কারণ বাঙ্গালীরা ধীরে ধীরে জন্ম নিয়ন্ত্রণে বিশ্বাসী না - আমরা চাই তড়িৎ ফলাফল, যেটাকে বলে একনিমিষেই শেষ।
এক্ষেত্রে পৃথিবী বিখ্যাত জন্ম নিয়ন্ত্রণ কোম্পানী গুলোর মাথায় হাত আমাদের বাংলাদেশের ক্ষেত্রে সেটা বলা যায়।
টিভি চ্যানেল গুলোর কল্যাণে জানতে পারলাম বর্তমান হিসাব অনুয়ায়ী দেশের জনসংখ্যা ১৬ কোটি থেকে ১৫ কোটিতে নেমে আসছে। এটা বর্তমান সরকারের একটা বিরাট সাফল্য । আমি জানি আওয়ামী সরকার ৫ বছর মেয়াদে অনেক গুলো ভালো কাজ করেছে তার মধ্যে এটা ও একটা বড় কাজ। আমি আরো জানি এর জন্য সরকারকে দেশ-বিদেশ থেকে অনেক নামী দামী পুরুস্কার দেওয়া হবে---কারণ জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ একটা অবিশ্বাস্য সাফল্য,বিশেষ করে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ।
কিন্তু আমার প্রশ্ন হচ্ছে যারা তাদের বাবা-মা-ভাই-বোন-স্ত্রী-স্বামী-পুত্র-কন্যা-সন্তান-আত্মীয়-স্বজন অথবা প্রিয়জনদের বলী দিয়ে এই সাফল্য এনে দিয়েছে আসলে তাদের প্রাপ্তিটা কোথায় --- কেউ কি বলতে পারেন ????
এখানেই শেষ নয়, জনসংখ্যা কমানো আরো একটা তরিকা হচ্ছে লঞ্চ-স্টীমারে মুরগীর বাচ্চার মতো ঝাকে ঝাকে বোঝায় করে নদীর গর্ভে হাজার হাজার মানুষকে বিলিয়ে দেওয়া। আমাদের নদী মাতৃক দেশে নদীগুলো ক্রমাগত ভরাট হয়ে পড়ছে আর বিলিন হচ্ছে নদীর সম্পদ মাছ। তাই মনে হয়,বিলিন হওয়া মাছের পরিবর্তে মানুষ দিয়ে নদী পূরণ করা হচ্ছে এই কারণে য়ে,শুধু মাত্র মাছ বিলিন হলে চলবে না মানুষ ও বিলিন হতে হবে ,তা না হলে ক্রমাগত মাছের চাহিদা যদি বৃদ্ধি পায় তাহলে তো মাছের চাহিদা সরকারের পক্ষে পূরণ করা আদৌ কোন সম্ভব ব্যাপার নয।
ভাবতে গেলে বলতে হয় আশ্চর্য কল্পনার অবিশ্বাস্য সত্য প্রকাশ !!!! পৃথিবী জুড়ে জনসংখ্যা কমানোর এমন নজির আর কোথাও আছে কিনা আমার জানা নেই ।
জনসংখ্যা কমানোর এই যখন বাঙ্গালী ফরমূলা তখন বলতে হয় একজন মুসলিম ঈমানদার "মা" সর্বদা খাস দিলে নিয়ত করে থাকে য়ে,তার সন্তান য়েন আল্লহের রাস্তায় শহীদ হয----কিন্তু একজন বাঙ্গালী মায়ের নিয়ত করতে হবে য়ে, তার সন্তান য়েন "বাঙ্গালী জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের ফরমূলাকে সমুন্নত রাখার জন্য য়ে কোন দুর্ঘটনায় পতিত হয়ে বলী হয়"।
।
ফলশ্রুতিতে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করা ও গেল আর বাংলাদেশ সরকার পাবে "দেশী-বিদেশী" নানা পুরুস্কার - কিভাবে দ্রুততম সময়ে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করা যায় তার জন্য !!-??-। ।
দয়া করে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন,ধন্যবাদ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।