আল বিদা
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের student রা তাদের শাটল ট্রেন নিয়ে খুব গর্ব করে। আমিও দু একবার এই ট্রেনে ফ্রী চড়েছি যদিও আমি এর ছাত্র ছিলাম না। ভাবতে ভালই লাগে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছেলেরা ট্রেনের ছাদে করে গান গাইতে গাইতে যায়। কখনও কখনও কোন বিল্ডিং এর সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় ঐ ছাদের মেয়েদের সাথে একটু দুষ্টুমি করে নেয়।
চৈত্রের দুপুরেও তারা Different Touch এর 'শ্রাবনের মেঘগূলি জড়ো হলো আকাশে' এই গানটি গাইতে গাইতে যায়। জীবনের বাকিদিন তারা এই সুখস্মৃতি রোমন্থন করেই কাটায়।
গত বৃহস্পতিবার এমন এক দিনে শাটল ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে মারা যায় মামুন নামে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্র। আমরা হারাই এক মেধাবী মুখ। মুহুর্তেই জ্বালাও পোড়াও, বগিতে আগুন, ষোলশহড় স্টেষন লন্ডভন্ড।
আমরা শোক জানাই এই অকাল মৃত্যুতে, সমবেদনা জানাই শোকাহত পরিবারকে আর সহমর্মিতা তার বন্ধুদের জন্য।
তবুও প্রশ্ন জাগে নিজ দায়িত্বে ট্রেনের ছাদে উঠে এমন দূর্ঘটনার জন্য যে তান্ডব চলল তা কতটুকু গ্রহনযোগ্য? মেধাবী এই ছাত্রদের শোক আমরা বুঝি কিন্তু বুঝতে পারিনা শোক প্রকাশের ভাষা।
আমরা কি এমন দূর্ঘটনায় শান্ত থেকে আমাদের যা করনীয় তা করতে পারি না?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।