www.cameraman-blog.com/
সপ্তাহ দু'য়েক আগে কালপুরুষ'দা ফোনে বলেছিলেন - আড্ডা হবে খুব তাড়াতাড়ি। গতকাল ফোনে জানালেন আজকের কথা। আমি অবশ্য এরমধ্যে টুটুল আর সারিয়ার মাধ্যমে আগেই জেনে গেছি। জানতাম না কেবল উপলক্ষ্য। গেলাম এবং জানলাম - আজ এ-টিমের জন্মদিনের পার্টি।
চমকালেন নাকি ???
যথাসময়ে বনানী পৌছালাম। এবিসি টাওয়ারের পাশ দিয়ে যখন যাচ্ছি, হেরে গলায় মিলিটারী ডাক শুনে তাকিয়ে দেখি ত্রি-রত্ন দাড়িয়ে - রাতমজুর, শামিম আর নাইম। জানালো আইরিনের জন্য ওয়েট করতেছে। কয়েক মিনিটের মধ্যেই আইরিনের আগমন, হাতে ঢাউস সাইজের একটা বাক্স। বাক্সটা প্রথমে শামিম পরে রাতমজুরের হাত ঘুরে কালপুরুষের বাসায় নিত হলো।
এরমধ্যে শামিমের হাতে ভোজবাজীর মতো আরো একটা ছোট বাক্স কোথা থেকে যেন উদয় হয়েছে। শুনলাম ওটাতে মালয়েশিয়ান চকলেট আছে।
বাসায় ঢুকে ব্লগার কৌশিক, শরৎ, পথিক, প্রত্যুৎপন্নমতিত্ব বসে আছে। কিছুক্ষণের মধ্যেই চলে এলো সামী আর তার বন্ধু। সারিয়াও দেখলাম চলে এসেছে আগেই।
শামিম একটা একটা করে চকলেট বরাদ্দ করলো সবার জন্য। এরপর আমরা সবাই মিলে ছাদে গেলাম। ফোন পেয়ে রাতমজুর গেলো 'মানুষ' কে আনতে। কালপুরুষ'দা এরমধ্যে দেখি বিকালের নাস্তার আয়োজন করে ফেলেছেন ছাদেই। সমুচা, কাবাব আর এ-টিমের জন্মদিনের কেক।
পরে চা। এরমধ্যে আরো এক ভদ্রলোকের আগমন। জানালেন তিনি আসলে ব্লাঠক, সামী বললো ব্লগাঠক, মানে হলো ব্লগের পাঠক। নাম তার আসম। এরমধ্যে মানুষ ও চলে এসেছে।
সবাই একে একে পরিচিত হলাম নতুনদের সাথে। আমরা যার যার নিক এবং আসল নাম বলছিলাম। ব্যতিক্রম একমাত্র প্রত্যৎপন্নমতিত্ব। বেচারা হাতে হারিকেন নিয়ে পাত্রী খুঁজতে খুজঁতে এমনই নাকাল যে শরমিন্দা হয়ে নিক না বলে পিতৃ প্রদত্ত নামটাই বললো। কিন্তু আসম ঠিকই ধরে ফেললেন এটা আসলে প্রত্যু আর তার জন্য পাত্রী খোঁজা হচ্ছে রীতিমতো কমিটি গঠন করে।
একচোট হাসাহাসি হলো এনিয়ে।
{পাঠক এইমাত্র বিদ্যুৎ গেল। আর মাত্র মিনিট দশেক আয়ূ। বাকিটা ছবি সহ আগামী কাল। }
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।