সুশীলের ভেকধারী এক মহা ভন্ড!
বিদেশে আসার পর মেলা আকাম করে ফেলছি অলরেডি। তার কিছু এখন মনে আসলো, লিখে ফেললাম। নতুন নাম দিতে ইচ্ছে কর্তাছিলো না! তাই এইটাতে ঢুকাই দিলাম।
একবার শখ হইলো মাছ খাবো। গেলাম এক পাকি দোকানে।
আসলে গেছিলাম মুরগি কিনতে। মুরগি কিনে আসার সময়ে দেখি ডিপ ফ্রিজে মাছের প্যাকেট। আমিও হঠাৎ কি মনে হলো, কিনে ফেললাম। টিলে পে করার সময়ে পাকি আপা জিগাইলো আমি কি আসলেই এই মাছ কিনতে চাচ্ছি। আমি একটু অবাক হলেও বললাম, হু।
তারপর কিনে এনে বাসের দিকে হাঁটতেছি আর এক বড় ভাইরে ফোন দিলাম মাছ কিনেছি জানাইয়া। তারপর বললাম ভাবীকে দেন, কেমনে রান্না করবো। তো ভাবী ফোন নিয়ে জিজ্ঞাসা করলো কি মাছ? আমার তখন হুশ ফিরছে! খেয়ালও করি নাই কি কিনছি! তারপর প্যাকেটের গায়ে তাকিয়ে দেখি এইটা হাঙ্গর! তারপর আবার ফিরে গেলাম দোকানে। চেঞ্জ করে অন্য মাছ কিনে আনলাম। এনে রান্না তরকারি নাকি ভাজি করবো সেইটা চিন্তা করতাছি।
তারপর ভাবলাম মাছ ভাজি খাই। চুলাতে ফ্রাই প্যানে তেল গরম করতে দিয়ে মাছ ধুলাম। ধুয়ে চিলাতে মাছ বসাইয়া দিলাম। মাছ উল্টাই পাল্টাই আর চিন্তা করতেছি মশল্লা কখন দেবো! আরো কিছুক্ষণ পরে মাথায় ঢুকলো যে মশল্লা মাখিয়ে তারপর চুলাতে বসানো দরকার ছিলো। তো কি আর করা! ভাবলাম এইটাকে তাইলে তরকারি হিসেবে রান্না করে ফেলি।
ঐ ফ্রাই দিয়ে রান্না করলাম। কিন্তু একটুও খাইতে পারি নাই। সামান্য একটু মুখে দিয়ে ফেলে দিছিলাম। পরে এক বড় ভাই জিজ্ঞাসা করেছিলো আমি কি আঁশ ছিলাইছিলাম নাকি মাছ রান্না করার সময়ে! ঐটাও করি নাই, আমার ধারনা ছিলো সব কিছু ফেলানোই থাকবে! তারপর থেকে এখন পর্যন্ত মাছ রান্না করি নাই। দুই একবার শখ হলে ব্রিটিশ দোকান থেকে কিনে এনে ওভেনে গরম করে খাইতাম।
আরেকটা আকাম করছি কয়েকদিন আগে। আমি দোকান থেকে বাঁধাকপি কিনে এনে ভাজি হিসেবে রান্না করলাম। খাইলামও। তারপর গতকাল এক বড় ভাইয়ের বাসাতে গেছিলাম। উনি আমাকে লেটুস পাতা কাটতে বললো।
আমি লেটুস প্যাকেট থেকে বের করে বললাম এইটা কি লেটুস নাকি! এইটা তো বাঁধাকপি! পুরা একরকম দেখতে! তারপর আস্তে আস্তে বাকি খবরও ফাঁস করে দিলাম! আমি এই জিনিসকে বাঁধাকপি মনে করে ভাজি রান্না কইরা খাইছি! লেটুস পাতা যে এমন গোল বাধাকপির মত হয় আইডিয়া ছিল না আমার!
এইরকম মেলা আকাম আছে আমার খাওয়া নিয়ে বিদেশে! মনে পড়লে বাকিগুলান লেখবো।
ছবি কৃতজ্ঞতা
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।