আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এয়ার ফ্রেশনার থেকে সাবধান!

গন্ত্যবের শেষ পরিণতি জানা নেই.........

নগরজীবনের ক্লান্তিকে ঝেড়ে ফেলার আশায় এবং একটুখানি সুগন্ধী পেতে গাড়ি, অফিস কিংবা বাড়িতে প্রতিনিয়তই এয়ার ফ্রেশনার ব্যবহার করেন অনেকে। কিন্তু উল্টো ব্যবহারকারীর ভাবনার চেয়েও বেশি ক্ষতি করছে এসব এয়ার ফ্রেশনার। মালয়েশিয়ার পণ্যের মান নির্ণায়ক সংস্থা অ্যাসোসিয়েশন অব স্ট্যান্ডার্ডস ইউজার্স (এমএএসইউ) সম্প্রতি ছয়টি কোম্পানির এয়ার ফ্রেশনারের ওপর পরীক্ষা চালিয়ে এই উদ্বেগজনক তথ্য দিয়েছে। অবশ্য, পরীক্ষা করা এয়ার ফ্রেশনারগুলো কোন কোম্পানির ছিল এ ব্যাপারে কিছু জানানো হয়নি। সোমবার দেশটির প্রভাবশালী সংবাদ মাধ্যম দ্য স্টারডকটকম এ নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, মালয়েশিয়ার বিভিন্ন মার্কেটে বিক্রয় হওয়া ছয়টি নামীদামী কোম্পানির এয়ার ফ্রেশনার পরীক্ষা করে দেখা যায় এগুলোতে চারটি মারাত্মক ক্ষতিকর উপাদান রয়েছে। এগুলো হলো, টোলিন (হালকা রং করার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত এক ধরনের তরল পদার্থ), বেনজিন (নানা ধরনের রাসায়নিক দ্রব্য প্রস্তুত করার কাজে ব্যবহৃত পেট্রোলিয়াম ও আলকাতরাজাত বর্ণহীন গন্ধযুক্ত তরল পদার্থ), ফরমালডিহাইড (বর্ণহীন তীব্র গন্ধযুক্ত ক্ষতিকর গ্যাস) ও প্যাথালেটস (প্লাস্টিসাইজারের কাজে ব্যবহৃত কৃত্রিম ধূপ, এটা সরাসরি রক্ত সঞ্চালনকারী হরমোনগুলোতে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে)। যে ছয়টি এয়ার ফ্রেশনারে পরীক্ষা চালানো হয়েছে তার সবগুলোতেই এসব রাসায়নিক পদার্থের সর্বোচ্চ ব্যবহার প্রমাণিত হয়েছে। তবে চারটি এয়ার ফ্রেশনারে প্যাথালেটসের উদ্বেগজনক ব্যবহার প্রমাণিত হয়েছে। উল্লেখ্য, প্যাথালেটস পদার্থটি রক্ত সঞ্চালক হরমোনগুলোতে সরাসরি মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।

তাছাড়া, প্যাথালেটসের অতিমাত্রায় ব্যবহার রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতাকে নষ্ট করে দেয় এবং মস্তিষ্ককে অকেজো করে দিতে পারে। এমএএসইউ’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রত্না দেবী নাদারাজন সাংবাদিকদের বলেন, প্যাথালেটসে যেসব উপাদান রয়েছে তাতে একজন পুরুষ নারীর মতো আচরণ করতে পারে, এমনকি আচরণের দিক থেকে নারীতেও রূপান্তরিত হয়ে যেতে পারে পুরুষ ব্যবহারকারী। তিনি আরও বলেন, প্যাথালেটস অঙ্গের বাড়ন্ত প্রক্রিয়া থামিয়ে দেয় এবং গর্ভস্রাবেরও কারণ হতে পারে। এ জন্য এয়ার ফ্রেশনারের ঝুঁকিতে সবচেয়ে বেশি রয়েছে গর্ভবতী নারী ও শিশুরা। এছাড়া, অনেক এয়ার ফ্রেশনারে বিভিন্ন রকমের প্যাথালেটসের ব্যবহার করা হয়েছে যেটা আরও বেশি বিপজ্জনক বলে জানান রত্না।

রত্না বলেন, শহর এলাকার মানুষজন বেশি এয়ার ফ্রেশনার ব্যবহার করেন। প্রথমে খানিকটা সুগন্ধী পেলেও এর ক্ষতিকর প্রভাব তার‍া একটু পরেই বুঝতে পারেন। মাথা ব্যথা, বমি বমি ভাব এবং বিষণ্নতা উপসর্গ অনেকে তাৎক্ষণিকভাবেই উপলব্ধি করতে পারেন।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।