ভাবে মন অকারণ সারাক্ষণ...যখন বাস্তবতা>আবেগ
আচ্ছা তোকে কী বলে ডাকি বল্ তো?আপুনি?নাকি দিদিভাই? যা,তুই হলি আমার কাজলা দিদি!
এই শোন্ না কাজলা দিদি,তুই কি এবার পয়লা বৈশাখে শাড়ি পরেছিলি?লালপাড় সাদা শাড়ি? জানিস আমি না এবার মেলাগুলা চুড়ি কিনেছি,কাঁচের চুড়ি। শাড়ি পরেছিলাম,হাতভর্তি চুড়িও পরেছিলাম-লাল,সাদা,সবুজ। রিনঝিন রিনঝিন রিনঝিন......
তুই কি রে?জানিস না,আমি মোটেও শাড়ি পরতে পারি না?একটু হেল্প করবি না?কুঁচি কে ঠিক করে দিবে? আঁচল ধরা কে শিখিয়ে দেবে,শুনি?
কাজলা দিদি,ও কাজলা দিদি,তোর কি ওই অত দূরে গিয়ে আমাদের মনে পড়ে না?আমার তো সারক্ষণই তোর কথা মনে পড়ে। আমার পুতুলগুলো বাক্সে ভরে রেখেছি,তোর সাথে খেলব বলে। তাড়াতাড়ি চলে আয়,পুতুল বিয়ে দেব না?আর একসাথে শিউলি ফুল কুড়াবো,তারপর কৃষ্ণচূড়ায় রাঙানো পথে দু'বোনে মিলে হেঁটে যাব;সব ভুলে বসে আছিস?
তোর ওখানে অনেক বন্ধু?তুই তো রাজকন্যা,ডানাকাটা পরী!সবাই ভাবে তোকে বুঝি আমার হিংসে হয়।
কিন্তু তুই তো জানিস,আমি তোকে কত্তো মিস করি!আর তোর মতন ডানাকাটা পরীকে বুঝি হিংসে করা যায়!ডানাকাটা পরীর বোন কি আর সবাই হতে পারে?
মানুষগুলো যে কী!নিজে সুন্দর না হলে কি অন্যের সৌন্দর্যকে হিংসে করতে হয়?তুই-ই বল্!
আর তুই এভাবে দিনের পর দিন চুপ থাকতে পারিস!ভারী পাজি তো তুই!বুঝিস না,মা তোর জন্য কত কষ্ট পায়!আর আব্বুর কথা নাই বললাম,তুই তো আব্বুর ডুপ্লিকেট। একটা চিঠিও লিখিস না,ধুর!
আচ্ছা কাজলা দিদি!তুইও কি আমার মত অভিমানী?তুই নেই বলে আমাদের বাড়ির পুকুর পাড়ে আর থোকায় থোকায় জোনাক জ্বলে না। বাতাবী নেবুর ফুল ফোটে না.......গন্ধরাজের গন্ধ দখিন হাওয়ায় ভেসে ভেসে আমার ঘরে আসে না। আর ওই বাঁশবাগানের মাথার ওপর যে চাঁদটা?সেই চাঁদের বুড়িটাও আর চরকায় সুতো কাটে না......
ও!বুঝেছি,ওই দূর আকাশের তারাগুলোই এখন তোর বড্ড আপন হয়ে গেছে,তাই না রে??
(আমার বড়'পু,মাত্র ৪০ দিন যে ছিল এই পৃথিবীতে। আগামীকাল তার জন্মদিন।
ওর জন্মেরও তিন বছর পর আমার জন্ম। ওর সাথে গল্প-কথা-খেলা সবই হয় কল্পনাতে। এই ছবিটা ছাড়া ওর আর কোন স্মৃতি নেই আমার কাছে.......ভালো থাকিস রে আপুনি!)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।