আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বর্ষায় অপরূপ টাঙ্গুয়া

এক সময় বই ছিল আমার নিত্য সঙ্গী , অনেক রাত জেগে বালিশ নিয়ে উপুর হয়ে বই পড়তে পড়তে বুক ব্যাথা হয়ে যেত । পড়া শেষ হতো না । আজো বইয়ের কথা মনে হলে আমার বুকে ব্যাথা হয়, তাদের মলাটে ধুলোর আস্তর জমেছে বলে । বইয়ের পোকা থেকে এখন আমি ইন্টারনেটের পোকা ।
টাঙ্গুয়ার হাওর সুনামগঞ্জ জেলার ধর্মপাশা ও তাহিরপুর উপজেলার মেঘালয় পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত।

মেঘালয় পাহাড় থেকে ৩০টিরও বেশি ঝরা (ঝরণা) এসে মিশেছে এই হাওরে। দুই উপজেলার ১৮টি মৌজায় ৫১টি হাওরের সমন্বয়ে ৯,৭২৭ হেক্টর এলাকা নিয়ে টাঙ্গুয়ার হাওর জেলার সবচেয়ে বড় জলাভূমি। পানিবহুল মূল হাওর ২৮ বর্গকিলোমিটার এবং বাকি অংশ গ্রামগঞ্জ ও কৃষিজমি। গাছ-মাছ-পাখি আর প্রাকৃতিক জীববৈচিত্র্যের আধার এই হাওর। স্থানীয় বাংলাদেশী জাতের পাখি ছাড়াও শীতকালে, সুদূর সাইবেরিয়া থেকে আগত পরিযায়ী পাখিরও আবাস এই হাওর।

শীত মৌসুমে টাঙ্গুয়ার হাওরে কয়েকবার ভ্রমণ অভিজ্ঞতা থাকলেও বর্ষায় এবারই প্রথম। আর বর্ষায় টাঙ্গুয়ার রূপ দেখে তো আমি একেবারে হতবাক। মনের অজান্তেই একটা কথা মুখ দিয়ে বেরিয়ে এলো, এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি.......... ভ্রমণ বাংলাদেশের সেই মজাদার ট্যুরের কিছু ছবি নিয়েই আমার আজকের পোষ্ট। (২) সুনামগঞ্জের সুরমা নদীর মোটর ঘাট থেকে এমন বৃষ্টিস্নাত ট্রলারে করেই আমাদের টাঙ্গুয়ার হাওরের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু। (৩) নদী পার হয়ে গাড়ির জন্য দীর্ঘ সময় বসে থাকার সময় তোলা ছবি, মাছ ও শাপলা নিয়ে বাজারের উদ্দেশ্যে যাওয়া এক জেলের ছবি।

(৪) এই এলাকার যাত্রীদের জন্য প্রধান বাহন এই মোটর বাইক, বৃষ্টি উপেক্ষা করেই অনেকে ছুটছে গন্তব্যে । (৫) এক সময় গাড়ি এলো আর আমরা ছুটলাম তাহিরপুরের উদ্দেশ্যে । (৬/৭) রাস্তার পাশের কৃষি জমিতে কৃষকদের খেলা চলছে অবিরত। (৮) নামের সার্থকতা বজায় রাখতেই হয়তো ওপারের মেঘালয় পাহাড়টা মেঘে ঢেকে আছে। (৯) খেয়া নিয়ে জলাপথ পাড়ি দিচ্ছে এক কিশোরী ।

(১০) তাহিরপুরে পৌছেই এমন ফুলবল টিম দেখে চমৎকৃত হলাম। (১১) ফুটবল খেলা শেষ করেই ওরা মেতে উঠেছে জলকেলীতে। (১২) এবার ট্রলার নিয়ে আমরা ছুটলাম হাওরের উদ্দেশ্যে । (১৩) জেলে নৌকা দুটি কিছু করছে। (১৪) হাওর পারের একটি বাড়িতে বিয়ের গেইট, বর আসার অপেক্ষায় মানুষজন।

(১৫) কিছুক্ষণের মধ্যেই বিচিত্র রকমের বরের ট্রলারের দেখা আমরা পেয়ে যাই। (১৬) একটা প্রাইমারী স্কুল, দুই পাশে বাঁশের সাকোর সেতুবন্ধন। (১৭/১৮) চারিদিকে পানি, মাঝখানের দ্বীপের মতো ভেসে আসে বাড়িঘরগুলো। (১৯) হাওর পারি ছিচ্ছে দুই প্রবীন। (২০) জলকেলীরত ভ্রমণ বাংলাদেশ।

(২১) একটা সবুজ দ্বীপ। (২২) পুরো টাঙ্গুয়ার হাওর ঘুরে এক সময় আমরা ফিরে যাচ্ছি মেঘালয়ের পাদদেশের টেকেরঘাটে। (২৩) তাহিরপুর থেকে রওয়ানা হয়ে, সারাদিন হাওর ঘুরে টেকের ঘাটে রাত্রী যাপনের মধ্যেই আমাদের বর্ষায় টাঙ্গুয়ার হাওর দেখা শেষ হয়, কিন্তু এই অপরূপ সৌন্দর্য্যের রেশ মন থেকে কখনো শেষ হবার নয়।
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।