এই দুই নাবিকের একজন কেবিন ক্রু আলী হোসেন। অন্যজন দ্বিতীয় প্রকৌশলী নিজামউদ্দিন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
গত ৪ জুলাই ভোর রাতে ঝড়ের কবলে পড়ে এমভি হোপ কাত হয়ে গেলে প্রাণ বাঁচাতে সাগরে ঝাঁপ দেন ১৭ জন নাবিক। তাদের মধ্যে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয় নয়জনকে। লাশ পাওয়া যায় দুই জনের।
এমভি হোপের পিঅ্যান্ডআই ক্লাবের প্রতিনিধি ইন্টারপোর্ট মেরিটাইম লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মহিউদ্দিন আব্দুল কাদের জানান, গত ২০ জুলাই আন্দামান সাগরের মালয়শিয়া উপকূলে দুটি লাশ ভেসে উঠলে জেলেরা সেগুলো উদ্ধার করে লাঙ্কউয়ি বন্দরে নিয়ে যায়। এরপর ২৮ জুলাই লাশগুলো পাঠানো হয় স্থানীয় একটি হাসপাতালের মর্গে।
এক সপ্তাহ আগে ইন্টারপোর্ট মেরিটাইম লিমিডেটের থাই এজেন্ট মালয়শিয়ায় গিয়ে লাশ দেখে প্রাথমিকভাবে ধারণা করেন, ওই দুইজন হোপেরই নাবিক ছিলেন।
এরপর রোববার পকেটে থাকা ব্যাংক অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত কার্ড দেখে আলী হোসেনকে সনাক্ত করা হয়। আর মস্তকবিহীন অপর লাশের গায়ে এমভি হোপের জ্যাকেট দেখে ধারণা করা হচ্ছে, তিনি নিজাম উদ্দিন।
দ্বিতীয় লাশের পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হতে ডিএনএ টেস্ট করা হবে বলে মহিউদ্দিন আব্দুল কাদের জানান।
এমভি হোপের জীবিত নয় নাবিকের মধ্যে গত ৭ জুলাই জীবিত পাঁচজন দেশে ফেরেন এমভি বাক্সমুন নামের একটি জার্মান জাহাজে করে। ১১ জুলাই বিমানে করে দেশে ফেরেন আরো তিনজন।
এমভি হোপের সেকেন্ড অফিসার মোহাম্মদ মোবারক হোসেন মিঠু থাইল্যান্ডের একটি হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে গত ২৬ জুলাই সন্ধ্যায় চট্টগ্রামে ফেরেন।
হোপের চিফ অফিসার মাহবুব মোর্শেদ ও চিফ ইঞ্জিনিয়ার কাজী সাইফুদ্দিনের লাশ ময়নাতদন্ত শেষে গত ১৭ জুলাই দেশে আনা হলেও ক্যাপ্টেন রাজীব চন্দ্র কর্মকার, দ্বিতীয় প্রকৌশলী মো. নেজাম উদ্দিন, ইলেকট্রিশিয়ান ছাদিম আলী, কেবিন ক্রু নাসির উদ্দিন, আলী হোসেন এবং প্রধান কুক নাসির উদ্দিনের লাশের খোঁজ এতোদিন পাওয়া যাচ্ছিল না।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।