আমি চাই শক্তিশালী স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ
পদ্মা সেতু নির্মাণের জন্য মালয়শিয়াকে মঞ্চে তথা বিনিয়োগে আনার পিছনে সরকারকে প্রভাবিত করেছে ডেষ্টিনি-২০০০। বাংলাদেশ ব্যাংক ডেষ্টিনির এমএলম সহ, বেষ্ট এয়ার, ট্রি প্ল্যান্টেশন লিমিটেড সহ এর অঙ্গীভূত শাখাকে সন্দেহজনক বাণিজ্য ও লেনদেন ও প্রতারণার জন্য এর বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দিয়েছে। ডেষ্টিনির এখন মতলব হল মালয়শিয়াকে এই পদ্মা সেতুতে যূক্ত করে নিজেদের অপকর্ম হতে পার পেতে। বাবির প্রতিবেদন মোতাবেক লে: জেনারেল(অব) হারুন উর রশিদ, মোহাম্মাদ আমিন, আলহাজ মোহাম্মাদ হোসেন, গোফরানুল হক, সাঈদুর রহমান, মেসবাহ উদ্দিন স্বপন, ফারাহ দিবা, শেখ তৈয়বুর রহমান, জামশেদ আরা চৌধুরী, ইরফান আহমেদ সানি, সাজ্জাদ হোসেন, নেপাল চন্দ্র বিশ্বাস, জাকির হোসেন, লে: কর্ণেল(অব) দিদারুল আলম এবং আকবর আলী সুমন প্রত্যেকে হাজার হাজার কোটি টাকা প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন একাউন্ট হতে তুলে নিজেদের ব্যাক্তিগত একাউন্টে জমা করেছে এবং মাত্র ১৮ কোটি ৫১ লক্ষ টাকা কোম্পানীর একাউন্টে জমা আছে। এই সকল অর্থ তাদের অস্তিত্বহীন ভুয়া(চারা বিক্রি), শেয়ার বিক্রি হতে আসেনি বরং নিরীহ মানুষকে উচ্চ সুদের কথা বলে এই এটা সংগ্রহ করা হয়েছে।
দুদকও উল্লেখিত ব্যাক্তিদের বিরুদ্ধে রিপোর্ট দিয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং এ্যাক্ট৪(২)এ মামলা হতে পারে। প্রায় ২৪০০ কোটি টাকার মত সন্দেহজনক লেনদেন। এটা গুরুতর অভিযোগ। দুদক চেষ্টা করছে এই জুলাইয়ের শেষ নাগাৎ মামলা দায়ের করতে।
ডেষ্টিনি ট্রি প্ল্যান্টেশনে ২৩৩৫ টাকা করে প্রত্যেক সেগমেন্টে সংগ্রহ হলেও সেখানে এখন কোম্পানীর একাউন্টে মাত্র ১৮০ টাকা আছে। এটা ভূয়া ও জালিয়াতির কর্মসূচী।
হংকং এ ৫৩টি ক্রেডিট লেটারের মাধ্যমে প্রায় ৫৮ লক্ষ মার্কিন ডলার পাচারের বিষয়ে হদিস পেয়েছে বাবি। এই অর্থ নোয়েল জে কেরির Soft Online HK Limited এর কাছে পাঠানো হয়েছে এবং এ হল ডেষ্টিনির বৈদেশিক পরিচালক। এটা সহজেই বুঝা যায় যে এই কেরী উল্লেখিত হোতাদের সহযোগী যে এই সকল অর্থ হংকং, সিঙ্গাপুর, মালয়শিয়া, আমিরাত, যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডার বিভিন্ন ব্যাংক একাউন্টে পাঠিয়েছে।
বাবির সুত্র নিশ্চিত করেছে যে লে: জেনারেল হারুন গংদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রাথমিক তদন্তে প্রমাণিত। এই কারণে উল্লেখিত ব্যাক্তিবর্গের ব্যাংক একাউন্ট স্থগিত করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
ইতিমধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হারুন গংরা যেন দেশের বাইরে না যেতে পারে সেই বিষয়ে বর্হিগমন তথা ইমিগ্রেশন বিভাগকে সতর্ক করে দিয়েছে। আর্থিক বিশেষজ্ঞগণ মনে করেন সরকারের উচিত নিজস্ব ও গণমাধ্যমে উপরোক্ত হোতাদের চলাচলে নজরদাড়িতে সকলের দৃষ্টি রাখা। ইনারা আরও বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যাক্তিগত উদ্যোগে উল্লেখিত প্রতারকদের বিষয় পর্যবেক্ষণ ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাদের এদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা জাড়ি করতে বলা।
এই সকল আইনানুগ পদক্ষেপ ও পরিণতির কথা বুঝতে পেরে হারুন ও ম্যানেজিং ডাইরেক্টের মোহাম্মাদ রফিকুল আমিন এখন সক্রিয় ভাবে প্রভাব খাটাচ্ছেন যেন বাংলাদেশ সরকার পদ্মা সেতু নির্মাণে মালয়শিয়া হতে ঋণ নেয়। এখানে উল্লেখ্য যে হারুন ও আমিন গংদের বহু অর্থ মালয়শিয়ার ব্যাংক একাউন্ট ও ব্যাবসায় বিনিয়োগ আছে। এখানে উল্লেখ্য যে সাপ্তাহিক ব্লিটজের ধারাবাহিক প্রতিবেদনের পর বাবি, দুদক এবং দেশের সরকারী গোয়েন্দা সংস্থা গুলো ডেষ্টিনি-২০০০ এর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে।
Click This Link
*************************
তাহলে বোঝা যাচ্ছে যে মালয়শিয়ার সরকার এই পদ্মা সেতুতে ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করে ৬% সুদ নিবে সেটা এক ধরণের ব্লাফ। যদিও পুরো নয় কিন্তু বিষয়টি ঘোলাটে ও দ্বিধাদ্বন্দ সৃষ্টি।
কারণ এত সুদে সরকার ঋণ নিবে না। এটাকে পুজি করে উল্লেখিত হারুন গং মানুষের হতে লুটের অর্থেই মালয়শিয়ার নাম ভাঙিয়ে পদ্মা সেতুতে বিনিয়োগের পায়তারা করছে। তাতে এক ঢিলে দুই পাখি মারা এক নিজেরা বেচে যাওয়া এবং হাসিনার পদ্মা সেতুতে কন্সালটেন্সিতে(কানাডার এসএনসি লাভালিন) ঘুষ চাওয়ায় সেতু নির্মাণে যে অচল অবস্থা সেটা কেটে যাবে। ঐ দিকে আই.এম.এফও শর্ত দিছে এ ভাবে এত পরিমাণ বৈদেশিক রিজার্ভে হাত দেওয়া যাবে না। ফলে এখন দেখা যাচ্ছে আওয়ামী-বাকশালী গং প্রতারণা করে মানুষের কষ্টার্জিত অর্থ হতেই ডাবল লাভ করবে।
একেই বলে মাছের তেল দিয়ে মাছ ভাজা! ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।