বিপ্লব অথবা মৃত্যু
একটা সময় ছিল যখন যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত চিহ্নিত দালালদের গ্রেফতার করা যাবে কি না সেটা নিয়ে প্রশ্ন করা হত। অনেক গজব নাযিলের খবর আমাদের কানে এসেছে। এই হবে সেই হবে আরও কত কি ? কই যত গর্জে ছিল অতটা বর্ষণ তো হয়নি। শিবিরের ক্যাডাররা ভাড়াটে সন্ত্রাসীদের মত গর্ত থেকে বেড়িয়ে সাধারণ মানুষের জান-মালের ক্ষতি করে আবার গর্তে লুকিয়ে যাচ্ছে। ভবিষ্যতে ককটেলের বদলে তারা গ্রেনেড ব্যবহার করতে পারে।
আদালত এবং বিচারকদের উপর হামলা চালাতে পারে। লাঠির বদলে তারা আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা চালাতে পারে। তালিকা করে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের হত্যা করতে পারে। এগুলোর কোনটাই আমাদের জন্য নতুন না। জন্মের পর থেকে আজ পর্যন্ত কোন না কোন সময় এসব কাজ তারা করেছে এবং যতদিন তারা টিকে থাকবে এগুলো অব্যাহত থাকবে।
কাজেই, এগুলো থেকে বাংলাদেশের মানুষের ভয় পাওয়ার কিছু নাই।
ধর্ম দিয়ে বাংলাদেশের একটা অংশের মানুষের কাছ থেকে তারা আস্থা আদায় করতে পেরেছে এবং এক্ষেত্রেও কোন নতুনত্ব নাই। প্রায় সব সময় মোট জনগোষ্ঠীর একটা অংশ এরকম চিন্তাধারার অনুসারী ছিল। জামাত-শিবির বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা দিয়ে এদের সাথে আরও কিছু সুবিধাভোগী যুক্ত করে নিয়েছে। কিন্তু কখনোই এই সংখ্যাটা কোন গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে যায়নি।
কাজেই আমি আশাবাদীদের দলে, ধর্মকে আশ্রয় করে যারা একসময় এই মাটির সূর্যসন্তানদের হত্যা করেছিল, ধর্ষণ করেছিল মা-বোনদের তাদের বিচার এই বাংলাদেশেই হবে। বাংলাদেশের জন্মের বিরোধিতা করা রাজনৈতিক শক্তির রাজনীতি করার কোন অধিকার তাদের নেই।
পুনশ্চ: শিবিরের কর্মীদের আমার জিজ্ঞেস করতে ইচ্ছা করে যদি আপনাদের দল বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে এবং রাষ্ট্র বিরোধী কর্মকাণ্ডে যুক্ত থাকার 'অপরাধে' আপনার বোনকে ক্যাম্পে ধরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হয়, আপনার পিতা-মাতা-ভাই-বোন-আত্মীয় স্বজনকে হত্যা করা হয়, লুট করার পর আপনার বাড়িতে আগুন জ্বালিয়ে দেয়া হয় তাহলে যারা এই কাজ করবে এবং যারা এই কাজে সহায়তা করবে তাদেরকে আপনি কি বলবেন ?
আমি এদেরকে যুদ্ধাপরাধী বলব এবং এদের শাস্তির দাবি তুলব। এখানেই আপনার সাথে আমার তফাৎ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।