চলে যেতে যেতে বলে যাওয়া কিছু কথা
একবার একটি হোটেলের ছোট্ট একটি রূমে একটি হত্যাকান্ড সংঘটিত হল। ঐ সময় সেই রূমটিতে সর্বসাকুল্যে চার পাচজন মানুষ ছিল। একজন মুসলমান, একজন ইহূদি, একজন খ্রীষ্টান আর একজন হিন্দু ভদ্রলোক।
পশ্চিমা মিডিয়াতে এনিয়ে ব্যাপক আলাপ আলোচনার ঝড় উঠে। যদিও কেউ জানত না, কোথায় কখন এবং কিভাবে এই হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়েছে।
এরি মধ্যে মিডিয়ার লোকেরা আয়োজন করে বিভিন্ন টক শোর।
বক্তাদের প্রায় সকলেই এই মত পোষন করেন যে এটি মুসলমানটির সন্ত্রাসীমুলক কর্মকান্ড। তারা বিভিন্ন ইতিহাস ঘেটে, ইসলামের বিভিন্ন গ্রন্হের পংক্তি উল্লেখ করে এই যুক্তি দেখান এটি কেবলমাত্র মুসলমানটির পক্ষেই করা সম্ভব। তাদের মতে মুসলমানরাই কেবল পারে অন্য ধর্মের লোককে নির্দ্বিধায় খুন করতে।
যাহোক পরেরদিন জানা গেল যে মুসলমান লোকটি নিজেই খুন হয়েছে।
এবার মিডিয়ার লোকজনেরা বিড়ম্বনায় পড়ল। কিন্তু মিডিয়া বলে কথা।
আবারও তারা টকশোর আয়োজন করল। এবারও বক্তারা বিভিন্ন যুক্তি তর্ক উপাস্থন করে প্রমান করে দিতে চাইল কেবল মুসলমানের পক্ষেই এভাবে মানুষ মারা সম্ভব। এরিমধ্যে উপস্থাপক স্বরন করিয়ে দিলেন যে মুসলমান লোকটি নিজেই এই হত্যাকান্ডের ভিকটিম।
মোটেও দমে গেলেন না বক্তারা। তারা এবার এক সুরে জোরালে কন্ঠে বললেন তাহলে এটি ছিল একটি আত্মঘাতি হামলা।
এরপর তারা বিভিন্ন দলিল উপস্থাপন করে যুক্তি দেখিয়ে বোঝালেন কেবল একজন মুসলমানই পারে আত্মঘাতি হামলা চালিয়ে নিজেকে হত্যা করতে।
শেষপর্যন্ত শ্রোতারা কোনভাবেই জানতে পারল না কোথায় কিভাবে কখন কি করে একজন মুসলমান মারা গেল। তারা শুধু জানল মুসলমানরা সহজেই অন্য ধর্মের লোকজনকে মেরে ফেলে আর তারা যদি নিজেরা মরে সেটা আত্মঘাতি হামলা অথবা অন্তর্দন্দ্ব কলহের কারনে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।