চলে যেতে যেতে বলে যাওয়া কিছু কথা
ঝাং চেংজি। চীনের সবচাইতে নামী পত্রিকা পিপলস ডেইলীর মতে ১৯৬৬ সালে তিনিই প্রথম রেড গার্ড শব্দটি ব্যবহার করেন। চীনের সেই সময়কার সবচাইতে অভিজাত স্কুলে পড়াশুনার সময় তিনি আরও দশজন ছাত্রদের একত্রিত করেন সেই স্কুলের কর্তপক্ষের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ এনে যে তারা অভিজাত্য আর পুজীবাদের সমর্থন করেন। মাও সেতুং তাদের অভিযোগের ভিত্তিতে স্কুল কর্তপক্ষকে অপসারন করেন। এইভাবে কালচারাল রেভ্যুলেশনের সমর্থনে রেড গার্ড গঠিত হয় যা কিনা পুজিবাদীদের বিরুদ্ধে সারা চীন জুড়ে ছাত্রদের আন্দোলনে পরিনত হয়।
এর কিছুদিন পর মাও সেতুং বেইজিং এ ১০ লক্ষ রেড গার্ডের উদ্দ্যেশে ভাষন দেন।
একসময় তাকে মংগোলিয়ায় পাঠানো হয় আবার জাপানেও প্রবাস জীবন কাটান পড়াশুনার জন্য।
আর সব রেডগার্ডদের মত রাজনীতি কিংবা ব্যবসা বানিজ্য নিজেকে না জড়িয়ে একসময় তিনি মনোনিবেশ করেন লেখালেখিতে। তিনি বর্তমানে চীনের একজন প্রথম সারির জনপ্রিয় লেখক। তার লেখা হিস্টোরি অব সোল ১৯৯৮ চীনে ২য় বেস্ট সেলার হয়।
আজীবন মাও সেতুং এর অনুসারী জাং বেড়ে উঠেছেন একজন নাস্তিক হিসাবে।
তিনি মুলত হুই গোত্রের মানুষ। হুই গোত্র লোকেরা মুলত: ইসলাম ধর্মের অনুসারী।
তার পুর্ব পুরুষেরা মুসলমান ছিলেন। তাই একসময় কয়টি বছর নিংজিয়াতে মুসলমানদের মাঝে কাটান।
এর ফলশ্রুতিতে রচিত হয় হিস্টোরি অব সোল নামক বিখ্যাত উপন্যাসটির যেখানে তিনি চিত্রায়িত করেন জাহিরিয়া তরিকার সুফিদের উত্থানকে এবং কিভাবে ধর্মের সাথে সংঘর্ষ ঘটে ব্যক্তিত্তের।
এরই মাঝে সবাইকে অবাক করে দিয়ে এই বিখ্যাত কমিউনিষ্ট দীক্ষিত হন ইসলাম ধর্মে। তিনি এখন চীনের সবচাইতে বিখ্যাত মুসলমানদের একজন। তবে তিনি এখনও মাও সেতুং এর একজন কড়া সমর্থক। দেশে বিদেশে এটি তার প্রধান সমালোচনার কারন হয়ে দাড়িয়েছে।
চীনে মুসলমানদের ইতিহাসের শুরু হয় ইসলামের ধর্মের আবির্ভাবের প্রায় সাথে সাথে। নবীজি সা; মামা চীনে ইসলাম ধর্ম নিয়ে আসেন। তখনকার চীনের শাসকের দ্বারা সমাদ্বত হয়। একসময় মুসলমানেরা রাজনৈতিক এবং সামরিক শক্তি হিসাবে আবির্ভুত হয়। এক মুসলিম জেনারেল চীনকে রক্ষা করেছিলেন মংগোলদের হাত থেকে।
তবে সবচাইতে বিখ্যাত চীনা মুসলিমের নাম হল জেং হে। প্বথিবীর ইতিহাসে অন্যতম বড় নৌ বহরের অধিনায়ক চীনের সম্রাটের প্রতিনিধি হয়ে ভারত, শ্রিলংকা, মালয়েশিয়া আর ইন্দোনেশিয়ার বিভিন্ন অন্চলে। ৩০০ জাহাজে ২৮ হাজার নাবিক নিয়ে তিনি সাতটি অভিযান চালান। ধারনা করা হয় তিনি ইসলমারের প্রসারে ভুমিকা রেখেছিলেন। চীনা সরকার এখনও সম্মানের সাথে তার কবর সংরক্ষনের ব্যবস্থা করেছেন।
পাশে একটি যাদুঘরও তৈরি করা হয়েছে।
চীনে হুই, উই (উইঘর) ছারাও বিভিন্ন গোত্রের মুসলমানদের দেখা যায়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।