জীবন বুনে স্বপ্ন বানাই মানবজমিনে অনেক চাষ চাই
এক টুকরো ইলিশ মাছ খাওয়ায় কাজের মেয়েকে খুন্তির ছ্যাকা
অবশেষে চাকুরীচ্যুত হলো এনজিও কর্মী লিপি
সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি
এক টুকরো ইলিশ মাছ চুরির অপবাদে সাত বছরের কাজের মেয়ের শরীর খুন্তি দিয়ে ঝলসানোর ফল পাচেছন প্রতি পদে পদে এনজিও কর্মী আমেনা আক্তার লিপি। তার সব দুয়ার বন্ধ হয়ে যাচেছ। চাকুরী থেকে বরখাস্ত, বাড়ীওয়ার বাড়ী ছাড়ার নোটিশ সেই সাথে ছেলে সীমান্তকে নিয়ে স্কুলেও যেতে পারছেন না তিনি। উলেখ্য, সিদ্ধিরগঞ্জস্থ ব্র্যাকের দাবি শাখার পিও আমেনা তার কাজের মেয়েকে এক টুকরো ইলিশ চুরির অপবাদে গরম খুন্তি দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছ্যাঁকা দেয়। গত শনিবার রাতে পাইনাদী এলাকার জনৈক ফোরম্যানের বাড়ীতে এ ঘটনাটি ঘটে।
এলাকাবাসী জানায়, এ খবর গত সোমবার বিভিন্ন জাতীয় সংবাদপত্রে ছাপা হলে ব্র্যাক কর্তৃপক্ষ আমেনা আক্তার লিপিকে চাকুরী থেকে বরখাস্ত করে। লিপির বাড়ীওয়ালা তাকে এ মাস শেষে বাড়ী ছাড়ার নির্দেশ দেন। লিপির ছেলে সীমান্ত এলাকার সানফাওয়ার কেজি স্কুলের প্লে গ্রুপের ছাত্র। উক্ত ঘটনার পর থেকে লিপি তার ছেলেকে নিয়ে স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন বলে জানায় স্কুল কর্তৃপক্ষ। স্কুলের বৃদ্ধা আয়া জানান, ঐ মহিলা স্কুলে আসলে সবার সাথে তুচছ ঘটনায় খারাপ ব্যবহার করতো।
বৃদ্ধা আয়া ক্ষুব্ধ হয়ে বলেন, তুচছ ঘটনায় একটি শিশুকে গরম খুন্তি দিয়ে ছ্যাকা দেয়ায় লিপির বিচার হওয়া উচিৎ। এদিকে উক্ত ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর প্রতিবেশীরা লিপির সাথে কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছে। এলাকাবাসীর সহযোগিতায় চিকিৎসা দেয়ার পর কাজের মেয়ে মৌসুমী ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছে।
ফলাফল হাতেনাতে পেলেন গৃহকর্ত্রী লিপি। চাকুরি থেকে বরখাস্ত করে ব্রাক কর্তৃপক্ষ একটি উদাহরণ সৃষ্টি করলেন।
কিন্তু তার বিচার কি হয়েছে ?শিশু নির্যাতনের দায় কি এড়াতে পারেন লিপি ? তাকে কি বিচারের সম্মুখীন করা উচিত নয় ? তার অপরাধ কি ফৌজদারি আইনে বিচার্য নয় ?
আমাদের সবাইকে গৃহকর্মী নির্যাতনের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।