কষ্ট হলেও সত্য বলা বা স্বীকার করার সাহসই সবচেয়ে বড় সততা।
৬। দাস প্রথার উচ্ছেদঃ
অতি প্রাচীনকাল থেকে আরব দেশে ও বহির্বিশ্বে গোলাম প্রথার প্রচলন ছিল। গবাদী পশুর ন্যায় দাস-দাসীদের হাটে বাজারে ক্রয় বিক্রয় হতো। মনিবগণ দাসদের জীবন মরণের প্রভু হিসাবে স্বীকৃত ছিল।
রাসূল [সা]-এর আগমনের পর আস্তে আস্তে এ জঘন্য প্রথার উচ্ছেদ কাজ শুরু হয়। রাসূল [সা] নবুয়ত লাভের পর প্রকাশ্য দাসপ্রথার বিলুপ্তি সাধনের কাজ শুরু করেন। যার ফলে মানবতার কল্যাণে এ কাজটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচী বলে মনে হয়। দাস-দাসীদের দুঃখ দুর্দশার জীবনচিত্র তুলে ধরতে গিয়ে ঐতিহাসিক আমির আলী বলেন - বিশ্ব মানবতার ইতিহাসে হযরত মুহাম্মাদ [সা] সর্বপ্রথম দাস-দাসীদের সামাজিক মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করেন। তিনি বলেছেন “গোলামকে আজাদী দানের চেয়ে শ্রেষ্ঠতর কাজ আল্লাহর কাছে আর কিছু নেই।
”
৭। সামাজিক বৈষম্যের অবসানঃ
বিশ্ব সভ্যতার ক্রমবিকাশে বিশ্ব ভ্রাতৃত্ব ও বিশ্ব বন্ধুত্ব স্থাপনের গুরুত্ব ব্যাখ্যার অপেক্ষা রাখে না। বিশ্ব সমাজকে এক সুবিচারপূর্ণ ব্যবস্থার অনুসারী ও অনুগামী করে নেয়াই হচ্ছে বিশ্বনবী [সা]-এর বিপ্লবের প্রধান উদ্দেশ্য। মানুষের উপর মানুষের প্রভুত্ব খতম করে তথা মিথ্যা ও কৃত্রিম প্রভুর দাসত্বের জাল থেকে এবং শোষণ ও কুশাসনের হাত থেকে বিশ্ব মানবতাকে মুক্তি দিয়ে বিশ্ব ভ্রাতৃত্ব জাগিয়ে তোলাই হচ্ছে তার প্রধান লক্ষ্য। কুরআনে বলা হয়েছেঃ “সমস্ত মানবমণ্ডলী এক জাতি।
” [২: ২১৩]
৮। সামাজিক সুবিচার প্রতিষ্ঠাঃ
সামাজিক সুবিচার প্রতিষ্ঠা ছাড়া সুসভ্য শান্তিপূর্ণ সমাজের কল্পনা করা যেতে পারে না। তাই ব্যক্তিগত জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সকল জীবনেই শান্তি শৃংখলা নিরাপত্তা সমৃদ্ধি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠা করার জন্য ইনসাফ প্রতিষ্ঠার গুরুত্ব অপরিসীম। রাসূল [সা]-এর প্রতিষ্ঠিত আদর্শ রাষ্ট্রের উপস্থাপিত কুরআনী দর্শনের মধ্যেই একমাত্র সামাজিক সুবিচার প্রতিষ্ঠার মহান নীতির অস্তিত্ব রয়েছে।
কুরআনে বলা হয়েছেঃ “আল্লাহ তোমাদেরকে ন্যায় বিচার, সদ্ব্যবহার এবং আত্মীয় স্বজনের প্রাপ্য আদায়ের জন্য আদেশ দিচ্ছেন।
” পক্ষপাতহীন বিচার করা সমাজ জীবনে একটা অতীব গুরুত্বপূর্ণ দিক। আল্লাহ বলেনঃ “আর যখন তোমরা লোকদের বিচার কর তখন তোমরা ন্যায়ের সাথে বিচার কর। ” রাসূল [সা] বিচারে পক্ষপাত করেননি। সর্বদা নিরপেক্ষ বিচার করতেন। (চলবে)
৪র্থ পর্ব ৩য় পর্ব ২য় পর্ব শুরু পর্ব
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।