আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এবার এসএসসি'তে ২৫,০০০ এ-প্লাস পাবে ইনশাল্লাহ...

কেএসআমীন ব্লগ

গত বছর ১৫,০০০ এরও বেশী এ-প্লাস বা জিপিএ-৫ পেয়েছিল এসএসসি পরীক্ষায়। প্রথম জিপিএ ভিত্তিক এসএসসি'তে ৫০০ ছাত্র/ছাত্রীও জিপিএ-৫ পায়নি। পরের বছর ৩,০০০ এর মত। তারপর ৭,০০০ এরপর ১৫,০০০। হিসাবটা অনেকটা এরকম।

এভাবে প্রতি বছরই বাড়ছে এ-প্লাস ধারী মেধাবী(!) ছাত্র/ছাত্রীর সংখ্যা দেশে। এবছর ২৫,০০০ পেলে আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই। আসলেই কি দেশে মেধাবীর সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে? এহসানুল হক মিলন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী থাকাকালীন তারই উদ্যোগে বিশ্বব্যাংকের ৫০০ কোটি টাকা ব্যয়ের এক সুদূরপ্রসারী প্রকল্পের অংশ হিসেবে আমাদের মাধ্যমিক পর্যায়ের পড়াশুনার বারটা বাজানোর কাজ হাতে নেয়া হয়। এই মেধাবীদের কেউ এখন এসএসসি পাশ করে ঢাকার একটা মধ্যম মানের কলেজেও ভর্তি হতে পারছে না। ভর্তি পরীক্ষার ভিত্তিতে কলেজে পড়ার ব্যবস্থাও এখন বন্ধ।

এখন ভর্তি হচ্ছে বয়সের ভিত্তিতে... এই ২৫,০০০ মেধাবীদের আমরা পুরাতন নিয়মে নিম্নে উল্লেখিত মানে ভাগ করতে পারি.... ১) স্ট্যান্ড করা স্টুডেন্ট, অত্যন্ত মেধাবী............... ২০০ ২) স্টার মার্ক প্রাপ্ত, বেশ মেধাবী ...................১,৮০০ ৩) প্রথম বিভাগ প্রাপ্ত, মেধাবী .....................৫,০০০ ৪) দ্বিতীয় বিভাগ প্রাপ্ত, সাধারণ ছাত্র.............১৮,০০০ দেখা যাচ্ছে, অত্যন্ত মেধাবী প্রায় ২০০ স্টুডেন্টের সাথে ১৮,০০০ সাধারণ মানের স্টুডেন্টকেও মেধাবী বলে রায় দেয়া হয়ে গেল। বয়সের কারণে মেধাবী ছাত্র/ছাত্রীটি হয়তো ভাল কলেজে ভর্তির সুযোগই পেল না। 'পরীক্ষা' হচ্ছে একটা স্টুডেন্টের মান বাছাইয়ের ফিল্টারিং পদ্ধতি। একটি ভাল ছাত্রকে যদি আমরা মূল্যায়ন না করতে পারি তবে তার ভবিষ্যতের উচ্চশিক্ষা বাধাগ্রস্থ হতে বাধ্য। এই পদ্ধতি আমাদের শিক্ষাব্যবস্থাকে কতটুকু সুপরিকল্পিতভাবে ধ্বংস করতে থাকবে তা আমরা হয়তো আরও ১০ বছর পরে টের পাব... বর্তমানে উন্নত বিশ্বের শত শত বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশের কয়েক হাজার শিক্ষক কর্মরত রয়েছেন।

বহুজাতিক কোম্পানী, ব্যাংক, মোবাইল ফোন, কম্পিউটার, ইলেক্ট্রনিক্স ইত্যাদি কোম্পানীতেও বাংলাদেশী উচ্চ শিক্ষিত মানুষ উচ্চপদে কর্মরত রয়েছেন। এটা বোধ হয় ৮/১০ বছর পর থেকে আর তেমনটা দেখা যাবে না...

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.