একটি বাংলাদেশ, তুমি জাগ্রত জনতা, সারা বিশ্বের বিস্ময়, তুমি আমার অহংকার
নকশী কাঁথা, এই বাংলাদেশের ঐতিহ্যের একটা পরিচায়ক সেটাই জানতাম এতদিন। গ্রামের মহিলারা তাদের ঘরের সব কাজ শেষ করে হয়ত পড়ন্ত বিকেলে কাঁথাটি কোলের উপর নিয়ে উঠোনে বসে পান চিবুতে চিবুতে সুচের ফোঁড় দিতেন। বাহারী নকশা তুলতেন সেই সুঁচের ফোঁড়ে ফোঁড়ে। সেটাই একসময় সৌন্দর্য্য মন্ডিত সুঁচসুতা কলায় হয়ে উঠতো "নকশী কাঁথা"। এই নকশী কাঁথা নিয়ে অনেক কাব্য, গল্প লিখে সমৃদ্ধ করা হয়েছে বাংলা সাহিত্যকে।
দেশের গন্ডি পেরিয়ে এই কাঁথা এখন বিশ্বব্যাপী পরিচিত। এখনও প্রতিদিন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই কাঁথা রফতানি করা হয় বাংলাদেশের পন্য হিসেবে। যা এখন এখানে একটি কুটির শিল্পে পরিনত হয়েছে। এই শিল্পকেই এখন অনেক এনজিও স্বীকৃতি দিচ্ছে।
এবার আসি, আমের কথায়।
সব আম যখন শেষ হয়ে যায় তখন বাজারে আসে ফজলী আম। এই আম সাইজে বড় এবং সহজে পচে না বলে দেশের বাহিরে রফতানি হয় বেশী। আমের জন্য বিখ্যাত বাংলাদেশের রাজশাহী, নবাবগঞ্জ একথা আমাদের সবারই জানা। সবচেয়ে বেশী ফজলী আম হয় নবাবগঞ্জে। এবং এই আমের উৎপত্তি স্থল নবাবগঞ্জ।
ভারত বলছে, এই নকশী কাঁথা এবং ফজলী আমের উৎপত্তিস্থল নাকি ভারত। অর্থাৎ এ দুটি প্রোডাক্টের স্বত্ব চাইছে তারা। এই মর্মে তারা বাংলাদেশের বানিজ্য মন্ত্রনালয়কে চিঠি দিয়েছেন। অবশ্য বানিজ্য মন্ত্রনালয় তাদের এই অযাচিত প্রস্তাবকে নাকচ করে দিয়েছেন।
এখন দেখা যাক, কোথায় গিয়ে ঠেকে এই সম্পদ মালিকানার যুদ্ধের বিষয়টি।
কবে যে বলে, দেশটাই তাদের। আপনার কি বলেন?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।